গৌতম দাস, অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার, রাজ্য আবগারি দফতর ও লেখক, কলকাতা:
আরবান বা সেমি আরবান সমাজে একটু নজরদারি করলে একটা বিষয় নজরে আসবে যে যৌতুক এখন রাংতায় মোড়া কৌতুক!...
আচ্ছা বর্তমান শহুরে শিক্ষিত সমাজে কি পণপ্রথা একদম বিলুপ্ত হয়ে গেছে ! নাকি নতুন মোড়কে নতুন বিজ্ঞাপনে টিঁকে রয়েছে !...বিয়ে নামক ওই বাঁশ সজত্নে নেওয়ার খেসারত হিসেবে এই প্রজন্মের আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত পুরুষরা নিজেকে বেশি রোমান্টিক কিম্বা জোর করে নারীবাদি প্রমাণ করার চেষ্টায় উদগ্রীব না হয়ে তথাকথিত "পণ"কে চুপচাপ হজ্মী-গুলির মতো হজম করে ফেলছে কিন্তু! দেখা যাক পণ নিলে বা না নিলে আসলে বিষয়টি কি দাঁড়ায়...একজন পুরুষ যিনি হলেন মেয়ের বাবা, আর একজন পুরুষ যে কিনা পাত্র, শুধু মাত্র এই দুজনেরই কি শুধু স্বার্থ মানে লাভ ও ক্ষতির অঙ্কই জড়িয়ে থাকে পুরো বিষয়টিতে! নাকি "মেয়েটি" মানে যে বৌ হতে চলেছে একটি নতুন পরিবারের, তার ও কি কোনো স্বার্থ কাজ করে না! বা সে কি কোনো ভাবে উপকৃত হতে পারে?
অধিকাংশ পাত্রপক্ষ আজকাল পণ নেয় না, মূলত লোকের কাছে নিজের ভালোমানুষি প্রমাণ করার জন্য, কেউ বা নিজের সামাজিক সম্মান রক্ষা করার জন্য, আর সামান্য কিছু শতাংশের পাত্র বা পাত্রপক্ষ এটা করেন মন থেকে বা আদর্শ থেকে, কিন্তু পর্যালোচনা করলে দেখা যায় সেই সব পরিবার যারা শেষ অবধি পন নিচ্ছেন না উপরোক্ত যে কারণেই হোক না কেন, মোটের উপর সেই পরিবার গুলো কিন্তু মোটামুটি অর্থনৈতিকভাবে সচ্ছল। বর্তমান আইন অনুযায়ী স্ত্রী-ধন সম্পর্কে আমারা সবাই কম বেশি জানি, বিবাহ সূত্রে পাওয়া যাবতীয় অর্থ,গয়না এবং স্থাবর ও অস্থাবর সব রকম সম্পত্তির মালিক কিন্তু একমাত্র ওই বিবাহিত মহিলাই তার স্বামী বা স্বামীর পরিবার কিছুতেই নন। তাই শিক্ষিত মেয়েরা পণ আদন প্রদানে উপকৃতই হয় সাধারণত। আজকাল অবশ্য কিছু শিক্ষিত মেয়েরা খুবই বুদ্ধিমান, তারা নিজেই নিজের পরিবারের সঙ্গে দরাদরি করে গয়না বা অন্যান্য দান-সামগ্রী আদায় করে নিতে বেশ সিদ্ধহস্ত, কিন্তু কিছু কিছু মেয়ে এমন ও আছে যারা বাবাকে বা নিজের পরিবারকে কোনো রকম আর্থিক বিপদে ফেলতে চায় না, এখানেও কিন্তু পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই মেয়েরা বেশিরভাগই সুশিক্ষিত এবং স্বাবলম্বী। এটা অনস্বীকার্য যে স্বামীর চরম আর্থিক দূর্দশায় কিন্তু প্রায় নিরানব্বই শতাংশ স্ত্রীই তার সমস্ত স্ত্রী-ধন নিয়ে তার স্বামীর পাশে এসে দাঁড়ায়, ব্যতিক্রম নিশ্চয়ই থাকতে পারে কিন্তু সেটা আলচ্চ নয়। বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি ওই সঙ্কটের মূহুর্তে মেয়েটির নিজের পরিবার মানে বাপের বাড়ির মানুষের থেকে খুব বেশী সাহায্য পায় না সাধারণত, আর মেয়েটির বাবা-মা জীবিত না থাকলে তো ব্যাপারটা প্রায় অসম্ভব, কারণ তার বিবাহিত দাদা বা ভাইরা তাদের পারিবারিক চাপের ( স্ত্রীর চাপের) কাছে নতি স্বীকার করে মুখ ফিরিয়ে নিতে বাধ্য হয়, অথচ ওই মেয়েটির তার পৈতৃক সম্পত্তির উপর কিন্তু সমান অধিকার থাকে সত্তেও বঞ্চিত হয়।
এরকম একটা হাওয়া বাজারে আছে "সরকারি কর্মচারীরা পণ নিতে পারবে না নিলে চাকরি যেতে পারে" মানে যদি অভিযোগ জমা হয়! কিন্তু সরকার বা আইন প্রয়োগকারীরা হয়ত জানেই না যে আজকাল শহুরে মেয়েরা নিজেরাই কিন্তু এ ব্যাপারে একটু বেশি উৎসাহি এবং একাধিক বোন থাকলে তো ব্যাপারটা প্রায় রেষারেষির পর্যায়ে পৌছোয়, যে করেই হোক অধিকাংশ শহরের মেয়েরা বাবা মার থেকে প্রায় জোর করে স্ত্রী-ধন আদায় করে তবেই ছাড়ে, অথচ যুগ যুগ ধরে বদনাম হয় পুরুষদের!
এরকম একটা হাওয়া বাজারে আছে "সরকারি কর্মচারীরা পণ নিতে পারবে না নিলে চাকরি যেতে পারে" মানে যদি অভিযোগ জমা হয়! কিন্তু সরকার বা আইন প্রয়োগকারীরা হয়ত জানেই না যে আজকাল শহুরে মেয়েরা নিজেরাই কিন্তু এ ব্যাপারে একটু বেশি উৎসাহি এবং একাধিক বোন থাকলে তো ব্যাপারটা প্রায় রেষারেষির পর্যায়ে পৌছোয়, যে করেই হোক অধিকাংশ শহরের মেয়েরা বাবা মার থেকে প্রায় জোর করে স্ত্রী-ধন আদায় করে তবেই ছাড়ে, অথচ যুগ যুগ ধরে বদনাম হয় পুরুষদের!
আজকাল অনেক মেয়েই বিয়ের পর চাকরি করে এবং বাপের বাড়ির কিছুটা দায়িত্ব পালন করে, এটা যেমন অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক এবং প্রশংসনীয়, মানে কিন্তু বাপের বাড়িতে শেকড়টা থেকেই যায়, আবার তেমনি শ্বশুর বাড়ির টবে আজকাল অনেক মেয়েই শিকড় লাগাতে প্রথম থেকেই উৎসাহি নয়, "হাম দো হামারে এক, ছোট্ট এপার্টমেন্টে নির্ঝঞ্ঝাট সুখী পরিবার" শুধুমাত্র এই সুখেই সুখী হতে চায়। আর এর ফলে প্রচুর শহুরে ছেলেরা নিজের মা-বাবার থেকে অসহায় হয়ে আলাদা থাকতে বাধ্য হয়, প্রথমে অনুরোধ হালকা চাপ, তারপর শুধু মাত্র 498 এর ভয়েই আত্মসমর্পণ করেছে বিবাহিত ছেলেরা চুপচাপ শুধুমাত্র বাকী জীবনের শান্তি কিনতে ! অনেক অনেক উদাহরণ দেওয়া যেতে পারে এই আত্মসমর্পণ কাহিনীর। যুগে যুগে মহামানবরা বলে গেছেন যে ভালোবাসার বন্ধণ বা বিবাহ হওয়া উচিত সম্পূর্ণ নিঃস্বার্থ, কিন্তু Love Marriage বা Arrange Marriage হোক বিবাহিতারা কি নিঃস্বার্থ ভাবে একে অপরকে ভালোবাসতে পারে !!! একটা বিতর্কিত প্রশ্ন, আচ্ছা বিয়ে করে কি জীবনকে সামাজিক এবং আর্থিক ডাবে সুরক্ষিত করতে চায় অধিকাংশ নারীরা !!! এবার ভেবে দেখার সময় এসেছে। জীবনটা সব সময় সিনেমার মতো হয় না, অমর-প্রেম অনেকটা সোনার পাথর বাটির মতো!
মানুষ (নারী-পুরুষ) মাত্রই স্বার্থপর ! স্বার্থে এতো টুকু আঘাত লাগলেই আমরা অপর পক্ষকে কাদা/ ইট/ পাটকেল /যা কিছুই হাতের কাছে পাই ছুঁড়তে একটুও দ্বিধা করি না ! অর্থাৎ যুগ যুগ ধরে শুধু পুরুষদেরই নারীবাদীরা আক্রমণ করবে আর পুরুষরা অসহায়ের মতো বৈবাহিক নামক চুক্তির সমস্ত শর্ত পালন করে যাবে এটা নিয়ে ভাবার সময় এসেছে। অথচ আজও রাস্ট্র শুধু নারীর স্বার্থকেই বড়ো করে দেখে চলছে কিন্তু !
Post A Comment:
0 comments so far,add yours