Mohalayar rate radio
শ্রাবণী মজুমদার, লেখিকা, বীরভূম:

দেবশ্রী মজুমদার,  বীরভূম, ২৬ সেপ্টেম্বরঃ  সারা বছর ভুলে থাকলেও, মহালয়ার রাতে বাঙালি রেডিও ছাড়া চলবে না। অগত্যা বাড়ির কোনে অবহেলায় পড়ে থাকা রেডিওর চাহিদা তখন তুঙ্গে।  মহালয়ার ভোরে অর্থাৎ চারটে দশে আকাশবাণীর বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের মাতৃপক্ষের আরাধনা না শুনলে, বাঙালীর মন ভরে না। বীরেন্দ্র কৃষ্ণের গলায় রেডিওতে যেই বেজে ওঠে ‘আশ্বিনের শারদ প্রাতে বেজে উঠেছে আলোক মঞ্জীত, ধরণীর বহিরাকাশে--’ —মনে  হয় মা দুগ গা ঘরের উঠোনে দাঁড়িয়ে। আর তাই রেডিওর প্রয়োজন আজও ফুরিয়ে যায় নি বাঙালীর জীবনে। তাই চরম ব্যস্ততা রেডিও সারাইকারীর দোকানে।  ভিড় দেখা যায় নলহাটি-২ ব্লকের শীতলগ্রাম পঞ্চায়েতের শীতল গ্রামের দত্ত রেডিও সার্ভিস সেন্টারে। বছর তিরিশের নারায়ণ দত্তের খাওয়া দাওয়ার সময় নেই এদিন। রেডিও য় টিভির গাদ লেগে থাকে তার দোকানে।   মহালয়ার দিন বীরেন্দ্র কৃষ্ণের চণ্ডীপাঠের জন্য রেডিওর বিকল্প নেই। তার গলার আবেগ, মাধূর্‍্য কোন দিন ম্লান হবে না। বাঙ্গালীর কাছে পুজো মানেই বীরেন্দ্র কৃষ্ণ। আর বীরেন্দ্র কৃষ্ণ মানেই পুজো। তাই  সারা বছর অবহেলায় বাড়ির এক কোনে পড়ে থাকা রেডিওর চাহিদা, এই মহালায়ার দিনে তুঙ্গে। নারায়ণবাবু হজানান, রেডিওঢ় বিকল্প নেই। তার ভবিষ্যত বানী রেডিও আবার ফিরে আসবে। এখন অভেলা আছে জানি। রেডিও সারাইয়ের আগে ঝুল ঝাড়তে, মাকড়সার বাসা ভাঙতে হয়। কোন কোন রেডিওতে আবার বোলতার বাসাও পেয়েছি। মানুষ কি পাবে সেই গল্প দাদুর আসর, প্রাত্যহিকী , গ্রীষ্মের দুপুরে নাটক,  ছায়াছবির গান, স্থানীয় সংবাদ , ফুটবল খেলার রিলের আনন্দ। বোধ হয় না। কিছুটা তবুও বাঁচিয়েছে রেডিও এফ এম। গ্রাম বাংলায় তো এফ এম ধরে না। তাই বছরের একটা দিন রেডিওকে মনে পড়ে। বেঁচে থাক বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্র!”  মহালয়ার সাত দিন আগে থেকে যে কোন রেডিও সারাইয়ের দোকানে উঁকি মারলে এই ধরণের কথা বার্তা শোনা যাবেই। মনে হবে বাঙালী তার ঐতিহ্য ভোলে নি! তোমাকে চাই!


Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours