মোনালিসা মুখোপাধ্যায়, ফিচার রাইটার, হুগলি:
যা লিখছি তা আমার ব্যক্তিগত মতামত।
এই
মুহূর্তের সবচেয়ে আলোচিত বিষয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। রানু লতা হল আবার সেই
রানু বেইমান আর ভিখারি তকমা পেয়ে গেল অল্পদিনেই। সাবাস এই সমালোচকদের।
রানু মন্ডল কে যারা বেইমান বলছেন তাদের বলছি আপনার আমার মধ্যেই খুব চতুর ভাবে লুকিয়ে আছে অনেক বেইমান যেটা আরও সাংঘাতিক।
সেয়ানা হলে রানু মন্ডল এই বোকার মত কথা বলে সবার গালি খেতেন না।
আসলে
আমার মনে হয় উনি আপনার আমার মত সেয়ানা পাগল নন। উনি স্বাভাবিক নন। উনি
ভগবানের চাকর বলতে উনি মানুষ আর ঈশ্বরের মাঝখানে লিঙ্কম্যান বা মিডিয়া
বোঝাতে চেয়েছেন আমার মনে হয়। আসলে দিনের পর দিন ভিক্ষাবৃত্তি করে জীবন
কাটানো মানুষ কিছু পেলে সেটা ভগবানের দান বললে খুব বেইমানি হয় না। গুছিয়ে
ইনিয়ে বিনিয়ে ন্যাকামি করে নিজের দিকে ঝোল টেনে নিজের আখের গোছাবার বুদ্ধির
জোর তার থাকলে এটা বলতেন না আমি মনে করি।
আমরা হলে
হয়তো অহংকার করে নিজের প্রতিভার বড়াই করতাম। ওনার ভিডিও দেখে ওনাকে
স্বাভাবিক মনে হয় নি আমার।অসংলগ্ন কথা বলছেন। যারা সমালোচনা করছেন কারোর
সেটা মনে হলো না?মনে হল না ওনার মানসিক চিকিৎসার দরকার? অবহেলা অনাদর তাকে
ক্ষতবিক্ষত করেছে। উনি কারোকে বলেন নি ওনার গানের ভিডিও ভাইরাল করতে। কিছু
অতি উৎসাহী মানুষের দৌলতে তার ভিডিও ভাইরাল। মাথায় তোলা হলো আবার মাটিতে
ফেলা হল।
মিডিয়ার নোংরামির স্বীকার। এই মিডিয়া মাথায়
তুলে নাচতে নাচতে কখন কাকে ফেলবে জানি না আর আমরা সমালোচনার জন্যই তো
বেঁচে আছি ৮০ ভাগ মানুষ।
একজনকে আজ রানু মন্ডল কে
নিয়ে ব্যঙ্গ করে পোস্টে একজনের কমেন্ট দেখলাম যে তিনি বলছেন ভিখারি কে দয়া
দেখাতে নেই ওরা নোংরা জাত। খুব খারাপ লাগায় এই পোস্ট আমার।
সারাদিন যে মানুষ বেইমানী করেই বাঁচে সেও আরেকজনকে বেইমান বলে।
আসলে নরম মাটি আঁচড়ে সুখ লাগে না?
কি কেন কিসের জন্য না জেনে এত লাফালাফি কেন সব সাধু যুধিষ্ঠিরের দলের?
নিজের চরকায় তেল দিন। নিজেকে শুদ্ধ করুন তারপর পরের বিচার হবে।
যে যা বলবে করবে তার দায় সে ভুগবে।
আপনাদের শিক্ষিতদের নোংরামি সব ভিখারিনীর বেইমানী কে ছাড়িয়ে যাচ্ছে। আসলে একটা প্রবাদ খুব মনে পড়ছে
"আঙুর ফল টক।" কাঙ্ক্ষিত বস্তু হাতে না পেয়ে সুযোগ বুঝে তাকে বদনাম করার সুযোগ হাতছাড়া করেন না তারা।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours