প্রিয়াঙ্কা সরকার, লেখিকা, বর্ধমান: 

সময়টা ১৫৮১; উইলিয়ামের পিতা মারা গেলেন। শেষ সূর্য বিধবা হতেই অমলিন শোকের সারি বহিঃপ্রকাশ করে, এটাই তো স্বাভাবিক। কিন্তু, ফুলের গুচ্ছ রেখে বিস্মৃতির চরে ব্যস্ত প্রহরের মতো সময় চলে যায়৷ এটাই তো সমস্যা, ভাববার জায়গা কোথায়!! সাদা পাতায় আপসহীন মীমাংসায় ১৫৮২ - তেই  হলো প্রজাপতি স্বাক্ষর। উইলিয়াম এখন  স্বামী হিসাবে নয়, অ্যান - এর শিক্ষক হয়ে আত্মপ্রকাশ করলেন। 

স্বামী যখন শিক্ষক,  তখন শিমুল পলাশের পাপড়ি আবির স্পর্শ করে কৃষ্ণচূড়া। বোধের ঘরে হলুদ শব্দগুলিও নিশ্চলের বুকে শান্তিবাহী ঘোড়া। অ্যানি কি এড়িয়ে গেছে চোখ!!  নাকি মুখ থুবড়ে পড়ে আছে রক্তাক্ত ক্ষতিকর আঘাতগুলো। কে দেবে!!আঁচড়গুলো যে যশের ভিখারি হয় না, বরং ক্ষত - বিক্ষত বোধের প্রেম, অনেকটা অনীশ দেবের গল্প, "কালো ঘাস "।
উপচে পড়া প্লাস্টিকের রুগ্ন সভ্যতার মতো আভিজাত্য হারিয়ে যায়৷ এমনটাই সেদিন উইলের পরিবারে হয়েছিল। আয়ুরেখার ভ্রমণবিলাসে সেদিন শরীরও পোষ্য। এমন করেই তো রক্তের  ঘামে ভরসা শুধুই ঢেউয়ের তীরভূমি৷ আলোররেখায় অস্ফুট শব্দ হয়ে ঝরে যায় সময়ের যৌবন৷ দুঃখমেদীর রাতের জলে এমন করে ধেয়ে যায় সুন্দরীর অবয়ব৷ 

পায়ে পায়ে এগোতেই অ্যানের বুকে তলদেশ খুঁজে পায় নাটকের নায়িকা অনুভব।  আচ্ছা!  এমন করেই কি মনের কোণে পালকবিহীন তরুনীরা হারায় পথ!!  নাকি! এটাই ঐশ্বর্য৷ চাহিদার মাঝখানে তখন ভুখা মিছিল। হাহাকার প্রাণে অ্যানির তখন চোখে জল৷ কারণ!!  সুযোগ এখন তার বিবেকের দরজায় একাই কড়া নাড়ে। 

নাটকের মঞ্চে স্ক্রিপ নিয়েই বিব্রতবোধ। না, এটা প্রেম  তবে নিখাদ নয়। শরীরের প্রতি কোণের মনের আভরণ নেই, যেন বিষাদ রাতের জল৷ দুরন্ত স্রোতে বুক বেয়ে শতেক ভালোবাসা ঢাকা পড়ে যায়, উল্লাসের উষ্ণতা।। এবার অ্যানির কান্না, নিঃস্ব হয়ে যাবো আমি, রিক্ত নয়৷ সে যে অঙ্গচ্ছেদের বাসি অধিবাস...না, এটাই তার ভালোবাসাদের কথা। 

চাঁদ নয়,  এতো তলদেশ খনন৷ শারীরিক সুখে তো কলধ্বনি বেয়ে শুনানি, আজ ক্ষতের শরীরে নাটকের বিজয়ী প্রেম। নীরবতার শতায়ু আশ্বাস.., অবর্ণনীয় দুঃখ।
Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours