দিগন্তিকা চৌধুরী, ফিচার রাইটার, কৃষ্ণনগর:
অবশেষে কখন যেন বড়ো হয়েই গেলাম।
জ্ঞান হওয়ার পর থেকে বেশ মনে আছে বেশি সময়টা কাটিয়েছি দাদা ঠাম্মার সাথে। মা বাবা চাকরির জন্য প্রতিদিন সকাল দশটার মধ্যে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতেন। বাবা বাড়ি ফিরে অনেক সময় দিলেও মাকে না পাওয়ার ঘাটতি পূরণ হয়নি কোনোদিনই। তাই মায়ের সাথে সম্পর্ক খুব কাছের কোনোদিনই গড়ে ওঠেনি।বড়দির সাথে যা অনায়াসে তৈরি হয়ে গিয়েছিল। একটু সুবিধার্থে জানিয়ে রাখি ঠাম্মাকে আমি বড়দি বলে ডাকতাম। দাদা বড়দি ছিলো যাকে বলে আমার প্রথম বাবা মা। একটা সময় এমন গিয়েছে অভিমানের পারদ এত বেড়ে উঠেছিল মাকে মা বলতে বা কারো সামনে মাকে পরিচয় করতে খুব রাগ হতো। কিছুতেই বুঝতাম না কেন মাকে পাইনা স্কুল থেকে এসে? কেন মাকে পাইনা খেতে বসে? মা কেন চুল বেঁধে দেয়না? মা কেন সবার মায়ের মতো আমাকে স্কুলে নিতে যায়না? দুপুর বেলা কেন একা একা ঘুমাতে হয়?যখন যা ইচ্ছা মাকে বলার জন্য অপেক্ষা করতে হয় কেন? একরাস প্রশ্ন ঘুরতো আমার কচি অবুঝ মাথার মাঝে। খালি মনে হতো বড়ো হয়ে ছেড়ে চলে যাবো মাকে একা রেখে। আমিও কতটা একা ছিলাম মা ছাড়া বুঝিয়ে দেবো।এবারে শুরু হলো আসল বুঝে নেবার জীবনের বড়ো হওয়ার খেলা। ভেবে তো নিয়েছিলাম ছেড়ে যাবো বড়ো হলে। কিন্তু বড়ো হওয়া কাকে বলে? দুবছর আগে যখন কলেজ যেতাম আমার ওজন ৪০ কেজি ছিল। মায়ের জ্বর, বাবার শরীর খারাপ হলে, দাদার শরীর খারাপ করলে চিন্তা হতো না তখনও। মনে হতো না কি করা উচিৎ। আমি আমার নিজস্ব মনের বেগে শুধু কলেজ পালাতাম। নিজের একটা মজাও কোনোদিন কারো জন্য কম্প্রোমাইজ করিনি। অথচ কেমন যেন সময়গুলো সরে সরে যাচ্ছে আমার জীবন থেকে। মনের কত দৃশ্যপট অদ্ভুত নিয়মে পাল্টেও যাচ্ছে অজানা গতিতে। আজ আমার কলেজ আমাকে ছেড়ে দিয়েছে। এখন আমার ওজন ৪৮। আজ যখন আমার মায়ের জ্বর আসে,বাবার শরীরটা খারাপ করে ,দাদাকে বয়স জনিত কারণে নার্সিং হোমে ভর্তি করতে হয় এখন আর কোথাও যেতে মন চায় না। শুধুই ভাবতে থাকি কখন সবাই সুস্থ হবে। মা এখন চাকরি থেকে অবসর নিয়েছে। আর স্কুল যায় না। এখন মনে হয় মা স্কুলে গেলেই ভালো হতো। অন্তত সুস্থ থাকতো। ছুটে বেড়াতো। এই অনুভূতিটাই কি তাহলে বড়ো হয়ে ওঠা? তাহলে যে ঠিক করেছিলাম বড়ো হলে মাকে ছেড়ে চলে যাবো! কিন্তু এখন তো আর যেতে ইচ্ছা হয় না।তাহলে শরীরের ওজন বেড়ে যাওয়াটাকি বড়ো হওয়া নাকি?
মনের অনুভবের পরিবর্তন নাকি শরীরের ওজন বৃদ্ধি কালের সময় চক্রে? বড়ো হওয়ার সংজ্ঞা কোনটা সঠিক কে জানে কারে কয়
অবশেষে কখন যেন বড়ো হয়েই গেলাম।
জ্ঞান হওয়ার পর থেকে বেশ মনে আছে বেশি সময়টা কাটিয়েছি দাদা ঠাম্মার সাথে। মা বাবা চাকরির জন্য প্রতিদিন সকাল দশটার মধ্যে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতেন। বাবা বাড়ি ফিরে অনেক সময় দিলেও মাকে না পাওয়ার ঘাটতি পূরণ হয়নি কোনোদিনই। তাই মায়ের সাথে সম্পর্ক খুব কাছের কোনোদিনই গড়ে ওঠেনি।বড়দির সাথে যা অনায়াসে তৈরি হয়ে গিয়েছিল। একটু সুবিধার্থে জানিয়ে রাখি ঠাম্মাকে আমি বড়দি বলে ডাকতাম। দাদা বড়দি ছিলো যাকে বলে আমার প্রথম বাবা মা। একটা সময় এমন গিয়েছে অভিমানের পারদ এত বেড়ে উঠেছিল মাকে মা বলতে বা কারো সামনে মাকে পরিচয় করতে খুব রাগ হতো। কিছুতেই বুঝতাম না কেন মাকে পাইনা স্কুল থেকে এসে? কেন মাকে পাইনা খেতে বসে? মা কেন চুল বেঁধে দেয়না? মা কেন সবার মায়ের মতো আমাকে স্কুলে নিতে যায়না? দুপুর বেলা কেন একা একা ঘুমাতে হয়?যখন যা ইচ্ছা মাকে বলার জন্য অপেক্ষা করতে হয় কেন? একরাস প্রশ্ন ঘুরতো আমার কচি অবুঝ মাথার মাঝে। খালি মনে হতো বড়ো হয়ে ছেড়ে চলে যাবো মাকে একা রেখে। আমিও কতটা একা ছিলাম মা ছাড়া বুঝিয়ে দেবো।এবারে শুরু হলো আসল বুঝে নেবার জীবনের বড়ো হওয়ার খেলা। ভেবে তো নিয়েছিলাম ছেড়ে যাবো বড়ো হলে। কিন্তু বড়ো হওয়া কাকে বলে? দুবছর আগে যখন কলেজ যেতাম আমার ওজন ৪০ কেজি ছিল। মায়ের জ্বর, বাবার শরীর খারাপ হলে, দাদার শরীর খারাপ করলে চিন্তা হতো না তখনও। মনে হতো না কি করা উচিৎ। আমি আমার নিজস্ব মনের বেগে শুধু কলেজ পালাতাম। নিজের একটা মজাও কোনোদিন কারো জন্য কম্প্রোমাইজ করিনি। অথচ কেমন যেন সময়গুলো সরে সরে যাচ্ছে আমার জীবন থেকে। মনের কত দৃশ্যপট অদ্ভুত নিয়মে পাল্টেও যাচ্ছে অজানা গতিতে। আজ আমার কলেজ আমাকে ছেড়ে দিয়েছে। এখন আমার ওজন ৪৮। আজ যখন আমার মায়ের জ্বর আসে,বাবার শরীরটা খারাপ করে ,দাদাকে বয়স জনিত কারণে নার্সিং হোমে ভর্তি করতে হয় এখন আর কোথাও যেতে মন চায় না। শুধুই ভাবতে থাকি কখন সবাই সুস্থ হবে। মা এখন চাকরি থেকে অবসর নিয়েছে। আর স্কুল যায় না। এখন মনে হয় মা স্কুলে গেলেই ভালো হতো। অন্তত সুস্থ থাকতো। ছুটে বেড়াতো। এই অনুভূতিটাই কি তাহলে বড়ো হয়ে ওঠা? তাহলে যে ঠিক করেছিলাম বড়ো হলে মাকে ছেড়ে চলে যাবো! কিন্তু এখন তো আর যেতে ইচ্ছা হয় না।তাহলে শরীরের ওজন বেড়ে যাওয়াটাকি বড়ো হওয়া নাকি?
মনের অনুভবের পরিবর্তন নাকি শরীরের ওজন বৃদ্ধি কালের সময় চক্রে? বড়ো হওয়ার সংজ্ঞা কোনটা সঠিক কে জানে
Post A Comment:
0 comments so far,add yours