ভবানীপ্রসাদ ভট্টাচার্য্য, ফিচার রাইটার, দুর্গাপুরঃ গোপভুমের রাজা ভল্লুপদ সম্পর্কে প্রকৃত পক্ষে কোন ইতিহাস নির্ভর তথ্য নেই! এ সম্পর্কে জানতে কিছু কিংবদন্তী ও কয়েকজন কবি গ্রন্হকারের লেখা কাব্য ও গ্রন্হের উপর নির্ভর করতে হয়! ঞ্জানেন্দ্রনাথ কুমার তাঁর ' সদগোপ জাতির ইতিহাস ' গ্রন্হে উল্লেখ করেছেন, রাঘব সিংহ ভল্লুপদ নামে একজন সৌরাষ্ট্র বা সুরাট থেকে এসে বর্ধমানের অমরার গড়ে এসে বসতি স্হাপন করেন!
'সদপোপ কুলীন সংহিতা ' নামে অন্য একটি গ্রন্হে জনৈক গ্রন্হকার লিখেছেন -ভল্লুপদ ভালুক সেবিত রাজকুমার এবং এনার পিতা অযোধ্যার
নরপতি থেকে স্বপরিবার গঙ্গাসাগর যাচিছিলেন , পথে আসন্ন প্রসবা স্ত্রীর প্রসব যন্ত্রনা উঠলে এখানে অর্থাৎ বর্তমান অমরার গড়ের গহন অরন্যে আশ্রয় নেন এবং এক সন্তানের জন্ম দেন কিন্তু সন্তান মৃত মনে হওয়ায় তাকে তাঁরা পরিত্যাগ করে চলে যান তার পরের কাহিনী প্রায় একই!
রাজা ভল্লুপদের জন্মবিতান্ত নিয়ে প্রচলিত কাহিনীর কোন প্রামান্য তথ্য নেই সবই কিংবদন্তী, জনশ্রুতি ও লোককথা নির্ভর! কিন্তু এগুলি কি একেবারেই অবান্তর? এ প্রসঙ্গে প্রখ্যাত গবেষক বিনয় ঘোষ তাঁর ' পশ্চিম বঙ্গের সংস্কৃতি ' গ্রন্হে লিখেছেন, " কোন কাহিনী বা কল্পনা জনমনে প্রভাব বিস্তার করে তার মূল থাকা সম্ভব...' তাই একথা স্বীকার করতেই হয় কিংবদন্তী, জনশ্রুতি ও লোককথার পশ্চাতে থাকে কিছু বাস্তব ঘটনা!
রাজা ভল্লুপদ ক্ষত্রিয়জাত কিনা সে বিয়য়ে দ্বিমত থাকলেও তিনি গোপভুমের একাংশে স্বাধীন গোপরাজ্য
প্রতিষ্ঠা করে ছিলেন!
রাজা ভল্লুপদের জন্মরহস্য নিয়ে কয়েকটি কিংবদন্তী ও জনশ্রুতি থাকলেও প্রথমোক্ত কিংবদন্তীটি অধিক প্রচলিত! ভালুকের কবল থেকে রক্ষা করে ভালুকের ন্যয় লোমশ শিশুকে সন্তান স্নেহে এড়ালের ব্রাক্ষ্মন দম্পতি বড় করতে লাগলেন!
কিন্তু সেই শিশু যত বড় হতে লাগল তার দেহের অতিরিক্ত লোমগুলি ঝরে১ যেতে লাগল! পূর্ন যৌবনে সে এক সুদর্শন যুবকে পরিনত হ'ল! (চলবে)
Post A Comment:
0 comments so far,add yours