সীমন্তী দাস, লেখিকা, দুর্গাপুর:
প্রতিটি ঘরের বাইরে কান পাতলেই শোনা যায় নাতি দীর্ঘ গর্জন।বারান্দায় কিছু অপ্রয়োজনীয় টিম
টিমে আলো।
নিভে যাক সব আবছায়া।বড় অপ্রয়োজনীয় আজ ছায়া।
আদি নারীর মিলন হোক অসীমের সাথে।এই সেই নারী যে সরল বিশ্বাসে হাতে তুলেছিল নিশিদ্ধ ফল।নিশিদ্ধ সে জেনেছিল প্রথম কামড়ের পর।দোষ কাটাতে ছিল অমৃত সুধা,ঠোটের ছোঁয়ায় তা নাকি গরল হলো।তারপর শুধু দঙশন আর ক্ষত।আজন্মের ললাট লিখন।
আজ ,আদি নারী মিলন পিয়াসী, হে ছায়াহীন কালো তুমি হাতে হাত রাখো।সঙ্গমে বিলীন হয়ে চল ভেসে যাই সাগরে।সাক্ষী থাক ,শুধু ঐ ব্যাথাতুর লাল গোলক।
সিনেমার কাটা রিলের মত স্মৃতি ভিড় করে আসছে।
মুক্তি পিয়াসী আদি নারী মুক্তি চায়, আরোপিত অসত্যর থেকে, আরোপিত সম্পর্কের থেকে।
হে রাত্রি আপন করো।
হায়, রাত্রি নয়,পশমী উষ্ণতা নিয়ে যায় সেই ঘুম পাড়ানি ছড়ার দেশে।যেখনে লালকমল,নীলকমলের সাথে দেখা হয়।সাত ভাইএর সাথে চম্পা খেলা করে।
প্রথম সূর্য ললাটে সাপ লুডু খেলছে তখনই যেন ঘোর কাটলো।
দূর থেকে ভেসে আসছে মেঠো সুর ,"মিলন হবে কত দিনে,*****।
চাদর জড়িয়ে চললাম হাটে।হাজার পাখির কিচিরমিচিরের মধ্যেই মুরগীর *ককর্ ক* বলে দিলো পাশ্ববর্তী বসতির ঠিকানা।সকালের খেজুরের রস হাতে ছেলেটি পাশে এসে বললো খাবে নাকি দিদি?তাড়াতাড়িতে টাকা নিয়ে আসা হয়নি।ওর সাথে গল্প করতে করতে লজের দিকে হাটতে শুরু করলাম।এইসব প্রান্তিক মানুষের গায়ে কেমন ভোরের শিশিরের গন্ধ লেগে থাকে ।
ওকে খুব ছোঁয়ার ইচ্ছে করলো।ভাইরে জায়গাটা বড্ড পিছল।হাতটা ধরবি?দিদি আসো,বলে হাতটা খপ করে ধরে নিলো।
আমি ভোরের শিশিরের স্পর্শ পেলাম।
তখনো সেই বোষ্টম গেয়েই চলেছেন ,মিলন হবে কত দিনে, আমার মনের মানুষের সনে।
(ক্রমশ)
Post A Comment:
0 comments so far,add yours