Torpon bonchonay nari
প্রিয়াঙ্কা সরকার, লেখিকা, বর্ধমান:

মেয়েদের নাকি "তর্পণ" - এর অধিকার নেই । বিভেদের প্রাচীরে কেবল লিঙ্গ  বিভাজন। প্রভেদের মূলে অদ্ভূত রূঢ়ভাব ; "বিভাজন " শব্দটি কেবল গন্ধ নয়,  দুর্গন্ধ বলাই ভালো।  

প্রথমতঃ আমি আমার পূর্বপুরুষের  আত্মাকে তৃপ্তি দেবো, তার জন্য জলদান করলে সে তৃপ্ত হবে?  এটা কি সম্ভব? বরং যদি প্রার্থনা করি, তবে তার সদগতি প্রাপ্ত হবে। এটা সামগ্রিক, আর জলদান বছরে একবার করে, কি তৃপ্তি দিতে পারি আমরা??  আত্মাকে এইভাবে তৃপ্ত করা যায় কি?

দ্বিতীয়তঃ নিয়মের আয়োজনের ঘরে এতো উপাচার যদি সামর্থ্য না থাকে, তবে কি অর্ঘ্যাঞ্জলি সম্ভব নয়??  আর নারী কেন তা পারে না!!

তৃতীয়তঃ সন্তান" শব্দটির গায়ে তো কোনো লিঙ্গ লেখা থাকে না, তবে কিসের প্রভেদ? মানুষ তো কর্ম নিয়ে যায়। কার্য - কারণের বাইরে তো কোনো কিছুই সম্ভব নয়, তবে এই জলদান কে করলো তা নিয়ে এতো সমস্যা কিসের?

চতুর্থতঃ নারী তো মায়ের জাত৷ মা সন্তানকে যাপন করেন, লালন করেন, তবে সেই মায়ের জাতের কি অপরাধ যে সে তর্পণ করতেই বাধা পাবে!!

পঞ্চমতঃ আমরা তো ভিত্তিকেই বেষ্টন করে চলি, আবার ভিত্তিকেই অস্বীকার করি!!  এ কেমন সামাজিক বিচার!

ষষ্ঠতঃ শাস্ত্রের তর্পণ মন্ত্রে তো কোথাও যোনি বিভাজনের আহ্বান নেই। তবে সমাজের বুকে এমন বিভাজনের অর্থ কি?

সপ্তমতঃ ধর্মের মূর্তি অদৃশ্য। পুণ্য মানেই সত্য, দান, নিয়ম, ক্ষমা, শৌচ, অহিংসা, শান্তি ও অস্তেয়,  আর সর্বাগ্রে রয়েছে এই পথ, তাহলে লিঙ্গ বিভাজন কেবল তর্পণে আঘাত কেন?

অষ্টমতঃ আমাদের জীবনে আমরা মাকড়সার মতো সংসার জালে আমরণ আবদ্ধ। কিন্তু নির্লিপ্ত হয়ে কাজ আমরা করি কয়জন??  এ প্রশ্ন সামনে আসে না, শুধু বিধি আর বিধি!!  আয়োজনের পর আয়োজন। আর সেই সময়, যেমন আদালতে তারিখের পর তারিখ।

নবমঃ আচ্ছা! বেঁচে থাকতে আমরা কি যথার্থ সেবাটুকু করি? তাহলে আর সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন অসহায়  পিতা মাতাকে দেখানো হয় কেন?  কেন রাস্তার ধারে, স্টেশনে বাবা, মাকে ফেলে আসা - দেখতে হয়! তাহলে কি সামাজিক তৃপ্তি দান করতে সক্ষম আমরা!  তাই যদি না হবে!  তবে কিসের বিভাজন জল দানে!!

দশমতঃ সত্য অনুসরণ করতে নাকি একত্র হতে হয়!!  তবে সমাজের বিভাজনের মতো আর বিভাজন হতে সাহায্য করি তো আমরাই। জলসিঞ্চনে তো আগুন নিভে যায়, পরিতৃপ্তি তো অনেক দূর। তবে কেবল ক্রোধের আগুনে মানুষকে হত্যা করি কেন, আমরা!!  কই এখানে তো প্রশ্ন উঠে আসে না, সে আমরা "মানুষ " ; তাই "মান" আর "হুঁশ" নিয়ে বাঁচবো৷ শুধু আয়োজনের প্রশ্নতেই বিভাজন আর বিভাজন। নিয়মের কাঠগড়ায় সবাই বন্দি৷ 

আজ উত্তর দেবে সমাজ! রইলাম অসীম প্রতীক্ষায়... আমি নিষিদ্ধ নারী!

প্রিয়াঙ্কা সরকার, লেখিকা, বর্ধমান:

মেয়েদের নাকি "তর্পণ" - এর অধিকার নেই । বিভেদের প্রাচীরে কেবল লিঙ্গ  বিভাজন। প্রভেদের মূলে অদ্ভূত রূঢ়ভাব ; "বিভাজন " শব্দটি কেবল গন্ধ নয়,  দুর্গন্ধ বলাই ভালো।  

প্রথমতঃ আমি আমার পূর্বপুরুষের  আত্মাকে তৃপ্তি দেবো, তার জন্য জলদান করলে সে তৃপ্ত হবে?  এটা কি সম্ভব? বরং যদি প্রার্থনা করি, তবে তার সদগতি প্রাপ্ত হবে। এটা সামগ্রিক, আর জলদান বছরে একবার করে, কি তৃপ্তি দিতে পারি আমরা??  আত্মাকে এইভাবে তৃপ্ত করা যায় কি?

দ্বিতীয়তঃ নিয়মের আয়োজনের ঘরে এতো উপাচার যদি সামর্থ্য না থাকে, তবে কি অর্ঘ্যাঞ্জলি সম্ভব নয়??  আর নারী কেন তা পারে না!!

তৃতীয়তঃ সন্তান" শব্দটির গায়ে তো কোনো লিঙ্গ লেখা থাকে না, তবে কিসের প্রভেদ? মানুষ তো কর্ম নিয়ে যায়। কার্য - কারণের বাইরে তো কোনো কিছুই সম্ভব নয়, তবে এই জলদান কে করলো তা নিয়ে এতো সমস্যা কিসের?

চতুর্থতঃ নারী তো মায়ের জাত৷ মা সন্তানকে যাপন করেন, লালন করেন, তবে সেই মায়ের জাতের কি অপরাধ যে সে তর্পণ করতেই বাধা পাবে!!

পঞ্চমতঃ আমরা তো ভিত্তিকেই বেষ্টন করে চলি, আবার ভিত্তিকেই অস্বীকার করি!!  এ কেমন সামাজিক বিচার!

ষষ্ঠতঃ শাস্ত্রের তর্পণ মন্ত্রে তো কোথাও যোনি বিভাজনের আহ্বান নেই। তবে সমাজের বুকে এমন বিভাজনের অর্থ কি?

সপ্তমতঃ ধর্মের মূর্তি অদৃশ্য। পুণ্য মানেই সত্য, দান, নিয়ম, ক্ষমা, শৌচ, অহিংসা, শান্তি ও অস্তেয়,  আর সর্বাগ্রে রয়েছে এই পথ, তাহলে লিঙ্গ বিভাজন কেবল তর্পণে আঘাত কেন?

অষ্টমতঃ আমাদের জীবনে আমরা মাকড়সার মতো সংসার জালে আমরণ আবদ্ধ। কিন্তু নির্লিপ্ত হয়ে কাজ আমরা করি কয়জন??  এ প্রশ্ন সামনে আসে না, শুধু বিধি আর বিধি!!  আয়োজনের পর আয়োজন। আর সেই সময়, যেমন আদালতে তারিখের পর তারিখ।

নবমঃ আচ্ছা! বেঁচে থাকতে আমরা কি যথার্থ সেবাটুকু করি? তাহলে আর সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন অসহায়  পিতা মাতাকে দেখানো হয় কেন?  কেন রাস্তার ধারে, স্টেশনে বাবা, মাকে ফেলে আসা - দেখতে হয়! তাহলে কি সামাজিক তৃপ্তি দান করতে সক্ষম আমরা!  তাই যদি না হবে!  তবে কিসের বিভাজন জল দানে!!

দশমতঃ সত্য অনুসরণ করতে নাকি একত্র হতে হয়!!  তবে সমাজের বিভাজনের মতো আর বিভাজন হতে সাহায্য করি তো আমরাই। জলসিঞ্চনে তো আগুন নিভে যায়, পরিতৃপ্তি তো অনেক দূর। তবে কেবল ক্রোধের আগুনে মানুষকে হত্যা করি কেন, আমরা!!  কই এখানে তো প্রশ্ন উঠে আসে না, সে আমরা "মানুষ " ; তাই "মান" আর "হুঁশ" নিয়ে বাঁচবো৷ শুধু আয়োজনের প্রশ্নতেই বিভাজন আর বিভাজন। নিয়মের কাঠগড়ায় সবাই বন্দি৷ 

আজ উত্তর দেবে সমাজ! রইলাম অসীম প্রতীক্ষায়...
Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours