শামা আরজু, ফিচার রাইটার, বাংলাদেশ:
বলো!
কী বলবো!বলার তো কিছু নাই।
তবে যে ফোন করলে।
দেখলাম তুমি আছো কী না?
আছি,ই তো!
আমার তো মনে হয় না, তুমি আছো।
আমি ওয়াশরুম থেকে এসে তোমাকে ফোন দিই?
না দিলেও সমস্যা নেই।
আচ্ছা বলো।
না বাবা,যাও তুমি ওয়াশরুমে।আবার কাপড়চোপড় নষ্ট করবে,শেষে আমার দোষ হবে!
আচ্ছা, আমি বেরিয়েই ফোন করি।
আচ্ছা।
না, আসে না তোমার ফোন। আমিই আবার।
তুৃমি না বললে,বেরিয়ে ফোন করবে,এই তার নমুনা!
বোঝোই তো কী ভীষণ ব্যস্ত আমি,তবু বাচ্চা পোলাপানের মতো এমন করো কেন!
আমি সিলেট যাচ্ছি।
হঠাৎ, কেনো?এতো রাতে?
আমার আবার দিন রাত কী!
কী মনে করে!
কিছুই না।এমনি এমনি।রাখো আমার গাড়ি চলে এসেছে।
অনেক দূর চলে এসেছি,তোমার বাড়ী দেখা যায় দূর থেকে।ইচ্ছে করেছিলো তোমাকে বলি,থেকো না হয় রাস্তার মাথায়।বলি না।তোমার বারান্দায় আলো।আমার গাড়ীতে অন্ধকার।তোমায় দেখা যায় কি না, দেখলাম। না দেখি নি তোমায়।পেছন ফিরে আবার তাকাই। না,দেখি না তোমায়।
কল্পনায় তোমার মুখখানি মনো করি।তোমার বুকের পশম হাতড়ে বেড়াই।অথচ তুমি তখন তোমার দায়বদ্ধতা বুকে জড়িয়ে বেঘোর ঘুমাও।আমায় নিয়ে তোমার কোনো দায়বদ্ধতা নেই।
কী বোর্ডে হাত রাখি।আহা,যদি একটুখানি ছুঁতে পেতাম তোমায়!
লেখায় আমার মন বসে না।
পড়তে বলো, তোমায় ভুলে থাকার জন্য।পড়ায় ও আর মন লাগে না।একসময় কী ভীষণই না পড়তাম আমি।
নিজেকে বড়ো অচেনা ঠেকে।
তবুও পথ চলতেই হবে।সারাবেলা তোমায় ভেবেও একাই জীবন কাটাতে হবে।
চলার পথেই প্রশ্ন আসে।
কেমন আছেন?
বলতে হয় হাসিমুখেই--
ভালো আছি!
তোমায় ছাড়া কী করে ভালো থাকি!
অথচ তোমাকে ছাড়াই আমার ভালো থাকতে হবে।এটাই এই নষ্ট সমাজের প্রথা।এটাই বৈধতা।
এ এক আজব কান্ড! প্রথাই এখানে আইনের মতোন কাজ করে।
থু !
Post A Comment:
0 comments so far,add yours