প্রিয়াঙ্কা সরকার, লেখিকা, বর্ধমান:
অনন্ত জীবনে আমরা প্রবৃত্তির দাস। প্রবৃত্তি ভয় সূচক। স্বপ্ন তো ঢাকে কান্ডের গভীরে ; সব কিছুতেই অজুহাত, সংশয় মধ্যমূলে ঢুকে গেলে শাঁসমুখ ভেদ করেই কান্নারা আসে... তাই সাজিয়ে রাখি বাণী হৃদয়ে...
“ আমি এমনভাবে পা ফেলি যেন মাটির বুকেও আঘাত না লাগে। আমার তো কারুকে দুঃখ দেবার কথা নয় ”
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়...
আমার শিশুবেলায় বড়ো কৌতুহল হতো, "বৌদ্ধ ভন্তেরা পথে এক সন্তর্পণে পা ফেলেন কেন!!
আজ বুঝি কতো সচেতন সেই চরণ, তথাগত পথ আমার।
" পরে সমাজে দেখেছি পচা পুকুরে কুকুরে টানছে একটা পুঁটলি, বিশ্বাস করুণ! খুব কান্না পেতো। মনে হতো কি আছে, সাদা খামের মতো ভরা কাপড়ের গর্ভে কে লুকিয়ে আছে!! দেখেছি ছোট্ট ছোট্ট বাচ্চা। তখন আমি প্রভেদ শিখেছিলাম। আশাবাদী জীবনে এটাও কি প্রবৃত্তির মধ্যে আছে?? তাই সচেতনের পথটা আমি সন্ন্যাসীদের মধ্যেই পেয়েছিলাম। আর সেই থেকে আমি গেরুয়াকে শ্রদ্ধা করতে শিখি।
আজ বুঝি জীবনে আঘাত দেওয়ার অধিকার কারোর নেই। পথের ধুলোয় ছোট্ট পিপিলিকা কি প্রাণের টানে জীবনের অংশীদার নয়!! রাস্তায় রিক্সাওলাকে দেখে তাকে "তুই " বলে টাকার আভিজাত্য কি দুঃখ দেওয়া নয়!!
আঘাত দেওয়ার অধিকার কার!! শুনছি শাসন করা তারই সাজে সোহাগ করে যে!! সোহাগ বুঝি শরীর বুঝেই পরিচ্ছন্নের তুলি এঁকে দেয়!! না, সচেতন হয়ে চালনা শক্তিও জানতে হয়!! জীবনীশক্তি যদি প্রাবল্যের প্রতিনিধি হয়, তবে যে বিশ্বাসঘাতক থাকে না৷ ছিঁড়ে ফেলতে কতটুকু সময় লাগে বলুন? বরং যাপন করতেই তো আন্তরিক হতে হয়। জলস্রোত, উন্মুক্ত প্রবাহ তো আসেই, তাই বলে আঘাতে যে তীক্ষ্ম স্বর - তা যে প্রত্যুত্তরের সংজ্ঞা দেয়। তাই আঘাত নয়, ভালোবাসা আসুক। যদি ভালোবাসার উদার উপলব্ধি না আসে, তবে থাক অনুভূতি আঁকড়েই থাকি.. চূড়ান্ত আঘাত ধরণীর শুলাঘাত.. বিরত হোক আজ।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours