Politics
জীবন রায়, প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ, রাজ্যসভাঃ   ভারতে শ্রীমোদি রাজনীতি টিকে থাকার সর্তটাই এখানে, কাশ্মীরকে সামনে রেখে, ভারতীয় উপমহাদেশে আমেরিকা সামরীক বাহিনীর স্থায়ী উপস্থিতির ব্যবস্থা করে দেওয়া। এই কথাটা যদি মাথায় রাখা হয়, ---- তবেই কাশ্মীর প্রশ্নে আমেরিকার তৃতীয় পক্ঋষ হিসেবে আমেরিকার মধ্যস্থতা সম্পর্কে আমেরিকান প্রেসিডেন্টের দাবি, যেন ভারতই উনার কাছে এই মধ্যস্ততার প্রস্তাব করেছেন এং কেন্দ্রীয় সরকার অস্বিকৃ্তির - পরস্পর বিরোধীতার সত্যটা যে কোথায় লুকিয়ে আছে, তা চিহ্নিত করা যাবে। ভাবতে ভালো লাগে, দ্বন্দ্ব তত্বের যথার্থতা, যদি প্রয়োগ এবং পরিমাপনের যোগ্যতা বিদ্যমান থাকে, তবে মানুষকে নিশ্চিত অব্যর্থতায় পৌছে দেবেই।
এই কলমে অজস্রবার উল্লেখ করেছি, --- শ্রীমোদির হাতে ভারতে আমেরিকা মিলিটারী তন্ত্রের মূল লাইন হবেঃ ----- উপমহাদেশকে ভেনিজুয়েলা, ইসরাইল-সিরিয়ার সাথে সাথে তৃতীয় যুদ্ধের আখরা তৈরী করে দেওয়া। সেই লক্ষ পুরনের কারনেই,শ্রীমোদী এবং আমেরিকার পশ্চিম বাংলার উপর এতো বেশী নজর। উনারা বঙ্গপোসাগর হয়ে, আমেরিকার সপ্তম নৌবহরকে, যে কোন মূল্যে চিন সমুদ্র পর্য্যন্ত নিয়ে যেতে বদ্ধ পরিকর। প্রশ্ন উঠবে, এখানে আমেরিকান স্বার্থের সাথে শ্রীমোদির স্বার্থ অভিন্নতা কোথায়? সুত্রে বলে যে স্বার্থ, ভারতের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ইংগিত করেছেন, দেশের শিল্পপুজিকে ভেংগে দিয়ে, বানিজ্যিক পুজির হাতে দেশ ছেড়ে দেওয়া। শ্রীমোদীর দ্বিতিয় স্বার্থ, যে হুজুগ তুলে উনি ক্ষমতা দখল করেছেন, সেটা কিছুতেই ----- আমেরিকাকে সাথে না পেলে, কার্য্যকারন সম্পর্কের সাথে মেলানো সম্ভব নয়। সেটা নিয়ে, উপসংহারে আরো দু' চারটি কথা সমাপ্তিতে বলতে পারি। তার পূর্বে আরো দুটি লাইন লিখে নেওয়া উচিত হবে ----- এই উদ্যেশ্যগুলি মাথায় রাখলেই, কাশ্মীরে যে কেন এতো ব্যপক হত্যালীলা চালানো হচ্ছে, তার অর্থ পরিস্কার হবে। এটা কি কখনো কেউ বিশ্বাস করবে, যেন আমেরিকার ইচ্ছাকে পেছনে রেখে, পাকিস্থানের খপ্পর থেকে কাশ্মীরকে বের করে আনার জন্য সব করা হচ্ছে? ---- আসলে কাশ্মীর নিয়ে যা করা হচ্ছে, তার সব কিছু পাকিস্থানের দিকে কাশ্মীরকে ঠেলে দেওয়ার জন্যে করা হচ্ছে। যাইহোক সব শেষে, আসল দ্বন্দ্বটি কোথায় এবং কেনই বা সেই দ্বন্দ, শ্রীমোদিকে বার বার আমেরিকার কাছে বিস্বস্ত প্রমান করতে হচ্ছে এবং এমন কেন, ভারত-পাকিস্থান এবং কাশ্মীরের বর্ডারে আমেরিকান সৈন্য আনতে হাচ্ছে, ---- তার কারনটি এক বিন্দুতেই চিহ্নিত। যদি মেনে চলতে হয়, শ্রীমতি মমতার বাংলায় আসার মুল কারন, বিশ্ব আধুনিকতার বিপরীতে গিয়ে, বাংলার ভূমী সংস্কারকে আটকে দিয়ে, সেকালের জমিদার কংগ্রেস নেতাদের সমর্থন দেওয়া সম্ভব ছিলো না, সাস্ম্যবিরোধীতার ব্যটন মমতাস্র হাতেই সমর্পিত হয়েছিলো এবং সে সুত্রেই তদানিন্তন কালের আমেরিকান সেক্রেটারী অফ স্টেটের রাইটার্সে পদার্পন ঘটেছিলো ----- একই কারনে,শ্রীমোদি ভারতীয় নীতিকে যে নিচুতার স্তলে নিয়ে গেছেন এবং সে অসভ্যতাকে আরো গুরুতর স্তরে, নিয়ে যাওয়া হচ্ছে চেলাচামুন্ডাদের হাত ধরে, ----- সেখানে বিশ্ব সমর্থন যদি দুই এর কোন কেন্দ্র থেকে না আসে,
শ্রীমোদিকে যে একদিন মানুষ ছিড়ে খাবে, সেটা আমেরিকার যেমন জানা, তেমনি জানা শ্রীমোদির। শেষ কথা হিসেবে আবারো বলতে হয়, আজকের দিনে মূল বিশ্ব দ্বন্দস যখন - পুজির কেদ্রভূত অত্যাচারী অসভ্য রুপ বনাম শ্রমের সৃজনমুখী সত্য শিব সুন্দরে ---- সেখানের সব অসভ্য ব্যবস্থার শেষ আশ্রয় সেই এক বিন্দুতেই। এ থেকে, আরো জেনে নেওয়া ভালো। সভ্যতা এবং অসভ্যতার মধ্যে বিশ্ব সংঘাত চিরন্তন ---- সে কারনে সমাজতন্ত্রের সাম্প্রতিক বিপর্য্যয় ঘটেছে বলে, কিংবা পশ্চিম বাংলায় বামফ্রন্ট চলে গেছে বলেই,, যদি মেনে চলা হয়, সেই কেন্দ্রায়িত দ্বন্দ্বের অবসান ঘটেছে, ---- তবে তো প্রথমে মানতে হবে, আমেরিকা যেমন দাবী করেছে, ইতিহাসের পরিসমাপ্তি ঘটেছে সেই বিষয়কে, দ্বিতীয়তঃ মানতে হবে যেন, সাথে সাথে 'সভ্যতা' এবং 'অসভ্যতার' দ্বন্দ্বেরো পরিসমাপ্তি ঘটেছে।


Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours