স্বপন দাস, প্রবীণ সাংবাদিক, কলকাতা:
প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী পি চিদাম্বরম গ্রেফতার হবার পর দেশের রাজনৈতিক মহলে একটাই প্রশ্ন উঠে আসছে , এটা কি কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিহিংসার রাজনীতি ? নাকি এর পিছনে রয়েছে অন্য কোন কারণ ?
ইউ পি এ’র এই প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব ,অর্থমন্ত্রী থাকাকালীন , আই এন এক্স মিডিয়া কেলেংকারিতে জড়িয়ে পড়েন। সেই সময়ে বিদেশী বিনিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে , ছেলে কার্তি চিদাম্বরম কে বিশেষ কমিশন পাইয়ে দেবার বিষয়টি মুখ্য হয়ে দাঁড়ায়। ২০০৭ সালের ঘটনার এফ আই আর হয় ২০১৭য়। আর গ্রেফতার ২০১৯ এর অগাস্ট। এখানেও প্রশ্ন উঠেছে , যদি দুর্নিতীই প্রমাণিত হয়ে থাকে , তাহলে তাঁকে গ্রেফতার করতে এত সময় কেন নিল সি বি আই ?
এসব তোকা থাক আইনের জন্য । উত্তর পাওয়া যাবে ঝুব শিগিগিরি, দিল্লীর রাজনৈতিক মহলের একাংশের কথায়, পি চিদাম্বরম বেশ কিছুদিন ধরেই দেশের শাসক দলের নানা সিদ্ধান্তের সমালোচনা করতে শুরু করেছিলেন যুক্তি সহযোগে। সেই যুক্তিকে খন্ডাতে পারছিলেন না শাসক দলের নেতৃত্ব। সেই দিক থেকে মুখ বন্ধ করতে এই পথ নিতে হল বলেও মনে করছেন একাংশ।
অনেক দিক দিয়ে পি চিদামবরম গ্রেফতারের বিষয় দেশের রাজনীতিতে একটা প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে। যেমন এর পর কোন বিরোধী নেতাকে সি বি আই নিজেরদের হেফাজতে নেবে , সেই নিয়ে আশঙ্কার দোলাচলে রয়াছে বিরোধী সব নেতৃত্ব।
রাজনৈতিক মহলের একটি মহল মনে করছে , বিপুল জনসমর্থনে কেন্দ্রে শাসন ক্ষমতায় দ্বিতীয় বারের জন্য এসে, একদিকে যেমন নিজেদের ক্লীন ইমেজ প্রতিষ্ঠা করতে বদ্ধ পরিকর হয়েছে শাসক দল। তেমনি বিরোধীদের সমস্ত দুর্নীতিকে সামনে এনে, অস্বচ্ছতার বিষয়টাকে জনস্বমক্ষে প্রকাশ করতেই পুরোন সব ঘোটালার বিষয়গুলিকে সামনে আনতে চলেছে শাসক দল। এভাবেই বিরোধীদের একদিকে যেমন চাপে রাখা ,অন্য দিকে কোমর ভাঙ্গার খেলায় মেতেছে বিজেপি।এমনটাই মত জাতীয় রাজনৈতিক নেতৃত্বের।
তবে পি চিদাম্বরম ও তাঁর পরিবার যে ধোয়া তুলসি পাতা নন, একথা বারে বারে প্রকাশ পেয়েছে,একথা রাজনৈতিক মহলের একটি অংশ ইতিমধ্যেই বলতে শুরু করেছেন। তাই দেশের রাজনৈতিক মহলের একাংশ পি চিদাম্বরম যে গ্রেফতার হতে পারেন , সেটা তাঁরা আগে থেকেই জানতেন বলেও জানাতে দ্বিধা করছেন না।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours