সীমন্তী দাস, লেখিকা, দুর্গাপুর:
জন্ম ইস্তক ছেলেটা শুনে আসছে তার কাছের এক ভালোবাসার মানুষ মাঝেমাঝেই জঙ্গলে যায়।তখন তাকে ফোনে পাওয়া যায়না।পেলেও সে ভীষন ব্যস্ত থাকে বাঘেদের সাথে পার্টিতে।সেই পার্টির গল্প জন্ম ইস্তক
শুনে আসা বছর দশের ছেলেটা এমন গল্প বলে যে তাকে যে কেউ ক্ষুদে জিম করবেট ভাবতেই পারেন।ন্যাসানাল জিওগ্রাফির অন্ধ ভক্ত সে।তাই জঙ্গলে যাবো ,তার নিত্য বায়না।
প্রিয় মানুষটির নাতিদীর্ঘ অদর্শনে ছেলেটি ভেবেই নেয়,তিনি বনে গেছেন। তাই তারপর শুরু হয় ঘ্যান,ঘ্যান।আমি কবে যাবো?বড় হলে। তা এবার সেই মহান মানুষটি একদিন জানালো এবারে ডিসেম্বরেই জঙ্গল ভ্রমণ। কোন এক ছুটির দুপুরে দুর্গাপুরকে টাটা করে প্রথমে কলকাতা।সেখান থেকে, পরদিন ভোরে ধর্মতলা থেকে যাত্রা শুরু। এখন কাজের সুত্রে কলকাতা আসা যাওয়া।ব্যস্ততার বাইরে এমন শীত জড়ানো শান্ত শহরটাকে বড্ড অচেনা মনে হল। এ জির লাল বাড়ির দরজায় তালা।হাইকোর্টের আইনদেবী যেন শীতে বেশ কাবু। চেনা জায়গার অচেনা রুপের মুগ্ধতা যেন কাটতেই চায়না। বাসন্তী বাসের বাজখাই হর্নে ঘোর কাটলো। বন্ধুরা বাসের রুপ দেখে মুগ্ধ হয়ে নিজের গাড়িতে যাব এতে যাবোনা ইত্যাদির মাঝে আমরা সদলবলে বাসে জমিয়ে বসলাম।অতিথি বৎসল দাদাভাই সকলকে চা খাইয়ে চাঙ্গা করলেন। যে ছেলেটির এতো উৎসাহ,সে জানালা দিয়ে মুখের ভাপ ছাড়ছে ও দিদিকে বলছে,দেখ আমি সিগারেট খাচ্ছি। দিদিও মজা দেখানো জন্যে জানালা নামিয়ে মুখের ভাপ দিয়ে লিখে ফেললো টুডে ইজ মাই বার্থডে।
সত্যিই আজ মেয়েটার জন্মদিন। সেই প্রিয়মানুষ ও আরো কয়েকজন এলেই বাস ছুটবে বাসন্তী। আগামী তিনটে দিন শুধুই নিজের সাথে নিজের কথা।এক নতুন স্বপ্ন সন্ধানে। (ক্রমশ)
প্রিয় মানুষটির নাতিদীর্ঘ অদর্শনে ছেলেটি ভেবেই নেয়,তিনি বনে গেছেন। তাই তারপর শুরু হয় ঘ্যান,ঘ্যান।আমি কবে যাবো?বড় হলে। তা এবার সেই মহান মানুষটি একদিন জানালো এবারে ডিসেম্বরেই জঙ্গল ভ্রমণ। কোন এক ছুটির দুপুরে দুর্গাপুরকে টাটা করে প্রথমে কলকাতা।সেখান থেকে, পরদিন ভোরে ধর্মতলা থেকে যাত্রা শুরু। এখন কাজের সুত্রে কলকাতা আসা যাওয়া।ব্যস্ততার বাইরে এমন শীত জড়ানো শান্ত শহরটাকে বড্ড অচেনা মনে হল। এ জির লাল বাড়ির দরজায় তালা।হাইকোর্টের আইনদেবী যেন শীতে বেশ কাবু। চেনা জায়গার অচেনা রুপের মুগ্ধতা যেন কাটতেই চায়না। বাসন্তী বাসের বাজখাই হর্নে ঘোর কাটলো। বন্ধুরা বাসের রুপ দেখে মুগ্ধ হয়ে নিজের গাড়িতে যাব এতে যাবোনা ইত্যাদির মাঝে আমরা সদলবলে বাসে জমিয়ে বসলাম।অতিথি বৎসল দাদাভাই সকলকে চা খাইয়ে চাঙ্গা করলেন। যে ছেলেটির এতো উৎসাহ,সে জানালা দিয়ে মুখের ভাপ ছাড়ছে ও দিদিকে বলছে,দেখ আমি সিগারেট খাচ্ছি। দিদিও মজা দেখানো জন্যে জানালা নামিয়ে মুখের ভাপ দিয়ে লিখে ফেললো টুডে ইজ মাই বার্থডে।
সত্যিই আজ মেয়েটার জন্মদিন। সেই প্রিয়মানুষ ও আরো কয়েকজন এলেই বাস ছুটবে বাসন্তী। আগামী তিনটে দিন শুধুই নিজের সাথে নিজের কথা।এক নতুন স্বপ্ন সন্ধানে। (ক্রমশ)
Post A Comment:
0 comments so far,add yours