গার্গী দাস, সাংবাদিক, কলকাতা:
বয়স
মধ্য জীবনের মাঝ প্রান্তে। তবু মন বশ মানেনি আত্ম স্বার্থের করিকাঠে। এই
জীবনে প্রতিকূলতার নানান ঝঞ্ঝাও তাঁকে গুটাতে পারেনি অভিমানের ব্যক্তি
কুঠরীতে। আসলে মন যে তাঁর সিরাজী বেগমের। তাই তুরি মেরে বাউন্ডারি পার করেন
নিজস্ব বেঁচে থাকার নিত্য যন্ত্রণাকে। আর সামাজিক কাজের ময়দানে
অলরাউন্ডার হয়ে শুধুই রানের জন্য দৌড়াচ্ছেন ক্রিজের এদিক থেকে ওদিকে।
নাম
তাঁর জয়ন্তিকা গড়াই। আসানসোলের ডিসেরগরের বাসিন্দা। সদা হাস্যময়ী জয়ন্তিকা
দেবী বাচ্চা অন্ত প্রান। এই তো সেদিন স্থানীয় নিমজোড়া প্রাথমিক স্কুলের
ক্ষুদে পড়ুয়াদের বেল্ট উপহার দিলেন। দুস্থ ছাত্র ছাত্রীকে হামেশাই বই
খাতা কিনে দেন সেরকম খবর পেলেই।
এলাকার
বিভিন্ন গ্রামের গরীব শিশুদের জন্যও তিনি হামেশাই আয়োজন করেন ভোজন পর্ব।
তিনি নিজেই চলে যান সেইসব গ্রামে। চাকরির ছুটির অবসর পেলেই। নিজে হাতে
রান্না করেন সেখানে। রকমারি রান্না। মধ্যবিত্তের মধ্যে এলাহী মেনু। পেট ভরে
খাওয়ান সেই সব শিশুদের যারা এক ছুটে চলে আসে তার কাছে। নিজেই পরিবেশন
করেন প্রতিটি বাচ্চার খাবারের পাতে নিজের রান্না করা মেনু।
কখনও
এমন হয় কোনও অসহায় ছেলে মেয়ের পোশাক নেই শুনেছেন কোনও ভাবে। ব্যাস
নিশ্চিন্তের ঘুম ছুটলো। তিনি সামর্থ্যের মধ্যে নতুন জামাকাপড় তুলে
দিয়েছেন তাদের হাতে।
কেন
এমন করেন? একগাল লাজুক হেসে বলেন, ফুল আর বাচ্চার মধ্যে কোনও ফারাক নেই।
ওরা যে নিষ্পাপ। ওদের করুন মুখগুলো আমায় বড্ড কাঁদায়। ওদের হাসিগুলো
আমায় বাঁচতে সাহায্য করে। তাই নিজের বাঁচার জন্য সুযোগ ও সামর্থ্য মত
ভালোবেসে এসব করি একেবারে মন থেকে।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours