fiture
জীবন রায়, প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ, রাজ্যসভা: মিশতে হবে সেই রবীন্দ্রনাথ হয়ে মার্ক্সে। রেনেসাঁকে যদি সংবেদনশীলতা এবং উদারনীতিবাদের সেতু, বলে মেনে নিতে হয়, তবে উদারনীতিবাদকে ফরাসী বিপ্লব এবং অক্টোবর বিপ্লবের সেতুবন্ধন হিসেবে - ---- অথবা বুর্জোয়া উদারনীতিবাদ থেকে মানবিকতার উষাকালে উত্তরন হিসেবে মানাটাই উচিত হবে। ------ সেকালে রেনেসাঁর - সেই গভর্মেন্ট, অফ দ্যা পিপল, বাই দ্যা পিপল এবং ফর দ্যা পিপল ধারনার উত্তরন ঘটছে, সরকার জনগনের সৃজনে এবং আত্মিক অংশ গ্রহনে (ইনভ্লমেন্ট)। এই ধারনাকেই লেনিন, সোভিয়েত ধারনার সাথে উন্মুক্ত হয়েছিলো। ষাট এবং সত্তর দশকে দুর্গাপুরে, সোভিয়েত ধারনাকে সামনে রেখে, ট্রেড ইউনিয়নের সামাজিক অংশগ্রহ্ন এবং জনগনের যোগদানের রীতি কার্য্যকরী করার চেষ্টা করা হয়েছিলো। এইভাবে যদি এগিয়ে যাওয়া যায়, প্রথম বিশ্বযুদ্ধ থেকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের, অন্তবর্তী কালিন সময়কালকে বুঝতে হবে -----, একপ্রান্তে বুর্জোয়া উদারনীতিবাদকে অতিক্রম করে, মানবিকতার সংহতি বনাম ----, অন্যপ্রান্তে জাতিভিত্তিক রাষ্ট্র ব্যবস্থগুলি ভেংগে দিয়ে, ক্রম কেন্দ্রিভূত পুঁজির বিশ্বব্যবস্থা কায়েমের পথে। এই পথ - ------ রেনেশাকে ভেংগে গুরিয়ে দেওয়ার পথ নির্মানে যা কিছু ভ্রষ্ট অতীত ছিলো, সেগুলিকে চাগিয়ে তোলা, উদারনীতিবাদকে ক্লিবত্বে বদলেে দিয়ে মানবিকতার সব পথ রুদ্ধ করার চেষ্টা। প্রশ্ন উঠতে পারে, এই তত্বের প্রমান কোথায়? জবাবে বলা যাবে, এই সময়কালে,জ্ঞান এবং সংস্কৃতি যে বহুমুখীন গভীরতায় বিরাজমান থেকেছে, যুদ্ধ কিংবা যুদ্ধোত্তর কালে সেটা যেমন উদ্দিপক স্তরে উঠে এসেছে, তেমনভাবে বহুমুখীনতার পতে এগুতে পারে নাই। স্মরন রাখতে হবে রবীন্দ্রনাথ চলে গেছেন ১৯৪১ সালে কিন্তু উনার 'নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গ' তারো অনেক আগে। নির্ঝরের 'কারাগার' এবং নজরুলের 'কারাগারের এই লৌহকপাট' এর তফাৎ "বিষয়ী" এবং "বিষয়ে" । 
যদি মেনে চলা হয়, রবীন্দ্র উত্তর কাল ভারত তো বটেই, বিশ্বে তার সমগোত্রিয় একজনও সাহিত্যিক দিতে পারে নাই, তার কারন তিনিই শেষ দার্শনিক কবি, যিনি ইতিমধ্যেও রেনেসাঁর খন্ডিত আকাশ বেয়ে, সোভিয়েতে এবং অক্টোবর বিপ্লবের সেই বানী ----- সবার উপরে মানুষ সত্যা তাহার উপরে আর কেহ নাই, এই সত্যের সাথে মনুষ্য সৃজনীর উন্মোচনের বানীকে রপ্ত করার চেষ্টা করেছেন। তিনি যদি 'নির্ঝরের স্বপ্ন ভঙ্গে' জ্ঞান এবং সংস্কৃতির সেতুবন্ধনের মার্ক্সীয় তত্বের অনেকটাই আয়ত্ব করেছিলেন তাই স্পষ্ট। ------আবার তার শেষ কবিতায় যখন বলছেনঃ "সত্যেরে সে পায় আপন আলোকে-ধৌত অন্তরে অন্তরে। কিছুতে পারে না তারে প্রবঞ্চিতে, শেষ পুরস্কার নিয়ে যায় সে যে আপন ভান্ডারে।" ---- মনে হয়েছে, জনগনের দ্বারা, জনগনের জন্য থেকে মানবিকতায়' উত্তোরনের প্রশ্নে, ' জনগনের অংশ গ্রহন' এবং 'জনসৃ্জনীর' কালের কাছ থেকে যতটুকু পাওয়ার তার সবটাই পেয়ে গেছেন। তাই বলতে পারছেনঃ যিনি নিজেকে সত্যের উন্মৈচনে নিংড়ে নিংড়ে নিয়োযিত করতে চেয়েছেন, 'কিছুতে পারে না তারে প্রবঞ্চিতে"। সেকালে এক রবীন্দ্রনাথ কিংবা গোর্কী অথবা বার্নাডস স্য',নানয়, শত এসেছেন, যারা সাহিত্যকে প্রকৃ্তি বিজ্ঞান থেকে ইতিহাসের মনুষ্যত্ব বোধ পর্য্যন্ত উঠিয়ে এনেছিলেন। লেনিনের মৃত্যুর পর, মনে আছে অন্ততঃ ২০০ জন লেনিনের উপরে লিখেছিলেন এবং তার একটা সংকলন এই লেখকের হাতে পরেছিলো। এই সুত্রেই অন্য প্রশ্ন উঠবেঃ কি এমন হোল যে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, অথবা তার প্রস্তুতির কালে সাহিত্য তার আসু অতীত কালের সংবেদনশীলতার কালে মানবিকতা এবং জ্ঞান/সংস্কৃতির সর্বমুখীন ধারা থেকে, মূলতঃ প্রতিবাদ ধর্মীতার, বলা যাবে সর্বোচ্চমুখীনতায় উঠে আসার সুযোগ করে নিতে বাধ্য হয়েছিলো। জবাব একটাই; অক্টোবর বিপ্লবোত্তর কাল থেকেই, এখানে যেমনে ২০১৪ এর পর থেকে নেহেরু-রবীন্দ্রবধের পালা শুরু হয়েছিলো, ২০১৯ শে এসে, 'বৌদ্ধিক জগতের' নিশ্চলতার কারনে, মোটামুটি কবরের আয়োজনে - কোন রকম মিথ্যা, শয়তানী কিংব স্বরযন্ত্রকে বাদ দেওয়া হয় নাই ----- উল্লেখিত কালেও, হিটলারের উত্থান হয়েছে, অতি-অতীতের যত পুজ-রক্ত সমাজের অতি অতলে চাপা ছিলো, তার বিশ্বজোরা উন্মুক্তি ঘটীয়ে (ভারত বাদ ছিলো না) বিশ্বজনমতকে অনেকটাই বিভাজিত করে দিতে যেমন পেরেছিলো ---- তেমনি জাতিসত্বাগুলিকে সিথীল করে দিয়ে, রেনেশার দান হিসেবে জাতীভিত্তিক জাতীয়তার ভিত্তি ভেংগে দিয়েছিলো। 
এই সুত্রে, এইটুকুই বলে রাখি, যুদ্ধোত্তর কালে, যদি প্রথম বিশ বছর,জাতীয়তার বিকাশ ঘটে থাকে বিশ্বে এবং সে সময়ে একের পর জাতী স্বাধীন হয়ে থাকে, সেটা মুলতঃ যুদ্ধকালে আন্তর্জাতীকতা এবং মেহনতের বিশ্ব অভিমুখী সত্বার কারনে। "এই সুত্র ধরেই বুঝতে হবে, শ্রীমোদির আত্মপ্রকাশেরো মুল কারন বিশ্বজোড়া প্রতিকৃয়ার মার-মার আত্মপ্রকাশের ছায়াপথ ধরেই।" 
                                                                                                                      ........................(চলবে)

Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours