জীবন রায়, প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ, রাজ্যসভা:
সাধারনভাবেই শ্লোগান সর্বস্ব রাজনীতি, কোন রাজনৈতিক সত্বাকে যে বৃহত্তম আর্থ-রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক এবং আন্তর্জাতীক পরিস্থিতি থেকে বিচ্ছিন্ন করে,
--- কিভাবে কাউকে হিতাহিত জ্ঞানসূন্য করে দেয়, সে কথাই ৩৭ ০ সংক্রান্ত আগের লেখাগুলিতে উল্লেখ করেছি। ৩৭০ উঠিয়ে নেওয়ার 'যৌক্তিকতা' কিংবা 'আপত্তি' নিরপেক্ষভাবেই বোঝানোর চেষ্টা করেছি
--- কোন বিষয়ে কেউ রাজনৈ্তিক সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় না, কেবল তার 'নৈ্তিক' ঔচিত্য অথবা আইনের ছিদ্রপথ ধরে, সেটা ৩৭০ হোক কিংবা 'তিন তালাক হোক'।
--- ভালো। যে অভিজ্ঞতা থেকে মানুষ একটা কথা বুঝে উঠার সুযোগ পাচ্ছে। আইন, নৈ্তিকতা কিংবা আঞ্চলিক প্রাসংগিতার কোনটিই এককব হাবে কিংবা একসাথে মিলে, রাজনৈ্তিক প্রাসঙ্গিকতাকে নিয়ন্ত্রন করে না।
এসবের এক একটি, তার সামগ্রিকতায় জনগনের পারস্পরিকতাকে কিভাবে প্রভাবিত করছে এবং আরো গুরুত্বপূর্ন
---- কীভাবেই বা কোন আলটপকা সমাধান জনগন বা বিশ্ব সম্পর্কে প্রভাবিত করবে,
---- সেগুলিকে যে আগে থেকে ভেবে চলাকেই রাজনীতি বলে, সে কথাটা মানুষকে বুঝতে,
---- একটা অধিবিদ্যা আধারিত, অপরিনামদর্শী এবং হিংস্র ব্যবস্থাও যে জনচেতনার বিকাশে 'উপকারে লাগতে পারে গত দু'মাসে
--- ধরো আর জেলে ঢুকাও আইন থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার এবং একটি স্বয়ংসম্পূর্ন সংযুক্ত অটোনমাস বডি হিসেবে জম্মু-কাশ্মীরকে ভেংগে দিয়ে, প্রথমতঃ কাশ্মীরকে এবং পরে ভারতকে ধর্মের ভিত্তিতে ভাগাভাগি করে দেওয়ার স্বরযন্ত্র সম্ভবতঃ ফেসে গেলো।
লেখকের ধারনা যদি সঠিক হয়, জাতীয়তা এবং ধর্মের মধে বিরোধ লাগানোর যে বিশ্ব স্বরযন্ত্রের অংগ হিসেবে এই উপমহাদেশের দেশগুলিকে ভেতর থেকেই ভেংগে দেওয়ার যে চেষ্টা চলছে
---- গত কয়েকমাসের ঘটনাবলি, এই কৃত্তিমতার বিরুদ্ধে সংগ্রামে জনগনের ভাবাদর্শগত শক্তি যোগাবে।
৩৭০ বা ভারতের অঙ্গরাজ্য হিসেবে জন্মু-কাশ্মীর নামক রাজ্যটি মুছে দেওয়ার থেকেই এই 'ধর্ম-জাতিসত্বা' গত বিরোধের উস্কানীটাই, আরো বিপদজনক হয়ে উঠেছিলো। এই উস্কানী এমন পর্য্যায়ে গিয়েছে, যে রাজ্যপাল বানানো এক উল্লুক এমন মন্তব্যও করেছেন, কোলকাতার ইষ্টবেংগল ক্লাবকে নাকি কোন, ভারতীয়ের সমর্থন করা উচিত নয়।
--- অন্যপ্রান্তে যখন ভারতীয় বাংগালীরা যদি দিল্লী থেকে রবীন্দ্রনাথকে অপ্রাসংগিক ঘোষনা করায়, অথবা জাতীয় সংগিতকে তুলে দিতে যখন বঙ্কীম চন্দ্রকে লেলিয়ে দিয়ে দিল্লী হাইকোর্টে মামলা হওয়ার পরেও, কোন প্রতিবাদ করেন না
---- অথচ বাংলা দেশ, মুশ্লিম প্রধান রাষ্ট্র হয়েও, যদি বাংলাকে এবং রবীন্দ্র গবেষনায় ভারতের বাংলা থেকে অধিকতর মনোযোগ দিয়ে থাকে
জাতীয়তা এবং ধর্মের মধ্যে যে কোন বিরোধ নাই সেটাই স্পষ্ট করছে।
যাইহোক, এখন এটা নিশ্চিত ৩৭০ বাতিল উত্তর দিন যত এগুচ্ছে এবং এগুতে থাকবে আন্তর্জাতীক এবং জাতীয় ক্ষেত্রে ভারতীয় জাতীয়তার সংহতির দিকেই জনমত শক্তি পেতে থাকবে।
---- ইতিমধ্যেই দেখাগেলো, ভারত-পাকিস্থান সম্পর্কের প্রশ্নে আন্তর্জাতীক সন্তুলন, একই যায়গায় থাকলেও, 'কাশ্মীর জাতীয়তাকে ভারতীয়তার শ্রোতে মিলিয়ে নেওয়ার যে চুক্তি ছিলো, ৭০ বছরের সেই চুক্তিকে রাতারাতি উলটে দেওয়াকে, বিশ্ব ভালোভাবে নেন নাই। জাতীসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের গুপ্ত সভার পর সিকিউরিটি কাউন্সিল থেকে প্রকাশিত বিবৃতি থেকেই তা স্পষ্ট। বলা হয়েছে
---- ",""The Security General made a statement to refrain from any unilateral step which is dangerous. The issue should be resolved in accordance with the UN charter," he said". এই সুত্রে স্মরন রাখতে হবে, বিগত ৭০ বছর ধরে জাতীসংঘে কাশ্মীর নিয়ে যত বিতর্ক হয়েছে, সেখানে ভারত ৩৭০ কে সামনে রেখেই যেহেতু নিজের অবস্থান, সেখানে নিশ্চিতভাবে ৩৭০ এখন সমভাবে বিশ্বব্যবস্থার সম্পদ।
অন্যদিকে, ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম, ইনিয়ে বিনিয়ে যতই ভারতীয় জাতীয়তাকে, ৩৭০কে উপলক্ষ করে যতই খন্ডিত করার অসভ্যতাকে সমর্থন দিক না কেন,
----- ভারতের অন্যান্য জতীয়তাবাদগুলি, সাধারনভাবে এই ব্যবস্থাকে 'দিন-দুপুরে ডাকাতির' মতোই দেখেছেন এবং নিশ্চিতভাবেই ধাপে ধাপে একতাবদ্ধ কাশ্মীর জাতীয়তাবাদের, সাথে সাথে কারারুদ্ধ প্রাক্তন তিন মূখ্যমন্ত্রীদের পাশে দাড়ানোর চেষ্টা করছেন।
পূর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে, কাশ্মিরী পন্ডিতরা সমেত, সাধারনভাবে কাশ্মীরের বুদ্ধিজীবি এবং রাজনৈতিক শক্তি ৩৭০ তুলে নেওয়ার বিরুদ্ধে রুখে দাড়ীয়েছেন। কাশ্মীর থেকেই, ন্যাশানেল কনফারেন্স সমেত অনেক সংবাদপত্র সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছেন।
---- আরো গুরুত্বপূর্ন সংবাদ এসেছে গতকাল।দেশের প্রাক্তন সিভিল সারভিস এবং সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে ছয় জন সুপ্রিম কোর্টে এক যাটিকায় দাবী করেছেন, ৩৭০ ধারা সংবিধানের এক অলংঘনীয় ধারা। এক রাষ্ট্রপতির অধিকার বলে বাতিল করা যায় না । তারা জন্মু-কাশ্মীর পুন;র্গঠন আইনকে বে-আইনী বলে দাবী করেছেন।
এই সুত্রে পি টি আই যে সংবাদ করেছে, সেটা নিম্নরুপঃ
" The petitioners include former Air Vice Marshal Kapil Kak, Retired Major General Ashok Mehta, former IAS officers Hindal Haidar Tyabji, Amitabha Pande and Gopal Pillai, and former member of the Home Ministry’s Group of Interlocutors for J&K Radha Kumar. The petition has been drawn by advocates Arjun Krishnan, Kaustubh Singh and Rajalakshmi Singh and settled by Senior Advocate Prashanto Sen."
এসব মামলা আইনের চোখে কতটুকু টিকবে, সেটা আইনের চুলচেড়া বিচারের যেমন বিষয়, নিশ্চিতভাবেই, সুপ্রিম কোর্টের উপরে জন এবং শাসক রাজনীতির তুল্যমূল্যে প্রভাবিত হবে।
------ এখানে লেখক, একজন সমাজ বিজ্ঞানের ছাত্র হিসেবে, ভারতীয় জাতীয় খন্ডিতকরনের বিপরীতে এসব হস্তক্ষেপকে, রাজনীতির দিক থেকেই নয়
------ ভারতীয়তাকে ধর্মের উপরে স্থান দেওয়ার স্বপক্ষে এক ঐতিহাসিক গন অবস্থান হিসেবে বিবেচনা করছেন। রাজনৈ্তিক অসভ্যতা এবং তঞ্চকতার ডাকাতির বিরুদ্ধে এমন একতা সাম্প্রতিক ইতিহাসে কদ্যাপি দেখা গেছে।
ইতিমধ্যে, মনগড়া গপ্প বানানো এবং যুগের পর যুগ ধরে সত্য বলে চালিয়ে যাওয়া এবং ক্রমে সেসব অসভ্যতাকে রাজনীতির অভিমুখ নির্মান করে নেওয়ার সুবাদে, মিথ্যাকে সত্যজ্ঞানে ৩৭০ এর মতো আন্তর্জাতীকভাবে স্পর্ষকাতর বিষয়ে এই ভয়ংক্র অবস্থান কে ঘিরে
----- বিভিন্ন দিক নিয়ে, তথ্য সমৃদ্ধ যে সব লেখা এবং দলিল সামনে আসছে, সেগুলিও শেষ পর্য্যন্ত, ভারতীয় জাতীয়তার অখন্ড সত্বাকেই শক্তিশালী করবে।
এই সুত্রেই ফ্রন্ট লাইনে, মহারাজ হরি সিং এবং পন্ডিত নেহেরুর কাশ্মীর চুক্তি ছাপিয়ে, সরকারের জাতীয়তা বিরোধী বিপদজনক অবস্থান সম্পর্কে ইংগিত দিয়েছেন। লেখার কভার ছবি হিসেবে, ১৯৪৮ সালে নেহেরু-মহারাজ হরি সিং চুক্তির পর, উভয়ের করমর্দনের ছবিটি, এই লেখার সাথে দিয়ে দেওয়া হোল।
লেখার শিরোনামা করা হয়েছেঃ History of Betrayal on Kashmir বা কাশ্মীর নিয়ে বিশ্বাস ঘাতকতার ইতিহাস। লেখার শুরুতে, যে কথা পুর্বে উল্লেখ করলাম
----- যারা ৩৭০ বাতিল কিংবা বিরোধীতা করেছেন, এমন সব সংবাদপত্রি একটা কথা মেনেছে। যেন সবটাই করা হয়েছে, একটা রাতারাতি যুদ্ধ ঘোষনার মতো ।
ফ্রন্টিয়ার লিখছে" ৩৭০ ধারাকে বাতিল করার নামে কার্য্যতঃ সরকার কবর থেকে একটি মৃতদেহকে তুলে এনে তার কাটাছেড়া করছেন এবং সেটা করছেন - পরে আবার কবর দেওয়ার কারণে।" তারপর লিখছে এরকম অসভ্যতা একটা অজ্ঞ সিভিস সোসাইটীকে কাজে লাগিয়ে , এরকম রাজনৈ্তক লাভের কারণে উন্মত্ততা চালানো চলতে পারতো।
" The vast majority of views offered in various forms of the media over the last few days, whether in favour or against, have evoked the dramatic nature of what was done on August 5, 2019, ... . Although the fact that the current BJP government actually went ahead with the measure that took most people in India and elsewhere by surprise, perhaps the writing had been on the wall."
ফ্রন্ট লাইন আরো বলছেঃ
" In this project Kashmiri Muslims are made to serve as contrapuntal symbols—of terrorist violence, illegitimate religious impulses, sedition—for contriving a mythical Hindu nation. This evocatory purpose that Kashmiris serve is so essential to Hindutva’s discursive politics that it was perhaps inevitable that it would not only continue to be exploited but would be ratcheted up. Reducing the “Kashmir problem” into easily digestible capsules, the BJP’s rhetoric has long focussed on the abrogation of Article 370, which is projected as a blasphemy against the cult of national integration.
এরপর ফ্রন্টলাইনে সেই কথাটাই লিখছে যা গতকাল উল্লেখ করেছিলাম, ২৬ অক্টোবর, ১৯৪৭ এ মহারাজ হরিসিং এর ভারতভূক্তির স্বাক্ষররের পর ১৯৫৩ এর মধ্যেই (সম্ভবত বক্সি গোলাম মহম্মদের বা মীর কাসেমের মূখ্যমন্ত্রিত্ব কালেই) ৩৭০ এর অধিকাংশ বিষয় ভারতীয়তার সাথে একাত্ম হয়েছিলো। "
But countless scholarly works have shown that Article 370 had already been neutered over the course of roughly two decades after its inclusion in the Indian Constitution on October 17, 1949" যে শেখ আবদুল্লা এবং নেহেরুর সম্পর্কে নিয়ে বিজেপি হিন্দুবাদীরা বাজারে অসংখ গল্প চালু করেছিলো, সেই সম্পর্কের পরিনতি সম্পর্কে ফ্রন্টলাইন লিখছে
"Provoked, the Sheikh rearticulated independence as one of the possible options open to the State’s people voting in a plebiscite. Nehru’s government arrested Abdullah in August 1953. He remained in jails and exile on and off until 1975"
ফ্রন্ট লাইন আরো লিখছে ".
Abdullah’s ouster was achieved with the complicity of his erstwhile associates in the National Conference. Bakshi Ghulam Mohammed, ....... Bakshi fulfilled his part of the bargain and his government obtained the State Assembly’s “concurrence” to a Presidential Order issued in 1954 that extended the Indian government’s right to legislate on all matters on the Union List, ।।. In February 1954, he announced that Kashmir had “irrevocably acceded to India more than six years ago and today we are fulfilling the formalities of our unbreakable bonds with India”.
সব মিলিয়ে এটাই আজ প্রমানিত হতে চলেছে, আজ যা কিছু করা হোল তা ভারতীয় জাতীয়তাবাদ থেকে কাশ্মীরকে ধর্মের দোহাই দিয়ে কাশ্মীরের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করতে এবং ভারতকে ধর্মের নামে আড়াআড়ি বিভাজিত করতেই করা হয়েছে। পন্ডীতদের নিয়ে যেসব গল্প বাজারে চলছিলো সেটাকেও উদ্ঘাটন করতে গিয়ে ফ্রন্টলাইন উল্লেখ করেছে
------ কাশ্মীরের আভ্যন্তরীন বিভাজনের লক্ষে ১৯৩০ সাল থেকেই ডোগরা ব্রাহ্মনদের বিরুদ্ধে, শেখ আবদুল্লার কাস্মীরীদের যে বিদ্রোহ চলছিলো, সেটাকেই
-------সেই ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জীর সময় থেকে হিন্দুত্ববাদীরা কাজে লাগানোর চেষ্টা করছিলো।
অন্য একটি বিষয়ে, হিন্দুত্ব ওয়ালাদের প্রচার বুমারেং হয়ে ফিরে আসছে তার উল্লেখ করেছি আগের পোস্টিং এ। ভারতের মানুষ কাশ্মীরী ভ্রহ্মন 'হত্যা' একতরফা প্রচারে বিশ্বাস করেলেও, বিশ্ব তো ভারতীয় সামরিক বাহিনীর নামে মানবিকতা বিরোধী যে সব ছবি বিবিসি কিংবা বিশ্বমাধ্যমের মাধ্যমে বেরুচ্ছিলো, সেগুলি তো দেখছিলো। এখন এই ব্যবহারের পর, সেগুলি এবং অন্যান্যপ্রচারকেও গুরুত্ব দেবেই। সবটা সত্য বলছি না, কিন্তু কাশ্মীর গ্লোবাল নিউজ নামে একটা সংবাদ পত্র যে সংবাদ দিয়েছে, তার কিঞ্চিত মান্যতা দিলেও,
------ ৫ই আগষ্টের ব্যবস্থা যে একটা বেপোরোয়া ব্যবস্থা ছিলো তা মানতে হবে। এই রিপোর্ট থেকে একটা ছবি দিচ্ছি। আর রিপোর্টের অংশ ছেপে দিচ্ছি।
"কাশ্মীরে গত তিন দশকে ৯৫ হাজার ২৩৮ জন কাশ্মীরিকে হত্যা করেছে ভারতীয় বাহিনী। এ সময়ে সাত হাজার ১২০ জনকে কারাবন্দি রাখা হয়েছে।কাশ্মীরি গ্লোবালের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে আসে। এ হিসাব ধরা হেয়েছে ১৯৮৯ সালের জানুয়ারি থেকে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কাশ্মীরের ১১ হাজার ১০৭ নারী ভারতীয় বাহিনীর নিগৃহের শিকার হয়েছেন। এক লাখ ৯ হাজার ১৯১টি আবাসিক ভবন ও স্থাপনা ধ্বংস করা হয়েছে।"
সব শেষে অন্য একটি সংবাদ এবং ছবি ছাপিয়ে, কেন্দ্রকে অনুরোধ করবো রাজনীতির আসল কথাটা বুঝতে । সেখানে দলীয় রাজনীতিকে হুবহু যদি রাষ্ট্রীয় রাজনীতিতে নামিয়ে আনা হয়, তাতে যা ঘটতে চলেছে একজন সমাজ বিজ্ঞানী তার উল্লেখে বলেছেনঃ
------ ৩৭০ বাতিল, কাশ্মীরের যন্ত্রনাকে ভারতীয় যন্ত্রনায় বদলে দেবে। ভালো হবে কিংবা মন্দ জানিনা । কিন্তু
------ এর লোমহর্শক চালচিত্রকে দেখতে পেলাম, ভাইরাল হয়ে যাওয়া একটি ছবিতে। অবাক বিশ্ময়ে দেখলাম, কাশ্মীরের কোন রাস্তায়, স্কুলের মেয়েরা ইটপাটকেল মেরে সামরিক বাহিনীর প্রতিরোধ করছে/
বিনয়ের সাথে লেখকের ধারনার কথাটি উল্লখে রেখেই শেষ করছি
----- জীবন রায় নিশ্চিত ভারতীয় সেনাবাহিনীকে যতই ধর্মের নামে উস্কানো হোক, তারা কিছুতেই, সেই জার সম্রাটের কশাক বাহিনী হতে পারবে না। ভারত তা হতে দেবে না।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours