ভবানীপ্রসাদ ভট্টাচার্য্য, ফিচার রাইটার, দুর্গাপুরঃ
ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোন থেকে বিচার বিশ্লেষন করে জানা যায় একাদশ শতকের শেষ দ্বাদশ শতকের মধ্যেই রাঘব সিংহ ভল্লুপদ ভাল্কীতে রাজ্যস্হাপন করেন! প্রখ্যাত গবেষক বিনয় ঘোষও এই মতটিই প্রকাশ স্বীকার করেন! এই মতের প্রামান্য একটি তথ্য এখানে উল্লেখ করা যায়, বঙ্গে ১ম মহীপালের রাজত্বকালে অজয় তীরবর্তী ঢেঁকুরগড়ের গোপ অধিপতি ছিলেন ইছাই ঘোষ, সময়কাল একাদশ শতক! তিনি তিষষ্ঠীগড়ের অধিপতি ছিলেন ! স্বাভাবিক ভাবেই ভাল্কী এলাকাও তাঁর রাজ্যভুক্ত ছিল, তাই রাঘব সিংহ তাঁর পরবর্তী কালের হ'লে একাদশ - দ্বাদশ শতকের হওয়ায় স্বাভাবিক!
প্রসঙ্গতঃ উল্লেখ্য ১৭৪৪ খ্রীষ্টাব্দে বর্ধমানের রাজা চিত্রসেন রাই গোপভুম জয় করেন এবং গোপভুমের নামকরন হয় 'সেনপাহাড়ী পরগনা' এখনো সরকারী নথিপত্রে সেনপাহাড়ী পরগনার উল্লেখ পাওয়া যায়!
বিভিন্ন গবেষক ও বর্তমান বংধরদের পাওয়া তালিকা অনুযায়ী রাঘব সিংহ ভল্লুপদের বংশধর প্রায় তিরিশ পুরুষ অর্থাৎ প্রায় সাড়ে সাত'শ বছর রাজত্ব করেন! এই বংশের প্রতিষ্ঠাতা রাঘব সিংহ ভল্লুপদ হলেও বর্তমানে এই বংশের পদবী 'রায়'! ভল্লুপদের পুত্র গোপাল এর পুত্র শতক্রত! শতক্রতের পুত্র এবং ভল্লুপদের প্রপৌত্র রাজা মহেন্দ্রই এই বংশের সর্বশ্রেষ্ঠ পরাত্রমী রাজা ছিলেন! নিজ বাহুবলে তিনি তাঁর রাজ্যসীমা বিস্তৃত করেন! তিনি তাঁর রাজ্যসীমা ছিল কাটোয়া থেকে পঞ্চকোট পর্যন্ত প্রসারিত করেন! রাজা মহেন্দ্রর জীবনী নিয়ে স্হানীয় কবি নাট্যকার বৈদ্যনাথ চট্টোপাধ্যায় 'শিবাখ্যা কিঙ্কর কাব্য' গ্রন্হে উল্লেখ করেন, সুরগড়ের রাজা ধীরেন্দ্র সিংহ তাঁর পরমাসুন্দরী কন্যা অমরাবতীর বিবাহের সয়ম্বর সভায় বহু স্বাধীন সার্বভৌম রাজাদের উপস্হিত থাকলেও সুরগড়ের রাজকন্যা অমরাবতী ভাল্কীর রাজপুত্র কন্দর্পকান্তি, বীরশ্রেষ্ঠ মহেন্দ্রকেই বরমাল্য দিয়ে পতিত্বে বরন করেন! প্রিয়তমা তিনি রানী অমরাবতীকে তিনি এতটাই ভালবাসতেন যে প্রপিতামহ প্রতিষ্ঠিত রাজধানী ভাল্কী থেকে মনকরের সন্নিকটে প্রতিষ্ঠা করে নতুন রাজধানীর নামকরন করেন " অমরাগড় "!এই রাজধানী কে সুরক্ষিত করতে চারদিক উঁচু প্রাচীর দিয়ে সময়ে খনন করে সুদৃঢ় দূর্গে পরিনত করেন!
মহেন্দ্রর প্রধানা মহিষী রানী অমরাবতী ছাড়ও আরও দুই রানী ছিল এরূপ মত কুলচি গ্রন্হকারদের! দ্বিতীয় রানী গৌরী দেবী মল্লভুমের রাজকন্যা ছিলেন! তৃতীয় রানী কাঞ্চনকুমারী দিঘনগরের রাজকন্যা ছিলেন! (চলবে)
বিভিন্ন গবেষক ও বর্তমান বংধরদের পাওয়া তালিকা অনুযায়ী রাঘব সিংহ ভল্লুপদের বংশধর প্রায় তিরিশ পুরুষ অর্থাৎ প্রায় সাড়ে সাত'শ বছর রাজত্ব করেন! এই বংশের প্রতিষ্ঠাতা রাঘব সিংহ ভল্লুপদ হলেও বর্তমানে এই বংশের পদবী 'রায়'! ভল্লুপদের পুত্র গোপাল এর পুত্র শতক্রত! শতক্রতের পুত্র এবং ভল্লুপদের প্রপৌত্র রাজা মহেন্দ্রই এই বংশের সর্বশ্রেষ্ঠ পরাত্রমী রাজা ছিলেন! নিজ বাহুবলে তিনি তাঁর রাজ্যসীমা বিস্তৃত করেন! তিনি তাঁর রাজ্যসীমা ছিল কাটোয়া থেকে পঞ্চকোট পর্যন্ত প্রসারিত করেন! রাজা মহেন্দ্রর জীবনী নিয়ে স্হানীয় কবি নাট্যকার বৈদ্যনাথ চট্টোপাধ্যায় 'শিবাখ্যা কিঙ্কর কাব্য' গ্রন্হে উল্লেখ করেন, সুরগড়ের রাজা ধীরেন্দ্র সিংহ তাঁর পরমাসুন্দরী কন্যা অমরাবতীর বিবাহের সয়ম্বর সভায় বহু স্বাধীন সার্বভৌম রাজাদের উপস্হিত থাকলেও সুরগড়ের রাজকন্যা অমরাবতী ভাল্কীর রাজপুত্র কন্দর্পকান্তি, বীরশ্রেষ্ঠ মহেন্দ্রকেই বরমাল্য দিয়ে পতিত্বে বরন করেন! প্রিয়তমা তিনি রানী অমরাবতীকে তিনি এতটাই ভালবাসতেন যে প্রপিতামহ প্রতিষ্ঠিত রাজধানী ভাল্কী থেকে মনকরের সন্নিকটে প্রতিষ্ঠা করে নতুন রাজধানীর নামকরন করেন " অমরাগড় "!এই রাজধানী কে সুরক্ষিত করতে চারদিক উঁচু প্রাচীর দিয়ে সময়ে খনন করে সুদৃঢ় দূর্গে পরিনত করেন!
মহেন্দ্রর প্রধানা মহিষী রানী অমরাবতী ছাড়ও আরও দুই রানী ছিল এরূপ মত কুলচি গ্রন্হকারদের! দ্বিতীয় রানী গৌরী দেবী মল্লভুমের রাজকন্যা ছিলেন! তৃতীয় রানী কাঞ্চনকুমারী দিঘনগরের রাজকন্যা ছিলেন! (চলবে)
Post A Comment:
0 comments so far,add yours