ভবানীপ্রসাদ ভট্টাচার্য ফিচার রাইটার দুর্গাপুরঃ স্বগ্রামে প্রত্যাবর্তনের পূর্বে রূপেন্দ্র শ্রীক্ষেত্র অর্থাৎ পুরী ধামে গিয়েছিলেন নগেন দত্তের অনুরোধে! হেতুটি স্ত্রী বিয়োগে তীর্থধাম তাঁকে আকর্ষন করেছিল! এবার এটাও কারন নয় যে নৌকায় তাঁরা যাত্রা করেছিলেন সেখানে শতাধিক নরনারীর চিকিৎসার জন্য তিনিই একমাত্র ভরসা! তিনি পুরী যাত্রায় রাজী হয়েছেন সম্পূর্ন ভিন্ন কারনে! কুসুমমঞ্জরীর অকালমৃত্যু তাঁকে তাঁর নতুন পথের দিশা দিয়ে গেছে!
হিন্দু সমাজের কুপমন্ডুক স্বার্থান্বেষী ব্রাক্ষ্মন্যবাদীরা সমাজের বিরাট অবহেলিত সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষকে শুধু ধর্মের ভয় দেখিয়ে তাদের অচ্ছুৎ করে রেখেছে ! তাঁদের নিয়ে একা তিনি আন্দোলন করতে পারবেন না, কিন্তু ভীতটা রচনা করতে পারবেন! অপর ক্ষতাটার নিরাময় তিনি স্বাগ্রামেই শুরু করতে পারেন! নির্যাতিতা, অবহেলিতা নারীদের স্বমর্যাদায় পুনঃ প্রতিষ্ঠা করা! মৈত্রী, গার্গীর যুগ অতীত! বৈদিকযুগে নারী শিক্ষার দুটি ধারা ছিল, ব্রক্ষ্মবাদিনী ও সদ্যোদ্বাহা, সেও অতীত বহুকাল! বৈদিকযুগে পুরুষের মতো নারীর ব্রক্ষ্মবিদ্যায় অধিকার ছিল! তাঁদেরও উপনয়ন হতো,ব্রক্ষ্মচর্য পালন করতে হতো, যাঁরা দর্শন ও ঈশ্বর তত্বের আলোচনায় অংশ নিতেন তাঁদের বলা হতো ' ব্রক্ষ্মবাদিনী! তাঁদের চিরকুমারী থাকার বা আশ্রমিক হওয়ার আবশ্যিক কোন শর্ত থাকতো না! তাঁরা বিবাহ করে সংসারী হয়েও যোগসাধনায় অংশ নিতে পারতো! রাজবৈভবের মধ্যে থেকেও কাশীরাজ-মহিষী মদালসা রাজ অন্তঃপুরে ব্রক্ষ্মবিদ্যার অধিকারিনী হয়েছিলেন! রাজ্য অন্তঃপুরে থেকেও তিনি ব্রক্ষ্মবাদিনী বিবাহিতা হয়েও ব্রক্ষ্মচারিনী!
এছাড়া আর এক শ্রেনীর নারী শিক্ষার ব্যবস্হা ছিল!তাঁরা ঈশ্বরতত্বের সন্ধানী নয়, তাঁদের অক্ষর পরিচয় হতো, ব্যকরন ও নানা শ্রেনীর কাব্য! সাধারনতঃ প্রাক্ বিবাহ পর্বেই বিদ্যচর্চার ব্যাবস্হা ছিল! তবে বিবাহিতা ও বিধবারাও কেউ কেউ বিদ্যাচর্চার সুযোগ পেতেন! এদের বলা হ'তো 'সদ্যোদ্বাহা'
কালের প্রভাবে ব্রাক্ষ্মনবাদের নারী শিক্ষার চরম বিরোধিতায় বিদ্যোৎসাহিনী নারীরা ক্রমে ক্রমে সমাজ থেকে. নিঃশব্দে হারিয়ে গেল!
রূপেন্দ্র মৃত ধর্মপত্নী কুসুমমঞ্জরীর কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিলেন, নারী শিক্ষার প্রাচীনধারাটি ফিরিয়ে আনবেন! রুপেন্দ্র তাঁর স্যার স্হির করে নতুন সংকল্প নিলেন!
( চলবে)
হিন্দু সমাজের কুপমন্ডুক স্বার্থান্বেষী ব্রাক্ষ্মন্যবাদীরা সমাজের বিরাট অবহেলিত সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষকে শুধু ধর্মের ভয় দেখিয়ে তাদের অচ্ছুৎ করে রেখেছে ! তাঁদের নিয়ে একা তিনি আন্দোলন করতে পারবেন না, কিন্তু ভীতটা রচনা করতে পারবেন! অপর ক্ষতাটার নিরাময় তিনি স্বাগ্রামেই শুরু করতে পারেন! নির্যাতিতা, অবহেলিতা নারীদের স্বমর্যাদায় পুনঃ প্রতিষ্ঠা করা! মৈত্রী, গার্গীর যুগ অতীত! বৈদিকযুগে নারী শিক্ষার দুটি ধারা ছিল, ব্রক্ষ্মবাদিনী ও সদ্যোদ্বাহা, সেও অতীত বহুকাল! বৈদিকযুগে পুরুষের মতো নারীর ব্রক্ষ্মবিদ্যায় অধিকার ছিল! তাঁদেরও উপনয়ন হতো,ব্রক্ষ্মচর্য পালন করতে হতো, যাঁরা দর্শন ও ঈশ্বর তত্বের আলোচনায় অংশ নিতেন তাঁদের বলা হতো ' ব্রক্ষ্মবাদিনী! তাঁদের চিরকুমারী থাকার বা আশ্রমিক হওয়ার আবশ্যিক কোন শর্ত থাকতো না! তাঁরা বিবাহ করে সংসারী হয়েও যোগসাধনায় অংশ নিতে পারতো! রাজবৈভবের মধ্যে থেকেও কাশীরাজ-মহিষী মদালসা রাজ অন্তঃপুরে ব্রক্ষ্মবিদ্যার অধিকারিনী হয়েছিলেন! রাজ্য অন্তঃপুরে থেকেও তিনি ব্রক্ষ্মবাদিনী বিবাহিতা হয়েও ব্রক্ষ্মচারিনী!
এছাড়া আর এক শ্রেনীর নারী শিক্ষার ব্যবস্হা ছিল!তাঁরা ঈশ্বরতত্বের সন্ধানী নয়, তাঁদের অক্ষর পরিচয় হতো, ব্যকরন ও নানা শ্রেনীর কাব্য! সাধারনতঃ প্রাক্ বিবাহ পর্বেই বিদ্যচর্চার ব্যাবস্হা ছিল! তবে বিবাহিতা ও বিধবারাও কেউ কেউ বিদ্যাচর্চার সুযোগ পেতেন! এদের বলা হ'তো 'সদ্যোদ্বাহা'
কালের প্রভাবে ব্রাক্ষ্মনবাদের নারী শিক্ষার চরম বিরোধিতায় বিদ্যোৎসাহিনী নারীরা ক্রমে ক্রমে সমাজ থেকে. নিঃশব্দে হারিয়ে গেল!
রূপেন্দ্র মৃত ধর্মপত্নী কুসুমমঞ্জরীর কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিলেন, নারী শিক্ষার প্রাচীনধারাটি ফিরিয়ে আনবেন! রুপেন্দ্র তাঁর স্যার স্হির করে নতুন সংকল্প নিলেন!
( চলবে)
Post A Comment:
0 comments so far,add yours