fiture
মিলন গোস্বামী, সাংবাদিক বীরভূম: 

যেই গৌরবময় নামের সাথে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত বীরভূম, বিশ্বজোড়া যার নাম, যার নাম উচ্চারণ করে গর্ববোধ করে জেলাবাসী, তিনি বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। আর সেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে অবজ্ঞার শিকার হতে হল কর্মক্ষেত্র বীরভূমে।

বীরভূম জেলা পরিষদে সভাধিপতি বিকাশ রায় চৌধুরীর রুমের পাশেই রয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আবক্ষ মূর্তি। বেলা 2:30 বেজে  গেলেও সেখানে কোনো মালা দেওয়া হয়নি। এই খবর সংবাদ মাধ্যম সংগ্রহ করতে গেলে বিষয়টি তখন নজরে আছে জেলা পরিষদের কর্মী ও আধিকারিকদের। যদিও সেই সময় জেলা পরিষদে উপস্থিত ছিলেন না জেলা সভাধিপতি বিকাশ রায় চৌধুরী।

 শুধু জেলা পরিষদইনয় ,একই চিত্র আর টি মোড়ে ।সেখানে রয়েছে সিউড়ি পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত রবীন্দ্রনাথের পূর্ণ অবয়ব  পাথরের প্রতিকৃতি । দুপুর দুটো পর্যন্ত সেখানেও পড়লো না মালা। পথ চলতি ছাত্র থেকে সাধারণ মানুষ সবাই দেখলেন ,কিন্তু কেউ এগিয়ে এলেন না ,কবির কপালে জুটলো না মালা ।এই ঘটনা সিউড়ি পৌরসভার চেয়ারম্যানকে জানালে কার্যত ভুল স্বীকার করে তিনি জানান, বৃষ্টি পড়ছে তাই দেরি হয়েছে, মালা পড়ানো হবে ।
অন্যদিকে জেলা পরিষদের অতিরিক্ত জেলা শাসক অনিচ্ছাকৃত দেরি হওয়ার জন্য ভুল স্বীকার করে পৌনে তিনটার সময় রবীন্দ্রনাথের আবক্ষ মূর্তিতে মালা পরালেন। জানালেন ভবিষ্যতে এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয় সেদিকে সচেষ্ট থাকবেন। যদিও বীরভূমের শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতীর  উদ্যোগে কবির প্রয়াণ দিবসে উপাসনা সংগীতের মধ্য দিয়ে কবির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। বীরভূম জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর উদ্যোগেও জেলার শিল্পী সমন্বয় এ শ্রদ্ধার সঙ্গে কবিকে স্মরণ করা হয়।

 সব মিলিয়ে দিনের শেষে সিউড়ি পৌরসভা, বীরভূম জেলা পরিষদ, সহ জেলার বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে কবির প্রতি শ্রদ্ধা জানানোই খুশি রবীন্দ্র অনুরাগীরা।
 
Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours