Dhormo ashokti noy

গৌতম দাস, অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার, রাজ্য আবগারি দফতর ও লেখক, কলকাতা:

"ধর্ম" দেখছি এখন শুধু মাত্র কথায় অথচ কাজের বেলায় নেই !                                          ধর্ম অভ্যাস এতো সহজ নয়,ধর্মকে ধারণ করতে হয় জীবনের ও প্রাণের সমস্ত শক্তি দিয়ে, ধর্মের অর্থ বুঝতে হয়। আর যারা ধর্ম না বুঝে যন্ত্রের মতো, মানে আমারা যারা নিয়ম করে ঘন্টা বাজিয়ে পুজো করি বা সকাল বিকাল নামাজ পড়ি , তাতে কোনো কোনো লাভ নেই, প্রতিদিনের কাজের মাধ্যমে যদি ভালো কাজ কিছুই না করা হয় তবে কখনও পুণ্যলাভের কণা মাত্রও আশা করা উচিত নয়, যদিও পুণ্যলাভের ব্যাপারে অনেক তর্ক বিতর্ক হতেই পারে।            যদি ধরে নেওয়া যায় মানুষ  পুণ্যলাভের জন্যই ধর্ম পালন করে, তাহলে সঠিক ভাবে ধর্মকেও লালন পালন করতে হবে। এই পৃথিবীতে সেই মানুষটিই একমাত্র প্রকৃত ধার্মিক যার হৃদয়ের মধ্যে মনুষ্য ধর্মের বীজ নিহিত হয়েছে , একমাত্র তার কাছেই ধর্ম  বিকশিত হয় সঠিক ভাবে। যেমন একটি বিশাল গাছের জন্য বীজের  প্রয়োজন, তে byমনি আমাদের মধ্যে প্রথমে
আধ্যাত্মিকতা বা প্রকৃত ধর্মের বীজ থাকা দরকার , তারপর সেই বীজ থেকে ধীরে ধীরে জন্ম নেওয়া চারাগাছটিকে অবশ্যই  লালন-পালন করে বৃক্ষে পরিণত করতে হবে অর্থাৎ সব সময় সৎ ভাবনা দিয়েই আমাদের চিন্তাকে গড়ে তুলতে হবে, যে ভাবনায় সবার জন্য মন একই ভাবে পীড়িত হবে। যে ভাবে ফল খাওয়ার জন্য গাছের যত্ন করি, ভাতের জন্য কষ্ট করে চাষ করতে হয় এক ই ব্যাপার।                                  যেমন অনেক টাকা মাইনে দিয়ে গৃহশিক্ষক রাখলেও সত্যিকারের আগ্রহ বা ইচ্ছাশক্তি না থাকলে পড়াশোনাটা হয় না, তেমন কোনো আশ্রমের গুরুজি বা মসজিদের মৌলবি কাউকে ধার্মিক বানাতে পারে না, যদি সে সত্যিই ধর্মপ্রাণ না হতে চায়।ধর্মস্থানে দক্ষিনা দান-ধ্যান করেও কিছুই লাভ নেই, নিশ্চিত ঈশ্বর তার ভাগ পায় না বরং গরিব দুঃস্থ দের পেট ভরে খাওয়ালে মনে হয় ঈশ্বরের সেবা হয়।
মুখে শুধুমাত্র কিছু ধর্মের মুখস্ত বুলি আওড়ে বেড়ালেই ধার্মিক হওয়া যায় না, অবশ্য এতে লোকে পণ্ডিত বলে, সমাজে কদর বাড়ে, ভালো রোজগারও হয় !!!  এই শ্রেণীর 'বিশিষ্টরা' কখনই প্রকৃত ধার্মিক হতে পারে না বরং এরা বড়ো একেকজন ভন্ড।                                                অধিকাংশ ব্রাহ্মণ পণ্ডিত বা মৌলবিরা শকুনির মতো, তারা আকাশের (সমাজের) খুব উঁচুতে ওড়ে, কিন্তু তাদের নজর থাকে সবসময় নিচের ভাগাড়ের (অধর্ম) দিকে....
মানো অথবা না মানো তাতে কি আসে যায়!
Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours