Politics
জীবন রায়, প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ, রাজ্যসভা:

আঞ্চলিক মাধ্যমগুলি এবং ছোট পোর্টালগুলির জনপ্রিয়তা বৃদ্ধিই এখন
সংবাদের সাথে সাধারনের সম্পর্ক রাখার
---  প্রধান সেতু হিসেবে গড়ে তোলা প্রয়োজন বলে বিবেচিত হয়, তবে শ্রোতা-পাঠকের যুগলবন্দি গড়ে তোলাটা, ভারতীয় ইতিহাসকে এগিয়ে দেওয়া যদি, নাও হয়
---  ইতিহাসকে স্তব্ধ করে দেওয়ার স্বরযন্ত্রকে , আটকে দেওয়ার দিকে কিঞ্চিৎ অনুদান রাখবে।
So long working class, is not returned back to its commanding position, this role for Local & Collective Media intervention would play crucial.

' শিরোনামার'  প্রথমের সাথে দ্বিতীয় অংশের যোগসুত্র সেখানেই যেখানে, গত কয়েকদিন ধরে খবরের কাগযে কিঞ্চিৎ হলেও উল্লেখনিয়ে গুরত্বপূর্ন স্থান করে নিয়েছে। অবস্য, রাবীশ কুমারের ম্যাগাসয় পাওয়া নিয়ে সংবাদ নির্মানকারী জগতের অনিহা
----- সব মিলিয়ে এককথায় আজকের শিরোনামাটি সংকুলিত হয়েছে। 

উল্লেখিত খবরটি কী? যেটা শিরোনামের সবগুই বিষয়কে যুক্ত করেছে।

একলাইনে বলতে গেলে গেলে খবরটি এরকমঃ 

সংসদের উভয় কক্ষ: UAPA  নামে একটি আইন পাশ করেছে।
দ্বিতিয় লাইন যদি যুক্ত করতে হয়ঃ 
এউ এ পি এ আইনকে  অভিজ্ঞতার নিরিখে বাংলায় নিম্নরুপে, এক বাক্যে বলা যাবেঃ " ধর আর বিনাবিচারে আটকের জন্য চালান করে দাও", যতদিন সম্ভব ততদিন।
তৃ্তীয় লাইন যোগ করলে বলতে হবেঃ 
রাজ্য সভায়, যখন "ধর আর জেলে পুরো আইন" পাশ  করা হয়, তাতে 'কংগ্রেস দল আইনের প্রতি সমর্থন দিয়েছেন।
চতুর্থ লাইন যুক্তু করতে হলে বলতে হবেঃ 
এই 'ধর আর জেলে ঢুকাউ আইনে পাশ করায় সি পি আই এম দল, তার প্রথমিক প্রতিকৃয়ায় - একে 'কংগ্রেস দলের "বিশ্বাস  ঘাতকতা" বলে চিহ্নিত করেছেন।
Had India the analytical journalism free from all kind of abuse and surrender, I assume,the following would have been the conclusion of these news altogether.  
সব মিলিয়ে উল্লেখিত খবরগুলির বিশ্লেষন করা হয়ঃ
প্রথম সিদ্ধান্ত যা দাড়াবেঃ
যারা চাইছিলেন নেহেরু পরিবারের হাত থেকে কংগ্রেস রাজনীতিত হাতছাড়া হয়ে যাক , তারা খুশি হবেন এবং একমত হবেন ঃ
----- এই ভয়ংকর আইনে কংগ্রেসের হাত উঠার মধ্যে দিয়ে, কংগ্রেস দল যে, কংগ্রেসের আর এস এস অংশের হাতে ক্ষমতা চলে গেলো, সেটা নিশ্চিত। দ্বিতীয় নিশ্চিতি, সম্ভবতঃ কংগ্রেস যে এখন আর এস এস এর প্রভাবে থেকে দঃক্ষন দিকে ঝুকতে থাকবে, সেটাও ,মোটামুটি ঠিক।
-----  এই সুত্রেই স্মরন রাখতে হবে, বিগত ৭ ২ বছরের ইতিহাসে কংগ্রেস আরো একবার আর এস এস এর নিয়ন্ত্রনে এসেছিলো, শ্রী নর সিমহা রাও এর আমলে। সে সময়ে প্রধান দুটি কাজ হয়েছিলো (প্রথমত) ভারতীয় স্বয়ংসম্পূর্নতাকে বিদেশের কাছে বিক্রির জন্য, 
-------প্রথমতঃ আই এম এফ এর প্রতিনিধী হিসেবে শ্রী মনমোহন সিংকে অর্থমন্ত্রী বানানা হয়েছিল এবং ভারতের প্রতিটি অর্থনৈ্তিক বিভাগে একটা করে আই এম এফ এর সেল, করে দেওয়া হয়েছিলো।
------- দ্বিতীয়তঃ উনার সময়ে বাবরী মসজিদ ভেংগে  ফলা হয়।তখন দিল্লীতে খবর ছিলো, প্রধানমন্ত্রী নিজে নাকি এই  পরামর্শ দিয়েছিলেন এ কাজটা করার জন্য। উনি নাকি ইংগিত করেছিলেন, মসজিদটাই যদি না থাকে, বিরোধ এমনিতেই  মিটে যাবে।
------   কাকতালীয় হলেও মাজার, যোগসুত্র। কাশ্মীরে যখন জংগি হামলা হলছিলো, তখন আমাদের প্রধান মন্ত্রী, সিনেমা শুঠিং এর পরও নাকি চার ঘন্টা  ধরে চা মিষ্টি সেবন করছিলেন। শ্রী নরসিমহা রাও নাকি বাবরী মসজিদ ধ্বংসের সময়  ঘুমোচ্ছিলেন। 

যাই হোক, এসব ইতিহাসের বিবেচনার বিষয় হলেও,  ঘটনা এখানেই, কংগ্রেসে নেহেরু পরিবারের নিয়ন্ত্রন, নির্বাচন পূর্ব কাল থেকেই যেতে শুরু করেছে। রাহুলের সভাপতি থাকতে অস্বিকার করার পর, যে নতুন সন্তুল্মন  ঘটেছে, 
-----  তা নিশ্চিতভাবেই কংগ্রেসের আর এস এস অংশের হাতেই গেছে। অন্যথায়, কিছুতেই " UAPA' পক্ষে কংগ্রেস যেতে পারতো না।
প্রশ্ন উঠবে, কেন UAPA  আইনকে এতো ভয়ংকর হিসেবে দেখা হচ্ছে।  এখন ৩৪ বছরের মাদকতায়,  যদি সাম্যবাদীরা  প্রথমে ৬০ এর দশকে  এবং পরে ৭২ থেকে ৭৫ পর্য্যন্ত সময় কালের ঘটনা বলির কথা ভূলে যান তবে সে কথা স্বতন্ত্র।
-----   নয়তো কিছুতেই, সাম্যবাদীরা আর কংগ্রেসের সাথে  নির্গাবাচনী গাটছড়া বাধার কথা মনে তুলবেন না। তবে ইতি মধ্যে যদি, সরকারিয়ানার পেটে একেবারে চলে গিয়ে থাকে, তবে আলাদা। 

এই পোস্টিং এর লেখক, দু'বার দীর্ঘকালিন বিনা বিচারে জেল খেটেছেন। দ্বিতীয়বার সাধারন কয়েদী হিসেবে। এ ছাড়াও, যতবার গেছি সাধারন ধরপাকরের অংগ হিসেবে, প্রত্যেকবার দেখেছি - বিনা বিচারে আটকের অধিকাংশ হোত, উপর দিকের কোটা পুরনের কারণে।
----- যাকে সামনে পেতো, তুলে নিয়ে যেতো। নানা রকম বিচিত্র অভিযোগ দাড় করিয়ে। জীবন রায়কে তো একবার পুলিশের গাড়ী চুরির অভিযোগ দাড় করিয়ে কয়েক হপ্তার জন্য আটক দেওয়া হয়েছিলো। পরে যখন বিনা বিচার ১৯৭০-৭১ এ এক বছরের জন্য আটকানো হোল,
----- তখন জোরা ছাত্র হত্যা, দুই ছাত্রকে বস্তাবন্দী করে টেনে নিয়ে ফেলার অভিযোগ দাড় করানো হয়েছিলো। 
----- এখনো ভূলতে পারিনে, সেই পাচুগোপাল, বর্ধমানের এস পি, যিনি তার অপকর্মের জন্য সিদ্ধার্থের আমলে পুলিশ পদক দেওয়া হয়েছিলো, বানানো শিকারোক্তি আদায়ের জন্য, ডিপিএল কোলনীর এক ছাত্র কমরেডকে থানায় আটকে রেখে এক সপ্তাহ ধরে টর্চার করেছিলো। সেই পাচুর উপস্থিতিতে, তার হুকুমে সেই ছেলেটির একটা পা'কে টেবিলের পায়ার সাথে পেরেক দিয়ে শেলাই করে দিয়েছিলো। তার পরে তাকে, ছাদ থেকে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিলো।

যাইহোক, 'ধরো,  আর জেলে ঢোকাও' আইনে কংগ্রেসের সমর্থন, ভারতীয় রাজনীতিতে,  অটলের ইচ্ছা অনুযায়ী, ভারতীয় রাজনীতির নতুন ধরনের বিন্যাস শুরু হওয়ার সম্ভাবনা।
------ আর এস এস এখন, কট্টর আর এস এস এবং নরম আর এস এস এর মধ্যে যখন রাজনৈতিক বিন্যাস শুরু করবে, এটা নিশ্চিত
-----    এক প্রান্তে কংগ্রেসের ভেতর, রাহূল এবং প্রিয়ংকার নেতৃ্ত্বে   কংগ্রেসের নেহেরু সত্বা যখন একহওয়ার চেষ্টা করতে থাকবে তখন
-------- নিশ্চিতভাবেই, সাম্যবাদী শিবিরেও, সোভিয়েত পতন কিংবা তিরুনান্তপুরম কংগ্রেসের পর থেকে (সম্ভবতঃ ১৯৯১ হবে) যে আন্তর্জাতীকতাহীনতার পশ্চাতাপসরন এবং ক্রমে সরকারীয়ানার বিস্তার ঘটেছিলো, তা থেকে ফিরে আসার ঝোক শক্তিশালী হতে থাকবে।  
Now let me get back to the last aspects, as indicated in the Head Line.
বিষয়টি এমন দাড়াচ্ছেঃ
আগামী দিনগুলিতে, শ্রমিক শ্রেনী যত সময়, শক্ত শ্রেনী রাজনীতিতে মাথা উচু করে না দাড়াতে পারছে
সাম্যবাদি কিংবা কংগ্রেসে  নেহেরু নীতির সংহতির বিষয়টা পিছিয়ে যেতে থাকবেই।
এই মধ্যব্ররতী সময়ে  সংবাদপত্র বা মিডিয়ার অবস্থান গুরুত্বপূর্ন হতে থাকবে।
-----রাবীশ কুমারের ম্যাগাসাস পুরস্কারের উপর সংবাদ কভারেজ বলে দিচ্ছি, আজকাল কিংবা সংবাদ প্রতিদিনের মতো কাগজ অন্য কারণে আপাততঃ নিরপেক্ষ অবস্থান নিলেও
---- বড় বড় সংবাদের মালিকানা, একই কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রনাধীন থাকার কারণে, ওরা মানুষের বিরুদ্ধে এবং মানুষের শত্রুর সাথে  হাত মিলিয়ে   চলবেই। 
DURING THE INTERMEDIATE PERIOD THE MEDIA IN THE COUNTRY SIDE AND SMALL PORTAL LIKE OFF NEWS  IS SUPPOSED PLAY MOST IMPORTANT ROLE TOWARDS REALIGNMENT OF INDIA'S POLITY TOWARS PEOPLE WHICH I PRESUME THE PEOPLE WOULD APPRECIATE.  (চলবে)



..


Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours