Fitire
জীবন রায়, প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ, রাজ্যসভা:
তবে বিপ্লবটাই শুরু করা হোক সবাই মিলে।  শাসনে হিন্দুত্ববাদীদের   আরোহনের সাথে সাথে, যে  সব  নব্য শিক্ষিত উচ্চবর্ণজাত ছেলে মেয়েরা সংরক্ষন অধিকারের বিরুদ্ধে কিংবা বিপরীতে নানা রকম প্রস্তাব দিচ্ছেন এবং যেগুলি সরকারি ভাবনায় প্রতবিম্বিত হচ্ছে, তাদেরকেই কথাটা বল্লাম। 
---- যারা সেই বিশ্ব ও ভারতীয় পরিস্থিতিকে পরিপ্রেক্ষিতটির চুলচেরা বিশ্লেষনের ভেতর দিয়ে স্বাধীনতার চুক্তিকে বিচার করবেন এবং তার প্রতিবিম্ব হিসেবে সংবিধানে প্রদত্য অধিকারগুলিকে নতুন করে 
---- বিবেচনা করা হয়, তবে নিশ্চিত খুজে পাওয়া যাবে, উপচে পরা এক বৈপ্লবিক পরিস্থিতিকে আটকে দেওয়ার  উদগ্র আকাংখ্যার পরিনতি হিসেবেই নেহেরু-আহম্মেদকর চুক্তি হিসেবে, সংবিধান আত্মপ্রকাশ করেছিলো। নেহেরু ছিলেন কংগ্রেসের ভেতরে অতিদক্ষিন পন্থা এবং বিশ্ববৈপ্লবিক পরিস্থিতির  আপোস  হিসেবে,   বিপ্লবকে এড়িয়ে,   একটা সামাজিক চুক্তি এবং মিশ্র অর্থনীতির পথে দেশকে সমাজতন্ত্রের পথে পৌছে দেওয়া, অন্যপ্রান্তে কিছু সামাজিক অধিকারের বিনিময়ে, ধীরে ধীরে পশ্চাতপদ বর্ণ, বিশেষত আদিবাসিদের সুবিধা দিয়ে একপ্রান্তে বিপ্লবী শক্তির জোয়ারকে আটকে দেওয়া অন্যপ্রান্তে স্বাধীনতা দরজাকে যাতে আর পিছিয়ে দেওয়া না হয়। মনে করার কারন আছে, সেকালে আদিবাসি উন্নয়নে যারা সব থেকে সক্রীয় ছিলো, সেই খৃষ্টান মিশনারীরা এবং বুদ্ধিষ্টরা আহম্মেদকরের পেছনে দুই শক্তিশালী স্থম্ভ হিসেবে কাজ করেছে। 

পুঁজির শাসনটাই যেখানে আজ প্রবঞ্চনা, শয়তানি,  বিশ্বাসঘাতকতা এবং হিংস্রতার সিংহচুড়ায়
---, শাসক এবং মেহনতের মাঝখানে এতোদিনে যারা একটা আপোষের ভূমিকা নিয়েছিলেন, সেই উদারবাদীরা অপ্রাসংগিক হয়ে, যাওয়ায় 
---- উচ্চবর্ণজাতরা এবং তারা যাদের কেরানীগিরি করেন, যারা দাসত্বের রক্তে এবং নারীদেহের লালসায় বিগত হাজার হাজার  বছর টিকে ছিলেন
---, তারা সংবিধানে প্রদত্ব  'অধিকারগুলিকে'  পাচ হাজার বছরের পশ্চাতপদতাকে ইতিহাসের গহ্বরে নিক্ষেপ করার সর্ত হিসেবে না দেখে,
---  স্রেফ 'সুযোগ' কিংবা দয়ার দান হিসেবে  বিবেচনা করতেই পারেন।  

প্রশ্নটা এখানে, রুপান্তরকামী ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলন,  নব্য সাম্যবাদী এবং সে সব মানুষদের কাছে, যারা নিজেদের স্বঘোষিত  গতিবাদী  কিংবা সামাজিক ন্যায়ের প্রতীনিধী হিসেবে মেনেছেনঃ  
------ আজ যখন  পুজিঁ এবং জমিদার তন্ত্রের উচ্ছিষ্ট ভোগীরা, ইতিমধ্যে সামাজিকভাবে পশ্চাতপদ এবং আদিবাসিদের  যা কিছু ছিলো, স্বাধীনতাত্তোর কালেও লুটেপুটে খেয়ে,  চরম আঘাত হানছেন
------   অধিকারকে' 'সুযোগে' বদলে দিয়ে তাদের 'দাসদের' সংরক্ষিত বাহিনীতে বদলে দিয়েছেন এবং নারীজাতীকে এখন শুধু বানিজ্যিক বিজ্ঞাপনেই নয়, নারীত্বকেও পুজিতন্ত্রের রিজার্ভ রাখ্যত গিয়ে, এই পবিত্রতা সংহারকে প্রাতিষ্ঠানিক করে ফেলা হয়েছে   
-----    তখন  আপনাদের ভূমিকাকে যদি ইতিহাস  মুখীন রাখতে  হয়, ভারতীয় সামাজিক দ্বন্দ্বগুলিতে ইতিহাসগতভাবে গভীরে না গিয়ে, নিজেদেরকে  ইতিহাসবোধে উজ্জিবিত করে , এই সর্বনাসা সামাজিক অভিমুখকে
------   আন্তর্জাতীক সমর্থনপুষ্ট ফ্যাসিবাদি সরকার এদের   সমর্থন করছেন, তারা কী  এই মহাঝঞ্জাকে আটকে দেওয়ার প্রয়োজনীয় সাংগঠনিক এবং ভাবাদর্শগত অবস্থান নেবেন কী না। 
---  এই সুত্রেই, কমিউনিষ্ট পার্টি মার্ক্সবাদী দলের নব্য সদস্য কর্মীদের স্মরন করিয়ে দেবো
---- যদি মেনে চলেন, ১৯৬৪ সালে দল ঘঠনের সময়, প্রধান ভিত্তি হিসেবে, তেলেংগানা-কাকদ্বীপ অঞ্চল এবং নৌ বিদ্রোহের পিঠস্থানগুলি প্রধান ভুমিকা নিয়েছিলো, সেখানে এই পশ্চাতপদ অংশ এবং ধর্মের দিক দিয়ে  সংখ্যালঘুদের বিপ্লবী অংশও বিপুল ভূমিকা নিয়েছিলো 
--- তবে  জন্ম- ঋন-পরিশোধের কারন হিসেবেও দায়বদ্ধতার কথা স্মরন করিয়ে দেবো। , 
যেখানে শুরু করেছিলাম, কোন বিশ্ব এবং আন্তর্জাতীক পরিস্থিতিতে,  চুক্তির মাধ্যমে স্বাধীনতার মত    অকল্পনীয় ঘটনা ঘটলো সে সব কথা পরের পোস্টিং এ বলবো।আভ্যন্তরীন গৃহযুদ্ধ আটকানোর জন্য যে সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিলো, সেসবের কিঞ্চিৎ আজ বলা হোল। পরে হয়তো আরো বলতে হবে। তবে, সাম্রজ্যবাদীর কোন হিসেবে চুক্তিতে সই করেছিলো, সেটার ইংগিতও দেবো। তবে বলে রাখি, ওরা ভেবেছিলো, স্বাধীনতার পরেই, দেশ  ভেংগে চুড়মার হয়ে যাবে। 
------কিন্তু মাঝখানে, স্তালিন - নেহেরু চুক্তি সব ওলট-পালট করে দিলো। ইংগিত করেছি, সোভিয়েত ভেংগে যাওয়ার পর, যে উল্টো যাত্রা শুরু হয়েছিল, ২০১৯ এ বৃত্ত শেষ হয়েছে। এখন দেশ, বাংলার থেকেও খারাপ হতে থাকবে । আমেরিকা যা চেয়েছিলো, তার শতগুন বেশী পেয়ে যাবে।
-----তবে শেষ করতে গিয়ে, একটা দলিল থেকে সেই বিষয়টিতে কিছুটা আলো রেখে যাওয়া উচিত হবে বিষয়টি পূর্বে উল্লেখ করেছি। দেশে দাসত্ব এবং দাসত্বের চিন্তনই নেমে আসে নাই, উন্নয়নের নামে দেশের পশ্চাতপদ অংশকে, কোন বিকল্পের ব্যবস্থা না দেওয়ার মধ্য দিয়ে কার্য্যত চুষে নিয়েছে।
-----  অন্যরা না বুঝুক, সাম্যবাদী আন্দোলনের, শ্রমিক অংশ অন্তত বুঝতে হবেঃ    ১৯৮৯ সালে দুর্গাপুর 'কাজের অধিকার' দলিলে যে কয়েকটি কথা বলেছিলেন সেখান থেকে কয়েকটি লাইন এবং ইতিহাসবোধে নেমে আসার প্রয়োজনীয়তার দিকে আবারো ইংগিত দিয়ে এই পোস্টিংটি
শেষ করবো।তিনি যা বলেছিলেন, বিবেচনার জন্য রেখে দিলাম
---- "The needs of capitalist development, more food production for towns and the evicted mass of people has led to building  of giant dams for purposes of irrigation and bringing  new land under under civilisation. But this has led to lakhs of adivasis and others losing their land which is submerged  under new dams. These lacks of people are just evicted enmasse without any compensation or rehabilitation and thrown into mass unemployed  to starve or die" He noted further
---- " The  means of communication and transport required  for the development of the capitalist path play further havoc with rural employment. without offering alternative or substitute. The development of Lorry and truck transports have thrown out of employment  lacks of bullockcartowners ....The institution of electric pump for well irrigation has again deprived  thousands of bullock cart owners......These inevitable developments under capitals have created  enormous mass of rural unemployment  far bigger in number than unemployed in cities ১৯৮৯ সালে কমরেড বিটি আর এর শেষ লেখা দলিলে যে কথা কয়টি লিখে গেছেন, তাকে তো অন্তত সাম্যবাদীরা অনুধাবন করবেন এবং ৩০ বছর বাদে এই সর্বনাসা পরিস্থিতির ধারাবাহিকতা কোথায় টেনে নিয়ে এসেছে, তা থেকে অন্ততঃদুটি বিষয়ের জবাব খুজে বের করতে হবে
----- প্রথমতঃ এই বিপর্য্যয়কর পরিস্থিতিতে যারা সরাসরি ক্ষতি গ্রস্ত তারা কি উচ্চবর্ণ জাত ।যদি না হয়, তবে তারা, না হলে অন্ততঃ ট্রেড ইউনিয়ন কেন এদের পাশে দাড়াচ্ছে না? এখানেও কি বর্ণ দুর্গতি কথা বলছে?
----- দ্বিতীয়তঃ  ২০১৯ শে নেহেরু নিধনের পর এদের পরিস্থিতি কী দাঁড়াবে? (চলবে)


Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours