জীবন রায়, প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ, রাজ্যসভা: 

ডুবতে থাকা অর্থনীতির বিষয়টি এবং বিকল্প যদি বিরোধীরা কিংবা শ্রমিক শ্রেনী সযত্নে কোন গন বিতর্কে উঠিয়ে আনতে পারে, তবে কংগ্রেসের বিরোধীতার মঞ্চ এবং বিপর্য্যয়কর অর্থনীতির দ্বৈত সংগীত শ্রীমোদী সরকারের নাভিশ্বাস তুলতে পারে।

অর্থনী্নীতি  সম্পর্কে গাড়ল না হলে কেউ মানবেন না
----- যে দেশের ব্যক্তিগত বিনিয়োগ বিগত ৩০ বছরে মুরগী থেকে ডবল-হাতী হয়ে গেছে, সেই দেশে বিনিয়োগের অধিকাংশটাই এসেছে কালো পথে এবং উন্মুক্ত অর্ধনীতির ধুলো ঝড়ে বিদেশ থেকে। 
----  এটাও কেউ মানবেন না, গেরুয়া পরহিত থাকলেই হরিদ্বারের গংগাজলে সবাই পবিত্র, কিন্তু সাদা কাপড়ের কিংবা  শিল্পপুজিঁর প্রতিনিধী হলেই অপবিত্র।এই  সুত্রে উল্লেখনীয়, যারা ভারতীয় ব্যঙ্কগুলিকে ডুবিয়ে দিয়ে বিদেশ  পালিয়ে যাওয়ার অনেক পরে, জনরোষে লুক আউট নোটিশ জারী হয়েছিলো। যতদূর মনে আছে,  কেউ কেউ তো বিলেত থেকে দাবী করেছেন, পরামর্শ করেই সাগরপারি দিয়েছেন। 
----  গংগাজল হাতে নিয়ে শপথ করয়ে ভারতের কোন মানুষ বিশ্বাস করবেন না, এই যে দেশের সংসদটাকে  কার্য্যতঃ লেনিনের কথায় 'শুঁয়োরের খোয়ারে' বদলে দেওয়া হয়েছে, তার পেছনে, বিশ্বায়নের ধূলো ঝড়ানো টাকার কোন অবদান নেই,  
---  আজকের দিনে, দেশে কোন ভালোমানুষ বুকে হাত দিয়ে দাবী করতে পাড়বেন না যে তিনি নিজের মর্য্যাদাকে জাতীয় মর্য্যাদাকে একাত্ম করে নিয়ে, দেশের কোন লোকসভা কেন্দ্রে জনসমর্থনের পবিত্রতায় জিতে আসবেন। প; বাংলায় বামফ্রন্টা আমলেও যতটুকু সেই পবিত্রতা ছিলো, সেটা এখন নিশ্বেস। সেকালে শত অভিযোগ থাকলেও, তখন ভোটের জন্য 'টাকা' কিংবা 'সুবিধা' বিলির অভিযোগ কেউ করতে পারবেন না।

মূলকথায় যাওয়ার পূর্বেঃ আরো দুটি কথা বলে নেওয়া উচিত হবে। প্রথমতঃ ইউ পি এ আমলে 
---   এফ বি আই  কে কাজে লাগিয়ে কিংবা না লাগিয়ে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার জন্য  যদি প্রথমে  কাউকে ধরতে  হোত, তা হোল তৎকালিন প্রধানমন্ত্রী নিজেকেই। 
----   শ্রীমোদি আসার পর, আইনগত দিক থেকেই বিদেশী বিনিয়োগের, সংসদীয় নিয়ন্ত্রন কার্য্যতঃ তুলেই দিয়েছিলেন। কাজেই, তাদের কাছে আইনী-বে আইনীর ফরাকটাই উঠে গিয়েছিলো। ইউ পি এ, এক এর প্রধান মন্ত্রীর সেসব বাধা নিষেধ তোলার সাহাস দেখান নাই
----   কিন্তু পাগলের মতো বেসরকারীকরন এবং বিদেশী টাকাকে যখন সংবিধানকে ডিংগিয়ে নিয়ে আসার চেষ্টা হয়েছে, তখন প্রধান মন্ত্রী সমেত অনেকেই জালে ধরা পরতেনই, যদি ধরা। আইন ডিংগানো হয়েছে, সব থেকে বেশী কয়লা শিল্পে। সেই মন্ত্রকের দায়বদ্ধ ছিলেন, প্রথমে প্রধান মন্ত্রী স্বয়ং এবং পরে বিজেপির শ্রীগোয়েল। এই লেখক যেহেতু তখন কয়লায় শ্রমিক সংগঠনের সাধারন সম্পাদক সব কাহিনী জানেন এবং একবার সারাভারত সাধারন ধর্মঘটের নেতৃ্ত্ব দিয়েছেন।

দ্বিতীয়তঃ গত কয়েকদিন ধরে, সারা দেশে যেসব ধরপাকর কিংবা সিবি  আই/ইডি জেরা চলছে, তা থেকে একটা অদ্ভুত চিত্র ধরা পরবে। এমন একটা চিত্র দাড় করানোর চেষ্টা হচ্ছে,
---- যেন ভারতে বুর্জোয়া রাজনীতির সেই অংশই দুর্নীতি পরায়ন যারা ফ্যাসিস্তদের বিরুদ্ধে বিগত নির্বাচনে সক্রীয় ছিলেন।প্রমানিত করার প্রানপন চেষ্টা চলছে,  বুর্জোয়াদের ফ্যাসিস্ত অংশ কিংবা বলা যেতে পারে, বানিজ্য বা মারকেন্টাইল অংশ একবারে গংগাজল ধওয়া তুলসি পাতা।
তৃতীয়তঃ গত পরসুদিন, যেদিন শ্রীচিদাম্বরমকে  সিবিআই আদালতে তোলা হোল, সেদিন দিল্লী ছিলাম। সারা দিল্লী তোলপার এক খবরে। হটাৎ করেই যার নেওয়া জবানবন্দীর উপরে এতো কান্ড, সেই পুলিস অফিসার,যিনি সেদিন পর্য্যন্ত ইডি প্রধান এই মামলায়, তাকে দিল্লী পুলিশে ফেরত পাঠিয়েছে। কেন? কেন?  কেন? 
----- শ্রীচিদাম্বরমের ২৬ তারিখে রিমান্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ার, উপরে সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপে, হটাৎ ইডি হাফিস করে দেওয়ার রহস্য কিঞ্চিৎ পরিস্কার করেছে, বলে আমার ধারনা।লেখক নিজে এরকম পরিস্থিতির ভুক্তভোগী কিনা, সেজন্য তরাং করে পেছনের সম্ভাব্য রহস্যটা তার কাছে স্পষ্ট হয়েছে। 

রাজনীতিতে কেমনভাবে রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে কাজে লাগিয়ে বিরোধীদের ফাঁকফোকরকে, কাজ লাগিয়ে সুবিধা আদায় করতে হয়, বিশেষ করে যদি এসব ফাঁকফোপর 
----- বহূরাষ্ট্রিক বা বৃহৎ পুজির দুই অংশ, সেটা যে একটু হিংস্র হবে সেটা তো স্বাভাবিক।  এই হিংস্ত্রতাটাই ভয়ংকর স্বাপদ জানোয়ারের চেহারা নেবেই, যখন বিরোধটা  সরকার সমর্থক, আদিভৌতিক বা মেটাফিস্কস এবং বানিজ্যিক পুজির স্বার্থ সংরক্ষক 'সংবাদ মাধ্যমকে' একচেটে মাধ্যম করার মরিয়া চেষ্টা চলছে, সরকারের । 
----  প্রাসংগিকভাবে উল্লেখ যোগ্য, এন ডি টি ভির শ্রীরাবিশ কুমার, ম্যাগাস্যা (এসিয়ার নোবেল) পাওয়ার পর, সাধারনভাবে ভারতের সংবাদ মাধ্যম খবরটাকে ব্ল্যাক আউট করাটাকেই সঠিক বলে মনে করেছিলেন।

 এই সুত্রেই  সম্প্রতি,
 মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির একটি মন্তব্য প্রনিধান যোগ্য।তিনি উল্লেখ করেছিলেন, ভারতের সিবি আই হাইক্লাস - যদি না তাদের বিবেচনাগুলি 'রাজনীতির' সাথে সরাসরি যুক্ত হয়ে না যায়।
চিদাম্বরম সংক্রান্ত পুরো মামলাটাই, ব্যক্তি মুনাফার সীমা ছাড়িয়ে একই বৃন্তে দুই রাজনীতির মেরুর পরস্পরের বিরুদ্ধে, অন্যদিকে
--- একপ্রান্তে একচেটে  সংবাদ মাধ্যমের দুই দিকের সংঘাত। 

আরো একটা ইংগিত দিয়ে না রাখলে, ঘটনা প্রবাহ সম্পর্কে কোন স্পস্ট ধারনা সম্ভব নয়।
* গতকাল এবং আজকের সংবাদপত্রে চোখ রাখলেই স্পষ্ট, ভারতের অর্থনীতি কার্য্যতঃ ভেংগে পড়ছে। এ বার্তা শুধু রিজার্ভ ব্যংকের প্রাক্তনীদের বা অতীতের সব অর্থনৈতিক উপদেষ্টাদের তরফ থেকেই নয়, নয় নীতি আয়োগ থেকেও এসেছে।
সব থেকে বড় বিপদ, শেয়ার বাজার কার্য্যতঃ ডুবে যাওয়ায়, এই সরকারের মধ্যবিত্ত ভিত ভেংগে যেতে বসেছে।
----  নীতি আয়োগ, বলেছেন অর্থনীতির এক অংশ এখন অন্যের উপর, পুজিপতিদের একজন অন্যকে বিশ্বাস করতে পারছে না। অর্থনীতির কিছু কিছু খাচা ভেংগে দেওয়ার পরামর্শ দেওয়ায়
----- আজ সব রকমের বড়লোকদের উপর অনেক মকুব ঘোষনা হয়েছে একদিকে, অন্যদিকে স্টেট ব্যংক ডিপোজিটের সুদের হার কমানোর কথা ঘোষনা করেছে
POINT IS THAT WHILE BOTH BJP AND CONGRESS SAILS SAME ECONOMIC PLATFORM FOR PRIVATISED   ECONOMY
---- কিন্তু বিজেপি, যুগপদ নিজিকরন এবং শিল্পগত দাসত্বের নীতিকে মদত দিচ্ছেন
SHRI CHIDAMBARN STANDS THE ONLY PERSON WITHIN CONGRESS, MAY BE INDIA WHO WHILE STANDING THE SAME PLATFORM, CAPABLE TO EXPOSE BJP ECONOMICS. 

ভারতীয় গনতন্ত্রের এই 'অন্তিম কালে', গনতন্ত্র যদি চায় এই ঘটনা  থেকে কিছু
সুবিধা আদায় করে নিতেই পারে।



Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours