জীবন রায়, প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ, রাজ্যসভা:
কংগ্রেস যত জাতীয়তার কথা বলুক না কেন, সংখ্যাগরিষ্ট
আর এস এস অংশ সব সময় আমেরিকার ছত্রছয়ায় ভারতকে
রাখতে চেয়েছে। তা না হলে, কয়েক লক্ষ সাঙ্গপাঙ্গ সমেত দলাই লামাকে
কেন ভারতে নেমন্তন্য করে আনা হবে? এখন উনি চুটিয়ে বিজেপি করছেন।
---- সাম্যবাদী আন্দোলন সম্পর্কেও আগের একটা পর্বের দুটো লেখায়, ভারতীয় পরিপ্রেক্ষিতে, আন্তর্জাতীকতার সাথে জাতীয়তার সম্পর্কটি বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করেছি । কোথায় এবং কিভাবে আন্তর্জাতীকতার আয়নায় জাতীয়তাকে দেখতে হবে, অন্যটি কিভাবে জাতীয়তা আন্তর্জাতীকতায় মিসবে তার একটা চালচিত্র রাখার চেষ্টা করেছি, নব্য সাম্যবাদীদের জন্য।
যুদ্ধোত্তরকালে , কংগ্রেসের অর্থনীতি এবং বিদেশনীতির সাতজে রাজনীতিতে রামরাজ্যের প্রভাব জনীত কারণে যখন আভ্যন্তরীন ভাবাদর্শগত অবস্থানে একটা পচন্ড দ্বন্দ্ব বিদ্যামান ছিলো তখন
----- সাম্যবাদী নীতি এবং সংগ্রামে, লেনিনবাদী নীতিগুলি সম্পর্কে কোন রকম দোলাচল, শুধু সাম্যবাদী, দলের আভ্যন্তরীন সন্তুলান দেশে এবং বাইরের চরম দক্ষিন পন্থিদের হাতেই চলে যেতো তাই নয়, কার্য্যতঃ রাষ্ট্রীয় নীতিতে বিপর্য্যয় আসতো ।
---- অন্যপ্রান্তে জ্যোতি বাবু বার বার যে কথাটা বোঝানোর চেষ্টা করেছেন, বুর্জোয়া উদারনীতিবাদ ভেংগে পরার সাথে সাথে কংগ্রেস যেমনভাবে ভাংছে সাম্যকেই, সেই পুরানো দিনের কংগ্রেসের ইতিবাচক দিক গুলির উত্তরাধিকার হিসেবে ভারতীয় সাম্যকে গড়ে পিঠে নিতে হবে।
অতীতের অনেকগুলি লেখায় যদি বুঝিয়ে থাকি, নয়কো কমরেড জ্যোতি বসু একা কিংবা কমরেড বি টি রনদিভে, উভয় কর্মনীতির ভাবসত্বাগত মিলিত যুগলবন্দিই ভারতীয় সাম্যের অভিমুখ হবে।
------ সেখানে ১৯৬৪ এর কর্মসূচী এবং ১৯৬৯ সালের আন্তর্জাতীক দলিল, ১৯৬৭ সালের ট্রেড ইউনিয়ন দলিল এবং তার সাথে স্তালিন অপদস্ত সম্পর্ক দলিলগুলিকে, কমিউনিষ্ট ম্যানিফেষ্টোর সম্মিলিত চালচিত্রে বা আয়নায়
---- উভয়ের যুগলবন্দির যাত্রাপথকে বার বার মূল্যায়ন করা প্রয়োজন হবে এক অখন্ড নিরন্তরতায়। (চলবে)
Post A Comment:
0 comments so far,add yours