politics
জীবন রায় প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ, রাজ্যসভা: অটল মন্ত্রিসভার অর্থমন্ত্রী শ্রী যোশোবন্ত সিনহাই শেষমেশ সেই ভয়ংকর কথাটা সাহাস করে বলে ফেল্লেন।উনার লেখার আত্মজীবনীর একটা বিজ্ঞাপন থেকেই শুনলাম, তিনি কথাটা লিখেছেন। দাবী করা হয়েছে, সেই পুস্তকে প্রাক্তন মন্ত্রী লিখেছেন, ভারতের রাজনীতি নাকি, ভয়ংকর হিংস্ত্র হয়ে ওঠা বণ্য জানোয়ারদের আবাস- জঙ্গল হয়ে উঠেছে।যুক্তি-তর্ক উনার তবে দেশের ভাবপ্রবাহের গতি প্রকৃতি, পরিমাপের যোগ্যতায় দাড়ীয়ে বলতে পারি, কথাটা নির্ঘাত খাটি। ------ মনমোহন এবং পরে বিজেপি অর্থনীতির ধাক্কা, পরিনামে লাগামহীন দুর্নীতি যেভাবে রাজনৈতিক ব্যবস্থার রন্ধ্রে রন্ধ্রে চলে এসেছে এবং , বাকিটা শ্রীমান এবং শ্রীমতির ভাবাদর্শগত নৈরাজ্য, জাতীর বৌ্দ্ধিক সত্বার উপরে যেভাবে আবর্জনার স্তুপ জমা করেছে ---- বিপরীত দিকে, যেভাবে ধর্মান্ধতার সাথে যখন ডলার সাম্রাজ্যের দেওলিয়াতত্বের একাত্মতার অন্যপ্রান্তে যারা সামাজিক এবং শ্রমিক একাত্মতার ভাবাদর্শকে সামনে আনতে পারতো, সেখানকার ব্যর্থতা, ভারত থেকে বৌদ্ধিক সুস্থতা যে উধাও হয়ে গেছে, এখন সেটা নিশ্চিত করে বলা যায়। -----এই বেপোরোয়া বিপদজনক পরিস্থিতিতে,সমাজিক বন্ধন কার্য্যতঃ ভেংগে যাওয়ায়, সামাজিক বিচ্ছিন্নতার কারণে যেভাবে পারিবারিক এবং রাজনৈতিক সম্পর্কগুলি সিথীল হয়ে যাচ্ছে, ----- তার বিপদজনক পরিনতি সম্পর্কেই দু'চারটে কথা আজকের পোস্টিং এ বলে রাখছে।
জনগনের একেবারে পশ্চাতপদ অংশ এক হয়ে গিয়ে, সাম্প্রদায়ীক খুন-খারপীর যোগ্যতাইকে যখন রাজনৈতিক শক্তির পরিমাপ হিসেবে দেখেছেন এবং সেই বিচারে ভোটাধিকার প্রয়োগের পথে একটা সরকার নির্মান করেছেন, ----- ভাবাদর্শ হিসেবে, বিগত ৭৫ বছরে যা কিছু ইতিবাচক পাওয়া গেলো, যাকে আমি - রবীন্দ্রনাথ, নেহেরু, সাম্যের মিলিত শ্রোত বলে মেনেছি - তার সব কিছু ডুবে গেলো ---- যখন , বুর্জোয়া উদারতা অপ্রাসংগিক হয়ে গেলো, সাম্য বা শ্রমিক শ্রেনী ভাব এবং সংগঠনের কোন প্রান্তে বিকল্প কিছু দেওয়ার শক্তি হারিয়ে ফেলছে তখন যতদিন বিকল্প হিসেবে যতদিন শ্রমিক শ্রেনী রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ না করছেন ----- তখন সাধারন ব্যক্তি মানুষ সম্ভাব্য কি অবস্থান নিতে থাকবেন, সে কথা বলতে গিয়েই বলা হচ্ছে ---- শিক্ষিত রুচিবানেরাই চরম বিপদে বাধ্য হয়েই কুকুরাশ্রয়ী হয়ে পরবেন এবং এখন বাজারে কুকুরের দাম বাড়তে থাকবে। সামাজিক উদারতা অপ্রাসংগিক হয়ে যাওয়ায়, শিক্ষিত এবং অশিক্ষিত মধ্যমবর্গের একটা বড় অংশ পালে পালে ধর্মান্ধতা এবং আত্মসর্বস্বতার দিকে ঝুকবেনই। মধ্যমবর্গের অন্য একটি বড় অংশ এবং একেবারে পশ্চাতপদ অংশের যারা যোগানদারী মেহনতির 'মর্যাদা'কে গৌরবান্বিত করছেন, ক্রমে মেয়েদের, সেই জমিদারী নিয়মের আংগিনায় নিয়ে এসে ভোগসর্বস্বতার সংস্কৃতির সাথে নিজেদের মানিয়ে নিচ্ছেন তারা ৬৬ কোটি দেবতার একটি একটি করে নতুন করে প্রতিষ্ঠিত করতে, তামা তাবিজ মাদুলীর উপর টিকে থাকবেম । অপেক্ষাকৃ্ত বিত্তমানদের জন্য 'গ্রহ' রত্নের বাজার স্ফিত হতে থাকবে। জ্যোতি শাস্ত্র (Astronomy) অধ্যায়ন সংকুচিত করে, বিশ্ব বিদ্যালয়ে জ্যোতিষ বিদ্যার চাষ শুরু হয়ে যাওয়ায়, এখন আর কোথাও জ্যোতিষির অভাব হবে না। সব থেকে বিপদে পরছেন, শিক্ষিত জ্ঞান পিপাষু সে সব ব্যক্তি মানুষের। একপ্রান্তে সামাজিক কিংবা উৎপাদনের সৃজনীর পূর্ণ বিনাশ হয়ে যাওয়া, অন্যপ্রান্তে সংসদীয় কাঠামোকে ঠুটো জগন্নাথ করে ফেলা এবং তার সাথে মিডিয়ে, দেশী মালিকদের মাধ্যমে আমেরিকানদের হাতে বিক্রি হয়ে যাওয়ায় বৌদ্ধিক দুনিয়ায় কপাঁট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে গায়ের জোরে। , অন্য সংবনাদপত্রগুলি তো বটেই, গনশক্তির মতো কাগজ পর্য্যন্ত আধ ঘন্টার বেশী পড়া যাচ্ছে না । উদারতাবাদের অপ্রাসংগিকতার পরিপ্রেক্ষিতে, জনগনতনতন্ত্রী শ্রমিক রাজনীতিকে ফিরে আসতে যদি আরো ২৫ ত্রিশবছর সময় লেগে যায় তবে এই সময়ে এই শিক্ষিত ত্যাগী কিংবা সৎ অথচ সাতে-পাচে নেই - তাদের কি হবে। এই পোস্টিং এই প্রশ্নটাই তুলছে। ইউরোপের অভিজ্ঞতায়, সমাজতন্ত্র যখন ভেতর থেকেই ভেংগে যায়,তবে এই সময়ে তখন ভাঙ্গার পরে যারা জন্ম নিচ্ছে, তারা যতসময় ফিরে না আসছে, কোন বিকল্প নির্মান হতে পারছে না। ------ মাঝারী বয়সের যারা রয়েছেন, তারা লক্ষহীন অতলতায় ভেষে যাওয়ার সাথে হয়তো নিজেদের মানিয়ে নিতে পারবেন। অল্পবয়সীরা তো বিদ্যালয় সহ জ্ঞানগত ব্যবস্থাগুলি ভেংগে যাওয়ায় এমনিতেই তলিয়ে যাচ্ছেন। অন্যদের যারা অধুর অতীতে জন্ম নিয়ে বর্তমান ব্যবস্থায়, থেকেও নেই, তাদের এখন আর এখন বৃদ্ধাশ্রমে বাচিয়ে রাখতে পারবে না। ------ তাদের এখন বেশী বেশী একটি বিশ্বাসি বন্ধুর দরকার লাগছে। যে তাকে ঠাকাবে না, একাকিকত্বে টিকে থাকায় কিছুটা আদর করে দেবে, এবং চোর-ডাকাত বা ছিচকে চোরদের হাতে থেকে বাচাবে। তাই দেখছি এখন, এরকম বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া সমাজে কুকুর মাহাত্ম বাড়ছে। কুকুরদের বাজার দর বাড়ছে। এমনি কি রাস্তার কুকুরদের সম্মান বেড়ে চলেছে। সব শেষে, গল্পটা যেহেতু কুকুর এবং কুকুরের সাথে কিঞ্চিতার্থে রাজনীতি যুক্ত, যদিও এন্টি ক্লাইমেক্স তবু, নিজের জীবন এবং কুকুর সম্পর্ক নিয়ে একটা গল্প বলে দিই। সেই সেকাল থেকে যখন আমায় মাসের পর মাস বাইরে থাকতে হোত, তখন থেকে চৈতালী নিঃসংগতা দূর করার জন্য এবং কিছুটা সুরক্ষার কারণে একটা (নাম জানি না) সাদা ছোট কুকুর পুশছে। বছর চারেক পূর্বে সপরিবারে 'মুকুট মনিপুরে' যাওয়ার সময় কুকুরটাকে সংগে নিতে হয়েছিলো। তখন কুকুর নিয়ে তোলা একটা ছবি ফেস বুকে দিয়ে দিয়েছিলো আমার বৌ মা। সেটা আবার গত পরষু ফিরে আসায়, আমি রি-পোষ্ট করে দি। এক একজন এক এক যায়গায় থাকে,তাই খুশি হয়। এই ছবিটাতে, তিনটি আমার 'অ-কমিউনিষ্ট শুলভ চরিত্র' নিয়ে তিনটি মন্তব্য এসেছে। ;তিনটি মন্তব্যই একেবারে একরকম, সেই কুকুরকে ঘিরেই।
একটি আসানসোল, একটি উখরা অন্যটি পশ্চিম দুর্গাপুরের।জেলাটা পশ্চিম বর্ধমান। বক্তব্যঃ আমি কুকুর নিয়ে খুব আনন্দে আছি, বিলাশিতায় ঘা ভাষিয়ে। এই আনন্দেতেই যেন বিরাজমান থাকি। বলা নিঃস্প্রয়োজন, বোঝানোর চেষ্টা হয়েছেঃ আমি যেন কুকুর নিয়ে, এই আনন্দেই থাকি - লেখালেখিতে যেন আর না এগুই। অল্প বয়সী , তাই জানে না। যাকে বছরের পর বছর জেলে রেখে দিয়েও মাথা নত করা যায় নাই, সে নিশ্চিত তার রাজনৈ্তিক ভাবাদর্শগত অবস্থার নিরিখে, চেতনার ডাকেই দল এবং সাম্যবাদী আন্দোলনের সেবা করে যাবে। আমি বলে রাখি, আমার বন্ধুরা এই ধর্ম সংকট থেকে বাচিয়ে দিয়েছেন এখন পর্য্যন্ত প্রায় ২৪০ পছন্দ দিয়ে, এই বিচ্ছিন্নতার কালে বন্ধুরা আমার পরিবারের প্রতি শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours