জয়ন্ত কুমার সাহা, ফিচার রাইটার, কলকাতা:
1825 সালে রামদুলাল দে'র মৃত্যুর পর তার দুই পুত্র ছাতুবাবু ও লাটুবাবু ছয় লক্ষ টাকা খরচ করে পিতৃশ্রাদ্ধ করেন । রাজা নবকৃষ্ণ দেব মাতৃশ্রাদ্ধে খরচ করেন নয় লক্ষ টাকা।গঙ্গাগোবিন্দ মিত্র মাতৃশ্রাদ্ধে খরচ করেন বারো লক্ষ টাকা ।
এ সব প্রায় দু'শ বছর আগের কথা। আজকের দিনে সেই অর্থের অর্থমূল্য ভাবলে শিউরে উঠতে হয়।
আজকের রাজা নবকৃষ্ণরা হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে কন্যাদান করছেন বা বলা ভালো ভূতের বাপের শ্রাদ্ধ করছেন। এসব বানিয়াদের বিন্দুমাত্র দেশপ্রেম কোনওকালেই ছিল না। এরা সস্তায় মোবাইলের ব্যবসায় মুনাফা কামাবে দেশবাসীর পকেট কেটে আর তার বরাত তুলে দেবে অর্থনৈতিক ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে দেশের সবচেয়ে বড় শত্রুর হাতে । এরা যত বড় বানিয়া তার চেয়েও বড় দেশদ্রোহী।
এদের বিয়েতে প্রতি মিনিটের জন্য কোটি কোটি টাকা দিয়ে নর্তকী ভাড়া করা হয়। হাজার হাজার কোটি টাকা উড়িয়ে বিলাস বৈভব আভিজাত্য তথা দেখানোপনা চমকে দেয় সারা পৃথিবীকে।
শ্রদ্ধা যে আদায় করতে পারে প্রকৃত ধনী সেইই । যে বিবাহে পথ শিশুদের আনন্দভোজনের ব্যবস্থা হয়, রক্তদান উৎসব হয়, সেই উৎসবই একজন যথার্থ ধনীর উৎসব ।
পটলডাঙার বসু মল্লিক পরিবারের রাধারমণ মল্লিক ( 1798-1844 ) বিপুল বিত্তের মালিক হয়েও বিলাসবৈভব প্রদর্শনের প্রতিযোগিতায় নাম লেখাননি । দরিদ্রদের অকাতরে সাহায্য করতেন। চাকরির খোঁজে কলাকাতায় আসা আত্মীয়স্বজনদের আশ্রয় দিতেন । দুঃস্থদের পাশে দাঁড়াতেন। মৃত্যুকালীন ইচ্ছাপত্রে পরিবার ছাড়াও সকল দুঃস্থ আত্মীয়দের জন্য বরাদ্দ ধার্য করেছিলেন এবং
নিজের শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের জন্য বরাদ্দ রেখেছিলেন দুই হাজার টাকা ।
আজকের রাজা নবকৃষ্ণরা হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে কন্যাদান করছেন বা বলা ভালো ভূতের বাপের শ্রাদ্ধ করছেন। এসব বানিয়াদের বিন্দুমাত্র দেশপ্রেম কোনওকালেই ছিল না। এরা সস্তায় মোবাইলের ব্যবসায় মুনাফা কামাবে দেশবাসীর পকেট কেটে আর তার বরাত তুলে দেবে অর্থনৈতিক ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে দেশের সবচেয়ে বড় শত্রুর হাতে । এরা যত বড় বানিয়া তার চেয়েও বড় দেশদ্রোহী।
এদের বিয়েতে প্রতি মিনিটের জন্য কোটি কোটি টাকা দিয়ে নর্তকী ভাড়া করা হয়। হাজার হাজার কোটি টাকা উড়িয়ে বিলাস বৈভব আভিজাত্য তথা দেখানোপনা চমকে দেয় সারা পৃথিবীকে।
শ্রদ্ধা যে আদায় করতে পারে প্রকৃত ধনী সেইই । যে বিবাহে পথ শিশুদের আনন্দভোজনের ব্যবস্থা হয়, রক্তদান উৎসব হয়, সেই উৎসবই একজন যথার্থ ধনীর উৎসব ।
পটলডাঙার বসু মল্লিক পরিবারের রাধারমণ মল্লিক ( 1798-1844 ) বিপুল বিত্তের মালিক হয়েও বিলাসবৈভব প্রদর্শনের প্রতিযোগিতায় নাম লেখাননি । দরিদ্রদের অকাতরে সাহায্য করতেন। চাকরির খোঁজে কলাকাতায় আসা আত্মীয়স্বজনদের আশ্রয় দিতেন । দুঃস্থদের পাশে দাঁড়াতেন। মৃত্যুকালীন ইচ্ছাপত্রে পরিবার ছাড়াও সকল দুঃস্থ আত্মীয়দের জন্য বরাদ্দ ধার্য করেছিলেন এবং
নিজের শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের জন্য বরাদ্দ রেখেছিলেন দুই হাজার টাকা ।

সত্যিই ভাবতে বড়ো অবাক লাগে শেষ পর্যন্ত এই গিগাবাইটের কামড় কোথায় পৌঁছে দেবে বা প্রতিদিন প্রতিমুহূর্তে পৌঁছে দিচ্ছে আমাদের বর্তমান এবং পরবর্তী প্রজন্মকে।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours