জীবন রায়, প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ, রাজ্যসভা:

লিখে নিন 
মিডিয়া বিশ্বাসঘাতকতা, মধ্যমবর্গ বা উদারপন্থিদের মধ্যে যুক্তিবাদের পাতালযাত্রায়, শ্রমিকদের যতদিন লেনিন থেকে সরিয়ে রাখা  কিংবা ভারতীয় আর্থ-রাজনীতিতে যত সরিয়ে রাখা যাবে -
---- একপ্রান্তে জাতীয় অর্থনীতির পাতাল যাত্রা এবং অন্যপ্রান্তে ফ্যাসিস্ত রাজনীতির বিপুল সাফল্যের পারস্পরিকতাটাই অস্পষ্ট থাকতে বাধ্য। 
এটাও লিখে নিনঃ
----- যতদিনে অনেক ঝারফুক ওল্টপালটের পর  স্পষ্ট হতে শুরু করবে, ততদিনে হয়তো বা জার্মানীর মতোই ফিরে আসার কোন পথ খোলা থাকবে  না।অবস্য এটা ঠিক জার্মানীর মতো শিল্প-পুঁজির হাত ধরে এদেশে ফ্যাসিবাদকে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে না।এখানে, এটা আসছে, গুজরাট মডেলের ডাকাতে পুঁজি বা মার্কেন্টাইল পুঁজির একটা অতি হিংস্র অংশের হাত ধরে। 
----   গত কয়েকদিনের খবর থেকে স্পষ্ট হচ্ছে, এরকম মারকেন্টাইল পুঁজি পুজির বাজারে প্রয়োজনীয় বিশ্বাসের পারস্পরিকতা রাখতে সব সময় ব্যর্থ হয়। এদের তফাৎ শিল্পপূজিঁতে পজিরঁ অবতারের রোজকার মুনাফা কিছুতেই ৫০০০০ কোটি ডলার  তো দুরের কথা  ৫০,০০০ কোটি কখনো যদি হয়, তবে বুঝতে হবে দেশের শিল্প কাঠামোটাই উঠে গেছে। অন্যরুপে, সেখানের পুঁজিপুংগবের মেয়ে বিয়েতে ১ লাখ টাকার নেমন্তন্য কার্ডও ছাপা হওয়ার সম্ভাবনা নেই। 
-----  বাচোয়া এখানে, এ রকম পুঁজির রাজনীতি যেহেতু খুব ভোতা ধরনের হয়, সেজন্য ওদের হাত ধরে যখন ফ্যাসিবাদ আসে, তখন তা 'গুজরাটের নরসংহার' তান্ডব থেকেও উল্কার গতিতে যেমন আসে
----- অবসানের পর সূর্যোদয়ো ঘটে দ্রুত, অবশ্য যদি ইতিমধ্যে শিল্পপুঁজি এর মধ্যে ঢুকে না যান। 
মার্কেন্টাইল পুঁজির হাত ধরে যখন ফ্যাসিবাদ আসে, তখন অর্থনৈ্তিক বিপর্য্যয়ের একপ্রান্ত যে কেমন করে এক থেকে অন্যপ্রান্তকে কাঁদা-মাটিতে কবর দিতে থাকে 
---- নীতি আয়োগের সহ সভাপতির সতর্কবাণী এবং সাথে সাথে  মাননীয়া অর্থমন্ত্রীর, পুজিপতিদের অনেক সুবিধা ফিরিয়ে দেওয়ার মধ্য দিয়ে স্পষ্ট।  নোবেল জয়ী অমর্ত সেন থেকে, সেই বাজপায়ী আমলের শ্রী বিমল জালান এবং রিজার্ভ্য ব্যঙ্কের পূর্বে পদত্যাগ করে চলে যাওয়া অর্থনীতিবিদদের মতোই বর্তমান রিজার্ভ ব্যংকের প্রধান যে সব সাবধান পাঠিয়েছিলেন,
----- সেগুলি মূলতঃ অর্থনীতির, বিশেষ করে টাকার চলাচল স্থবীর হয়ে যাওয়াকে ঘিরে। কিন্তু নীতি আয়োগের সতর্কবানী ছিলো এক অশনি সংকেত। বলা হয়েছে, সংকট এতো গভীরে পারস্পরিক বিশ্বাস ভেংগে চুরমাড় হয়ে যাচ্ছে।
নিশ্চিতভাবে, মার্কেন্টাইল পুঁজির, পারস্পরিক বিশ্বাসহীনতার  সাধারন রোগটি এখন শিল্প পুজিতেও ঢুকে গেছে।; লিকিউডিটি কিংবা টাকার চলাচলকে নিয়ে কেউ কাউকে বিশ্বাস করতে পারছে না। অর্থনীতির 
অতলযাত্রায় এক থেকে অন্য খাদ-গভীরতায় যখন অর্থনীতি ঢুবতে থাকে,
তখনই এই অবিস্বাস এক থেকে অন্যপ্রান্তে ছেয়ে যায়। 
----- এই সতর্কবানীর পর পর, খবর এলো, ডলারের অনুপাতে  ভারতীয় টাকার দাম, ভূটান কিংবা বাংলা দেশ থেকেও নিচে নেমে গেছে।  

That pertinent question arises out of this background. সংকটের অতল তালানীতে রাষ্ট্রীয় পুজির বিনিয়োগ কিংবা  হস্তক্ষেপকে আগে থেকে আইন করেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। গত দু'দশকে, বিশেষ করে গত পাঁচ বছরে অর্থনীতির উদ্যোগ ইতিমধ্যেই শিল্প পুঁজি থেকে বানিজ্যিক পুজির হাতে চলে যাওয়ায়, 
---- আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনার সম্ভাবনা নেই। কাজেই, অর্থনীতির পা' হরকানী চলতেই থাকবে। 

কিন্তু ইতিমধ্যে অন্য দুটি সর্বনাস হয়ে যাওয়ায়, বিষয়গুলিকে জানার অধিকার শুধু মানুষ হারিয়েছেন তা নয়। জানতে চাওয়াতেও মানুষের মধ্যে ত্রাসের জন্ম হচ্ছে। 
----- আগেই আর টি আই এর সংশোধনই আর টি আই কে উঠিয়ে দিয়েছে।
------ শিল্প বা কৃষি অর্থনীতির উপরে সংসদের অধিকার ইতিমধ্যে কেড়ে নেওয়ায়, সংসদের মাধ্যমে জানার অধিকার মানুষের চলে গিয়েছিলো অনেকদিন ধরেই। এখন  লেনিনের মানদন্ড ব্যবহার করলে, সংসদ কার্য্যতঃ 'শুয়োরের খোয়ার।'
এই পরিস্থিতিতে সংবাদ মাধ্যমে এমনিতেই পংগু। অধিকাংশ কিনে নেওয়া হয়েছে, দেশী-বিদেশী উন্তন্ত টাকার জোরেই। 
--- কালকের খবরে তো , অন্যান্য প্রাতিষ্ঠানিক সংস্থার মতোই প্রেস কাউন্সিলকেই এখন ফ্যাসীবাদী নিয়ন্ত্রনে নেওয়া হয়েছে।

এদিকে উদারবাদ বা মধ্যবিত্ত বুদ্ধিতন্ত্র অপ্রাসংগিক হয়ে যাওয়ায়, তারাও প্রানপনে বোঝাচ্ছেন,- কাশ্মীরে যা ঘটছে, এবং এমন কী প্রেস কাউন্সিলের 
বিক্রি হয়ে যাওয়াটাও শ্রেফ, কাশ্মীরের বিষয়।

Now in all practical purpose nothing is left for the People except the Trade union Movement , to announce itself
as the lone Defender of 
---- People and Truth




Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours