মুজতবা আল মামুন, সাংবাদিক, কলকাতা : লেক গার্ডেন্সের শিবু দাস মধ্য বয়সের এক মানুষ। সত্যিকারের "মানুষ"। পেশায় তবলাবাদক, নেশায় সমাজ-সচেতক । ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ান। নিরাপদ ড্রাইভিং, জলের অপচয়, প্লাস্টিকের যথেচ্ছ ব্যবহার, পরিবেশ, পরিচ্ছন্নতা..... ইত্যাদি বিষয়ক সচেতনা পোস্টার দিয়ে বাইক সাজিয়ে, বেরিয়ে পড়েন পথে। উদ্যোগ একেবারেই ব্যক্তিগত ।
কথা বলছিলাম তাঁর সঙ্গে। এই নষ্ট সময়ে, মানুষ বড় আত্মকেন্দ্রিক। নিজেকে নিয়েই তাদের সব পরিকল্পনা। সেই সময়রেখায় দাঁড়িয়ে, পকেটের পয়সা খরচ করে, মানুষকে সচেতন করার দায় পড়েছে কার ? শিবু দাসের ভাবনা কিন্তু ইতিবাচক। তিনি মনে করেন, দূষণ যখন আমাদের চারদিক দিয়ে ঘিরে ধরছে, তখন এই সচেতনা প্রচার এক পবিত্র কাজ, পূণ্যের। তাঁর ভাষায়, তবলার টিউশন করি। অনুষ্ঠানেও বাজাই। তা থেকে যা আসে, তার ৬০ শতাংশ সংসারে দিই, বাকি ৪০ শতাংশ দিই বিশ্বসংসারকে।
বিশ্ব সংসার আমাকে এই সুন্দর পৃথিবীতে পাঠিয়েছে, আলো-বাতাস-জল-খাদ্য দিয়ে বাঁচিয়ে রাখছে। তার বদলা আমাদেরও কিছু দেওয়া দরকার। ঘুমান কম। সারাদিনে তিনি ৪-৫ ঘন্টা এই প্রচারের কাজে ব্যয় করেন। ৪-৫ ঘন্টা পেশাগত দিকে দেন। বাইক সাজিয়ে বেরিয়ে পড়েন কোনওদিন ডায়মন্ড হারবারের দিকে। কোনওদিন বনগাঁ। চলে যান মেদিনীপুরের দিকে। আর শহর কলকাতার কোনও অলি-গলি ঘোরা তাঁর বাদ নেই। কীভাবে এই ভাবনা এলো ? জবাবে শিবুবাবু জানালেন, ছোটবেলায় একটা ভয়াবহ দুর্ঘটনা দেখে ধাক্কা খেয়েছিলাম। সেদিনই ঠিক করেছিলাম, মানুষের জীবন যাতে অকালে ঝরে না যায়, তার জন্যে প্রচার চালাবো। একটু স্বাবলম্বী হওয়ার পর, গত ৯ বছর ধরে এই সচেতনা প্রচার চালিয়ে যাচ্চি। তাতে যদি একজন মানুষেরও জীবন বাঁচে , আমার প্রচেষ্ট স্বার্থক হবে। তিনি পোস্টারের বক্তব্য নিজেই ছড়া আকারে লেখেন। তাঁর ইচ্ছা, এই ছড়াগুলো একত্রিত করে, বই আকারে ছাপিয়ে, স্কুলে স্কুলে বিতরণ করবেন। তিনি আজ যা করছেন, তা সরকারের করার কথা। সরকার মোড়ে মোড়ে ক'টা হোর্ডিং ঝুলিয়ে দায়িত্ব শেষ করেছে। এতে মানুষের কাছে পৌঁছনো যায় না। শিবু বাবু এই কাজে বাড়ির দরজায় হাজির হচ্ছেন।
বোঝাচ্ছেন। আজ পর্যন্ত সরকারি সাহায্য -সহযোগিতা পান নি। যা করেন, নিজের খরচে ও উদ্যোগে। তাতেই তাঁর আনন্দ। ভালোবাসাও পান। নানা অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত হন। এ বিশ্বকে বাসযোগ্য করতে, শিবু দাসের মত কিছু মানুষের আজ বড় প্রয়োজন। আসুন, তাঁদের পৃষ্ঠপোষকতা করি। আমাদের স্বার্থেই।
বিশ্ব সংসার আমাকে এই সুন্দর পৃথিবীতে পাঠিয়েছে, আলো-বাতাস-জল-খাদ্য দিয়ে বাঁচিয়ে রাখছে। তার বদলা আমাদেরও কিছু দেওয়া দরকার। ঘুমান কম। সারাদিনে তিনি ৪-৫ ঘন্টা এই প্রচারের কাজে ব্যয় করেন। ৪-৫ ঘন্টা পেশাগত দিকে দেন। বাইক সাজিয়ে বেরিয়ে পড়েন কোনওদিন ডায়মন্ড হারবারের দিকে। কোনওদিন বনগাঁ। চলে যান মেদিনীপুরের দিকে। আর শহর কলকাতার কোনও অলি-গলি ঘোরা তাঁর বাদ নেই। কীভাবে এই ভাবনা এলো ? জবাবে শিবুবাবু জানালেন, ছোটবেলায় একটা ভয়াবহ দুর্ঘটনা দেখে ধাক্কা খেয়েছিলাম। সেদিনই ঠিক করেছিলাম, মানুষের জীবন যাতে অকালে ঝরে না যায়, তার জন্যে প্রচার চালাবো। একটু স্বাবলম্বী হওয়ার পর, গত ৯ বছর ধরে এই সচেতনা প্রচার চালিয়ে যাচ্চি। তাতে যদি একজন মানুষেরও জীবন বাঁচে , আমার প্রচেষ্ট স্বার্থক হবে। তিনি পোস্টারের বক্তব্য নিজেই ছড়া আকারে লেখেন। তাঁর ইচ্ছা, এই ছড়াগুলো একত্রিত করে, বই আকারে ছাপিয়ে, স্কুলে স্কুলে বিতরণ করবেন। তিনি আজ যা করছেন, তা সরকারের করার কথা। সরকার মোড়ে মোড়ে ক'টা হোর্ডিং ঝুলিয়ে দায়িত্ব শেষ করেছে। এতে মানুষের কাছে পৌঁছনো যায় না। শিবু বাবু এই কাজে বাড়ির দরজায় হাজির হচ্ছেন।
বোঝাচ্ছেন। আজ পর্যন্ত সরকারি সাহায্য -সহযোগিতা পান নি। যা করেন, নিজের খরচে ও উদ্যোগে। তাতেই তাঁর আনন্দ। ভালোবাসাও পান। নানা অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত হন। এ বিশ্বকে বাসযোগ্য করতে, শিবু দাসের মত কিছু মানুষের আজ বড় প্রয়োজন। আসুন, তাঁদের পৃষ্ঠপোষকতা করি। আমাদের স্বার্থেই।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours