জীবন রায়, প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ, রাজ্যসভাঃ
রবীন্দ্রনাথ এখানে ভাবগত অভিমুখে, নেহেরুর ইতিহাস চেতনার সাথে সার্বজনীনতা এবং আত্মবিশ্বাসের অর্থনীতিতে পাল তুলেই, ক্রমে জনগনে শ্রেনী রাজনীতির পথটা উন্মুক্ত হতে পারবে।
----- এখানে কোন বিন্দুতে নেহেরু রবীন্দ্রনাথে মিলছেন, সে যায়গাটা চিহ্নিত করতে পারলেই দেখা যাবে, সেই বিন্দুতেই নেহেরু মহাত্মা থেকে পৃথক হচ্ছেন। আরো দেখা যাবে, যেখানে মহাত্মার সাথে রবীন্দ্রনাথে দ্বন্দ্ব সেখানেই, নেহেরুর সাথে রবীন্দ্র একাত্মতা।
এই সুত্রেই বলে রাখি, দীর্ঘকাল ধরে 'শ্রমের' সব থেকে স্পর্শকাতর অথচ বিচক্ষন অংশের সাথে কাজ করেই এই সুত্রটিকে চিহ্নিত করা গেছে। ইতিহাসের এসব ব্যক্তিত্ব এবং তাদের পারস্পরিকতার দ্বন্দ্ব ও একতার দিকগুলি উন্মোচিত করার শ্রম ও তিতিক্ষাকে বাদ দিয়ে
------- সোজা মার্ক্সবাদী রাজপথে উঠে আসার চেষ্টা, শ্রমিক আন্দোলনে শ্রেনীরাজনীগত উত্তোরন যেমন বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে, তেমনি এই আন্দোলনের পক্ষে ভারতীয় পরিপ্রেক্ষিতে দলের কর্মসূচীটির প্রয়োগের সৃজনমুখীনতা বারবার,
অন্ধ গলিতে পরিত্যক্ত হয়েছে এবং আবার নতুন করে শুরুর প্রয়োজন হয়েছে।
এখন যেভাবে দেশকে একপ্রান্তে বিশ্ব ফ্যাসিবাদের সাথে একাত্ম করে অন্যপ্রান্তে আভ্যন্তরীন দিক থেকে কার্য্যতঃ দাসত্বের কালে ঢুকিয়ে দিয়ে,
দাসত্বের দর্শনের সাথে ধর্মীয় দর্শনের মধ্যে রশায়ন ঘটিয়ে এক অখন্ড সামগ্রিকতায় হিংস্রতার রাজনীতিতে দেশকে টানা হচ্ছে
----- মধ্যম বর্গীয় স্বাধীন সত্বার অতল যাত্রার সাথে সাথে, উদারনীতিবাদ
অপ্রসাংগীক হয়ে পরছে, সেখানে
----- শ্রমিক শ্রেনীকে নতুন করে আবিস্কারে এবং জনগনের গনতন্ত্রের চালচিত্রে তাকে সংস্থাপিত করার দীর্ঘসুত্রিতা, কালের যাত্রা এক মহাগহ্বরে
গড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যাবে। (চলবে)
Post A Comment:
0 comments so far,add yours