মোনালিসা মুখোপাধ্যায়, ফিচার রাইটার, হুগলি:
বন্ধ হোক রক্তলীলা : উৎসব হোক সৌহার্দ্যের।
এক
অতি পুরাতন রীতি যা আমায় ব্যথিত করে তা হল।বলি বা কুরবানী। ধর্ম কে
হাতিয়ার করে এক নিষ্ঠুর হত্যা লীলায় মাতে মানুষ। মান আর হুঁশ যার আছে সেই
মানুষ।
বলি বা কুরবানী কোনোটাই সমর্থন করি না।
নিজের প্রিয় জনের জন্য মানসিক রেখে বলির নামে রক্তের বন্যা আর কুরবানী ও প্রায় এক।
নিজের ভালোর জন্য অসহায় প্রানী হত্যা নির্মম ভাবে কেন?অন্য মায়ের কোল খালি করে কোন মা তার নিজের প্রসাদ চায় জানিনা বা মানিনা।
যারা
বলি দেন তারা বলুন তো কোন মা তার সন্তানের রক্তে স্নান করতে ভালো
বাসেন?চান করিয়ে গলায় ফুলের মালা দিয়ে আদর করে খাইয়ে তার জীবন কেড়ে নেয় এই
সমাজ।
মা সারদা বন্ধ করেছিলেন দক্ষিণেশ্বরে পশুবলি।
ভাবতে কষ্ট হয় ওদের গলায় হাত বুলিয়ে যখন ওদের নিয়ে যাওয়া হয় সেই যে যমদূত সে জানেনা।
কুরবানীর
উট তার গলায় হাত বুলিয়ে তার হত্যাকারী দেখে কোথায় তার সেই শিরা যাতে সে
ছুরি চালাবে।উট আদর ভেবে পায়ের ঘুঙুর নেড়ে গলা বাড়িয়ে দেয় আদরে। তারপর
ছুরির ঘায়ে রক্তাক্ত হয়ে পড়ে যাবার আগে সেও হয়ত বলে আমি যে বিশ্বাস
করেছিলাম।
যদি নিজের প্রিয় জিনিস কে কুরবানী দিতে হয় তাহলে বলব নিজের ঘরের কারোকে দিন। রক্তের জোয়ার বন্ধ হোক।
দুই
ধর্মের ই কিছু মানুষ তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করে এই বলি বা কুরবানী। দাঁড়িয়ে
দেখে সবলের অত্যাচারে দুর্বলের অসহায় মৃত্যু যন্ত্রণা।
যারা বলি দেন বা মানেন তাদেরও বলব নরবলি দিন।
মায়ের যদি রক্তের দরকার তাহলে যে মানুষ অন্যের ভালোর জন্য পশুবলি দেয় তার উচিত নিজেকে বলি দিয়ে প্রমাণ করা সে কত ভালোবাসে তাকে।
আসলে
নিজের মনের অন্ধকারে থাকা রিপু কে কেটে হত্যার বদলে মানুষ নিজের সুবিধামত
বেছে নিল পশুহত্যা করে নিজের মঙ্গলকামনা। কারণ এরা অসহায়। তাই চতুর মানুষ
বেছে নিল সহজ পথ।
আগে ডাকাতির আগে ডাকাতরা নরবলি দিত। ফিরে আসুক সেই প্রথা। আপন জনের আর্ত চিৎকারে ভরে যাক এই লোভী মানুষের চারপাশ।
যদি তা না হয় তাহলে বলব বলিপ্রথা বন্ধ হোক বন্ধ হোক কুরবানী।
মানুষের মধ্যে আসুক সচেতনতা। ভুল ঠিকের লড়াইয়ের মধ্যেই লুকিয়ে সত্য মানবিকতা। তার প্রকাশ হোক।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours