দেবর্ষি মজুমদার, লেখক, বীরভূম:

বিয়ে বাড়ির রিসেপশন মানেই সানাই, রঙিন আলোর রোশনাই, ফুরফুরে সুগন্ধি, আর বিভিন্ন পদের সুবাস! কবজি ডুবিয়ে ভুঁড়ি ভোজন আর কি!  এক কথায়, হই হই ব্যাপার, রৈ রৈ কাণ্ড বলতে যা বোঝায়! 
তার মাঝেই, মহিলা মহলের খুনসুটি, ভাই ! মাথায় টোপর তো পড়লে! কেউ এক কলি গেয়েও শুনিয়েও দিল---
'মাথায় টোপর পড়ার আগে ওজন করে দেখো ,শোলার টুপি লোহার হবে সেটা মনে রেখো '
বিয়ে যে শুধু ওজনদার নয়, কতটা দায়িত্বের উপলব্ধির আগেই- - এক জোড়া হেলমেট নিয়ে হন হন করে -- থানা থেকে আসছি!! বর সৌম্য শংকর চিনতে ভুল করলেন না সিউড়ি ট্রাফিক ওসি সুমন প্রামাণিককে। কারণ তাড়াহুড়োয় হেলমেট মাথায় না নিয়ে বেরিয়েছিলেন বাইরে। স্টেট ব্যাংকের কাছে এই ওসির কাছে ফাইন গুনতে হয়েছিল। নববধূ সায়ন্তীর কাছে চমক। পুলিশ আসায় অনুষ্ঠানে তাল কাটেনি একটুও। কারণ হাতে উপহার, ফুলের ব্যুকে। তাঁদের দুজনের ডিজিটাইজড ছবি দিয়ে স্মারক।আর একগাল হাসি! 
আসাটা তাঁদের সারপ্রাইজ হলেও, আন্দাজ একটু ছিল। কারণ বিয়ে বাড়ি থেকে কেটেরারের ফোন নং নিয়েছিল ট্র্যাফিক পুলিশ। বলা হয়েছিল ' পথ নিরাপত্তা সংক্রান্ত বার্তা' রাখার জন্য অনুরোধ জানানো হবে। সেভ ড্রাইভ সেফ লাইভের প্রচার হিসেবে এখন বিয়ে বাড়িকেই টার্গেট করেছে ট্রাফিক বিভাগ। আগেও একই ভাবে লাভপুরে নবদম্পতিকে হেলমেট দেওয়া হয়েছে। 
এবার একটু পরিচয় দেওয়া যাক। বীরভূমের সিউড়ি শহরের ৭ নং ওয়ার্ডের কালিবাড়ি এলাকায় বর সৌম্য শংকর রায়ের বাড়ি। পেশায় ওষুধ ব্যবসায়ী। ১৫ অগাষ্ট হুগলি জেলার উত্তর পাড়াতে বিয়ে হয়। তার দুদিন পর জাতীয় সড়ক সংলগ্ন এক বেসরকারি ভবনে  ছিল রিসেপশন। নিমন্ত্রিত অতিথিরাও পুলিশের এই প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। জেলা পুলিশ সুপার শ্যাম সিং বলেন, পথ নিরাপত্তা নিয়ে আমরা এই  ধরণের কর্মসূচি নিয়ে থাকি। মানুষ খুব ভালো সাড়া দিচ্ছেন।
নববধূর কাছে এই অভিজ্ঞতা বেশ ভালো। যদিও একটি হেলমেট বাড়িতে আছে। তবে উপহার বলে কথা!  স্বামীর বাইকের পিছনে বসে কোন বিশেষ মুহূর্তে দুজনে এক কলি গুনগুনিয়ে উঠতেও পারেন---এই পথ যদি না শেষ হয়, তবে কেমন হতো-



Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours