জীবন রায়, প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ, রাজ্যসভা:
পরিস্থিতি যে পথে এগুচ্ছে, এটা নিশ্চিত ৩৭০ ধারাকে নিয়ে দলবাজীর খেলা, দেশকে শুধু বিশ্ব রাজনীতিতেই হেয় করবে তা নয়, সাধারনভাবে
দেশের একাত্মতা ভাংগতে থাকবে এবং সব মিলিয়ে পরিস্থিতি শাসক দলকে বিচ্ছিন্ন করতে থাকবে।
-----
সমাজ বিজ্ঞানে মায়াবিকতা বা ইল্যুশানের পরিনাম এখানেই। রাজনীতি যেমনভাবে
আদিভৌতিকবাদ কিংবা ক্লাব ভাবনার দিকে গড়িয়েছে, সে সমকালিন রাজনীতিকদের
হিতাহিত জ্ঞানশূণ্যতার দিকে ঠেলেছে। ক্রমে রাষ্ট্র বিপদগ্রস্ত হয়েছে।
কোন
শাসক কিংবা শক্তিশালী দল কিংবা জন সমর্থনপুষ্ট রাজনৈতিক দল কিভাবে নিজেরই
সৃষ্ট রাজনীতিক একদেশদর্শীতার শিকার হয়ে যায় তা ৩৭০ নিস্কাষন আবার প্রমান
করবে।
সেজন্যেই বলা হয়, রাজনীতিতে গদা ঘোরানো চলে না ।
পথটা সর্বাংশ মানুশের আবেগকে নিয়ে। সেই আবেগের আবার যে শত সহস্ত্র ধারা
বিদ্যমান থাকে
---- সে কথা যারা বোঝেন নাই, তারা কোন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান কিংবা ক্লাবও চালাতে অসমর্থ হবেন।
----
তখন যাদের মাথায় আলতু-ফালতু যুক্তিগুলিই মাথায় ঘুরপাক খেতো এবং সেই
অনুযায়ী একটা রাজ্যকেই কার্য্যতঃ বাতিল করে রাখা হয়েছে, এখন তারা দিন যত
যাবে বিপরীত যুক্তিগুলি দ্বারা ধাবিত হতে থাকবেন।
ইতিমধ্যে
যে সব মুর্খ্যরা ভেবেছিলেন, মূল-ভারতের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়ে
'বাতাসকেও' কব্জা করে ফেলবেন, তারা ভূল প্রমানিত হয়েছেন। বিদেশ বাতাস ধরে,
অসংখ্য প্রতিরোধের ছবি যেমন আসছে, তেমনি পুলিশি সন্ত্রাসের বিচলিত মানুষের
ছবি।
---- অন্যদিকের খবর ধরপাকর অব্যাহত। সিপি আই এম
কেন্দ্রিয় কমিটির সদস্য ইয়াসুফ তালিগামির গৃহবন্দীর দশায় তাকে বারান্দাতেও
আসতে দেওয়া হচ্ছে না । এমনি অবস্ত অন্য সবাইকার।
গতকাল
৩৭০ তুলে দেওয়ার প্রসংগে অটলের সময়কার এ্যাটর্নী জেনারেল সলি সোরাবজীর
বক্তব্য তুলে ধরেছি। তিনি উল্লেখ করেছেন - "৩৭০ এর সিদ্ধান্তটা ঐতিহাসিক
বটে, তবে এমন অনেক সিদ্ধান্ত, হিমালয় প্রমান ভূল প্রমানিত হয়।
অন্যদিকে,
শ্যামাপ্রসাদ মৃত্যু, কাশ্মিরী পন্ডিত নিধন সংক্রান্ত কাহিনী নিয়ে যে সব
গল্প চালু করে মৌ্লবাদীরা কিস্তি মাৎ করার চেষ্টা করেছিলো, তার বিপরীত
ঘটনার বিপুল সমাবেশ ঘটছে।
সেসব ঘটনার চালচিত্র এবং
তার সাথে, ইউ এন ও সমেত যে সব আন্তর্জাতীক প্রতিকৃয়া ভারতে এসে জমা পরছে,
তার চালচিত্রও, আগামী কালের পোস্টিং এ রাখার চেষ্টা করবো।
সব মিলিয়ে, ৩৭০ বাতিল উত্তরকালে, যতই গদা ঘোরানো হোক না কেন পরিস্থিতি ক্রমেই সরকারের হাতের বাইরে যেতে থাকবেই।
৩৭০
বাদীদের কাছে সব থেকে বড়ন দুর্ঘটনা হিসেবে এসেছে, সেই কাশ্মিরী পন্ডিতদের
কাছ থেকে এই পন্ডিতরা সমেত কাশ্মীর ও জম্মুর গন্যমান্য ব্যক্তিত্ব এক
গনদরখাস্ত্বের মাধ্যমে ৩৭০ এর বিরোধীতা করেছেন।
সেই দরখাস্ত বয়ানের সারাংশটি, জাটিকার বয়ানেই তুলে ধরা হোল।
এই সুত্রে এক সংবাদ সংস্থা জানিয়েছেঃ
"आर्टिकल 370 हटाने के खिलाफ कश्मीरी पंडितों ने दायर की याचिका
आर्टिकल
370 हटाए जाने के फैसले से नाराज जम्मू-कश्मीर से ताल्लुक रखने वाले
कश्मीरी पंडित, डोगरा और सिख समुदाय के लोगों ने एक पेटीशन साइन किया है.
ये पेटीशन साइन करने वाले लोगों का मानना है कि सरकार ने ये कदम उठाकर
जम्मू-कश्मीर के लोगों के साथ धोखा किया है. इस पेटीशन के मुताबिक सरकार का
ये कदम गैर लोकतांत्रिक, एकतरफा और संविधान के खिलाफ है.
ये भी पढ़ें: राज्यपाल हमें जहाज न दें, कश्मीरियों से मिलने की आजादी दें: राहुल
जिन
लोगों ने ये पेटीशन साइन किया है उनमें प्रोफेसर, थिएटर कलाकार, पत्रकार,
डॉक्टर, वायुसेना के रिटायर्ड अधिकारी, छात्र और रिसर्च स्कॉलर शामिल हैं.
fbtw
पेटीशन
में मांग की गई है जम्मू-कश्मीर के लोगों का बाहरी दुनिया के साथ कटा हुआ
संपर्क जल्द से जल्द वापस लाया जाए. सभी राजनीतिक प्रतिनिधियों को रिहा
किया जाए. जम्मू-कश्मीर में जिस तरह से सेना की संख्या को बढ़ाकर एक तरह की
घेराबंदी की गई है उसे भी हटाया जाए." (চলবে)
Post A Comment:
0 comments so far,add yours