জীবন রায়, প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ, রাজ্যসভা :
গত সিরিজের লেখায়, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, যুদ্ধ সম্পর্কে স্তালিনের মূল্যায়ন এবং যুদ্ধত্তোর কাল সম্পর্কে স্তালিনের ভবিষ্যতবানী যেমন উল্লেখ করেছি, তেমনি যুদ্ধকালিন সময়ে, ভারতীয় রাজনীতির কিঞ্চিত ঝলক রাখার চেষ্টা করেছি।
এবারের সিরিজে, ক্রুশ্চভবাদ থেকে পেরোস্ত্রোয়ীকা পর্য্যন্ত সময়ে সাম্যবাদী ভাবাদর্শগত অবস্থানে যে নেতীবাচক বদলগুলি এসেছে এবং ভারতীয় সাম্যবাদী আন্দোলনকে তার বিপ্লবী সত্বা থেকে ক্রমে একধরনের 'আরামদায়ক রুপান্তরের পথে, যাকে আমর দক্ষিনমুখীনতা বলে চিনেছি সেটাই বুঝবার চেষ্টা করবো।
এই সুত্রেই বলে রাখি এই 'আরাম' বা 'ভোট' সর্বস্বতার অর্থই হোল, ফ্যাসিবাদের বিপরীত মেরু থেকে, উল্টো যাত্রায় নেমে আসা। এই যাত্রাটাই যে 'সাম্যকে' ফ্যাসিস্ত 'ধর্ম-কর্মের' কাছাকাছি নিয়ে আসব, সে কথাটা আমাদের যুব-ছাত্র, অতি শিক্ষিতরা ময়দানী অভিজ্ঞতাহীনতার কারণে, ঠিক বুঝে উঠতেই পারেন নাই বলে মনে হয়।
এইভাবেই, একপ্রান্তে বিপ্লবী সত্বায় ক্ষয় নিয়ে এসেছিলো এবং যুগপদ এদেশে ও বিশ্বে
------ প্রথমে উদারনীতিবাদের প্রশ্রয়, পরে তাকে বিশ্বপুজির আগ্রসনে ছেড়ে দিয়ে তাকে নিস্ব করার সাথে সাথে এদেশেও 'সাম্যকে' এক দিকে ইতিহাসের প্রতি দায়বদ্ধ অন্যপ্রান্তে সুবিধাবাদের দোলাচলে ঠেলেছে। ----------- প্রথমেরো আগে থেকে সি পি আই এম, বিশেষ করে ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলনের আনাচে-কানাচে টিকে থাকার কারণে, এই মেটামরফসিস যেমন দেখেছি, তেমন এই লেখায় লিখে যাচ্ছি, ইতিহাসের পাতায়।ভবিষ্যতের জন্য। (চলবে)
Post A Comment:
0 comments so far,add yours