fiture
অনুপ চক্রবর্তী, নাট্যকার, কলকাতা: জীবনানন্দের ভাষায় এখন কি বলবার সময় হয়েছে যে যারা সবচেয়ে অন্ধ, সবচেয়ে বেশি আজ চোখে দ্যাখে তারা? ক্ষমতাসীনদের অন্ধত্বের আস্ফালন আজ তীব্র ও ব্যাপক। আকাশ যেন আজ বড় ঘোলাটে ও বর্ণহীন। হৃদয় যেন আজ সন্ত্রস্ত ও গভীর ক্ষতির আশংকায় নীরব ও নিষ্কম্প। । 
এইচ জি ওয়েলসের কান্ট্রি অফ দ্য ব্লাইণ্ড গল্প আজ খুব মনে পড়ছে। রূপকধর্মী যে গল্পের নায়ক ঘটনাচক্রে এমন একটা দেশে গিয়ে পৌঁছেছিল যেখানে সকলেই অন্ধ। কিন্তু ঐ মানুষটি তো দৃষ্টিহীন নয়। তাই সে এই প্রচলিত ও প্রতিষ্ঠিত অন্ধত্বকে অস্বীকার করে সেই দৃষ্টিহীন সামাজিক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করল। কেননা দৃষ্টশক্তিসম্পন্ন সেই মানুষটার আছে কল্পনাশক্তি, বিচারবোধ, মুক্তমন ও বৈজ্ঞানিক চেতনা। যেখানে ঐ অন্ধদের দেশের মানসিক দৃষ্টিহীনতার অন্ধকারে নিমজ্জিত মানুষদের আছে কিন্তু শুধুই কুসংস্কার আর নির্বোধ অনুকরণপ্রিয়তা। মিলিয়ে নেওয়া যাচ্ছে এই গল্পকে এই সময়ের সঙ্গে? আজ সংখ্যালঘিষ্ঠ মানুষদের অবস্থা ঐ গল্পের নায়কের সদৃশ। 
আর অধিকাংশ বিভ্রান্ত বা পথভ্রান্ত মানুষদের অবস্থা ঐ গল্পের অন্ধ জনতার মতো। যাদের প্রকৃত দৃষ্টিক্ষমতা ক্রমাগত হরণ করা হয়েছে তাদের মনশ্চক্ষুতে কুসংস্কার, অপবিজ্ঞান,ধর্মান্ধতা ও উগ্র জাতীয়তাবাদের মায়াঞ্জন লাগিয়ে। 


Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours