গৌতম দাস, অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার, রাজ্য আবগারি দফতর ও লেখক, কলকাতা:
আজ থেকে প্রায় দেড়শ বছর আগে গুজরাতের ভাব-নগরের মহারাজা একটি 'গির' প্রজাতির গরু উপহার দিয়াছিলেন ব্রাজিলকে, তারপর ইতিহাস তৈরী হয়েছিল ব্রাজিলে, ওই 'গির' প্রজাতির গরু থেকে তৈরী করা হয়েছিল অসংখ্য নতুন প্রজাতির সংকর গরু, যা কিনা দৈনিক দশ লিটার দুধ দিতে সক্ষম, ব্রাজিলের দুগ্ধ শিল্পে এক বিরাট পরিবর্তন আনতে সাহায্য করেছিল, একই সঙ্গে অবশ্য ব্রাজিল মূল 'গির' প্রজাতির গরুরও সংরক্ষণ করেছিল।
তারপর আবার আজ থেকে আটান্ন বছর আগে ওই ভাবনগরের রাজাদের বংশধররা আর একটি ষাঁড়কে ব্রাজিলে পাঠায় যার নাম ছিল 'কৃষ্ণ' ,আর এই 'কৃষ্ণ' নামক ষাঁড়টি ছিল সেই 'গির' প্রজাতির প্রথম পাঠানো গরুটির প্রপৌত্র। ব্রাজিলে এখন এই গির' প্রজাতির গরু ছয়লাপ হয়ে গেছে কিন্তু ভারতে লক্ষণীয় ভাবে কমে গেছে এই প্রজাতির গরু। তাই সম্প্রতি উন্নত প্রজাতির দুগ্ধবতী গরুর সংখ্যা বৃদ্ধি করতে এবার ব্রাজিলের কাছ থেকেই গির ষাঁড়ের ঔরস চেয়ে পাঠানো হয়েছে, দুঃখের বিষয় যা ছিল আমাদের দেশের সম্পদ তাই এখন ধার করতে হচ্ছে বিদেশ থেকে! গো-মাতার ভক্ত বা গোমাংস ভক্ষণকারিরা ঝগড়া করছে অনন্ত কাল ধরে কিন্তু এই সঙ্কট নিশ্চয়ই রাতারাতি হয়নি বা বলা ভালো গবাদি পশুদের বিষয়ে দীর্ঘদিনের অবহেলার ফলেই এমন ঘটছেে, কষ্ট হলেও বলা ভালো রাষ্ট্রের ভুমিকা স্পষ্ট নয়!
(সংগৃহীত তথ্য অনুসারে লেখা)
Post A Comment:
0 comments so far,add yours