জীবন রায়, প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ, রাজ্যসভাঃ এক ভয়ংকর দাসত্বের পরিস্থিতিতে, যখন স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে সর্বোচ্চ কেন্দ্রীভুত সম্পদ, তখন আর্থ-সামাজিক বিষয়বিহীন ২০১৯ শের নির্বাচন এবং তদপরবর্তী কালে সারাদেশে চলতে থাকা দলিত এবং সংখ্যালঘু হত্যা, ঠিক সেভাবে, যেভাবে নির্বাচনোত্তর পরিস্থিতিতে সেই যুদ্ধোন্মোদনায় দেশকে উন্মাদ করে রেখেছিলো
----- সারা দেশের চেতনার দিক থেকে একেবারে পশ্চাতপদ অংশকে যেভাবে, এক অন্ধ পাগলামীর উন্মত্ততায় ঠেলছে, এই উন্মত্ততা যেভাবে সমসায়িক কালের উন্মত বিশ্বফ্যাসিবাদ এবং যুদ্ধ প্রস্তুতির সাথে একাত্ম হওয়ার চেষ্টা করছে
----- সেখানে একটি বিশেষ শ্রেনী সর্ত পুরন না হলে, ভারত নিশ্চিত ফ্যাসিবাদের পথে গড়িয়ে যাবেই। যেভাবে, ভারতকে উচ্চ-বর্ণের যুপকাষ্টে বাধতে, সংখ্যালঘুদের চিরদাসত্বে বাধতে - আমেরিকার পদলেহনের দিকে দেশকে ঠেলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, নিশ্চিতভাবে, দেশ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর পরিস্থিতিতে দুর্বল অর্থনীতির দেশগুলির যে সর্বনাস ঘটেছিলো, সেটার লিপিই এখন আমরা লিখছি। এটা করছি, কেন্দ্রের সামান্য দায়ার কারণে। ,
------
প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী এবং প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ইতিমধ্যেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন - যেভাবে স্বাধীনতা উত্তর কালে স্বাধীন অর্থনীতির পরিকাঠামো যেভাবে ভেংগে দেওয়া হাচ্ছে। যা কিছু সরকারী সব কিছু বিক্রী হচ্ছে; এমন কি উড়ো-জাহাজ সমেত ট্রেন এবং ট্রেন লাইন বিক্রী হচ্ছে। হাজার হাজার কিলো মিটারের জংগল-পাহার সাফ করে আদিবাসীদের উৎখাত করে, মাটির নিচের সম্পদ তুলে ফেলা হচ্ছে, বিদেশের জন্য।
------- কাশ্মীরে গনহত্যাকে যদি নিয়ম করে ফেলা হয়ে থাকে, সেটার থেকেও বড় কথা, এসব করে কাস্মীরকে পাকিস্থানের হাতে তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা হচ্ছে, চিন-ভারত সিমান্তে আমেরিকান ফৌজ নিয়ে আসায় প্রভুর ইচ্ছা পুরনে।
------- দাসত্বের উলটো দিক যদি, নারীত্ববিনাশেকে প্রাতিষ্টানিক করে দেওয়া হয়, ভারত এখন প্রথম, বাংলা আবার প্রথমের পঞ্চম অবস্থান। অর্থনৈতিক দাসত্বকে যে ইতিমধ্যে চিন্তার দাসত্ব বদলে দেওয়া হয়েছে, তার প্রমান পাওয়া গেলো, যখন সোনভদ্রে ১০ আদিবাসি হত্যার পর, উত্তর প্রদেশের উপমুখ্য মন্ত্রী জানালেল - আদিবাসীদের কাজ হোল - "মল মুত্র পরিস্কার , তাদের আবার কবে থেকে জমির মালিক হওয়ার শখ হোল।"
ALL THESE ARE DETAILS, ABOUT HOW FASCISM IS APPROACHING IN THIS COUNTRY AND APPROACHING IN UNISON OF INTERNATIONAL FASCIST CENTER.
ভারতে কি চলছে, তার শতশত ছবি - স্যোসাল মিডিয়াতে আসছে। এই পোস্টিং এর সাথে দুটি ছবির নমুনা পাঠাচ্ছি, যা আমেরিকা নিজে এবং তার সাকরেদ ইজরেল মানবতার বিরুদ্ধে যে জঘন্য অপরাধ করছে, তার স্বাক্ষ বহন করছে। ---- প্রথমটি, প্রথমটি কি ভাবে, প্যালেষ্টায়ানের একটি শিশুকে ইসরাইলের বাহিনী ট্রাকে পিষে মেরে ফেলেছে এবং সেখানে এরকমই চলছে। ভারত সম্প্রতি ইউ এন ওতে, এই প্রথম ৫০ বছরে, ইসরাইলের সমর্থনে প্যালেস্টাইনের বিপক্ষে ভোট দিয়েছে। ...অন্য ছবি, কিভাবে, আমেরিকার কন্সেন্ট্রেশান ক্যাম্পের শিশুর সাথে মা'কে দেখা করতে আসতে হচ্ছে।
Question is: What stands in the way of resisting fascism in India, when liberalism has gone irrelevant? আজকে যখন গরীব মানুষদের ঘেরাও করে হত্যাকান্ড ঘটানো, কিংবা গৌড়ি লংকেশ হত্যাকান্ড ইত্যাদিতে উদারবাদীরাও নিশ্চুপ, এমনকি, নারীত্বের উপর সব জঘন্যতা, নারী আন্দোলনের নিরপেক্ষ অবস্থানে প্রাতিষ্ঠানিক রুপ নিচ্ছে
---- Question again: When there is none, as an organised forces, except working class, কিন্তু শ্রমিক আন্দোলন কার্য্যত বিবষতার কারন হয়েছে, এখানেও সেই, শ্রমিক আন্দোলনের ভেতরে এবং বাইরে উদারবাদের স্থবীরতার কারণে, তখন শ্রমিক শ্রেনী, ভারত কিংবা ইতিহাসের ভবিষ্যতটা কোথায়?
এই প্রশ্নটাই, লেখক এই পর্বের লেখাগুলিতে উঠানোর চেষ্টা করছেন। বিষয়টাকে সব দিক থেকে বোঝাতে গিয়েই, ইতিমধ্যে ১৮টি পোস্টিং গেছে।
----- এখন ফ্যাসিইজম কী, এর চরিত্র কি হতে যাচ্ছে এবং কীভাবে শ্রমিক আন্দলোন বর্তমান বিবষতা কাটাতে পারবে, সেই পর্বেই লেখাগুলি চলছে।
----- আমার মনে হয়েছে, কমরেড বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য্যের পুস্তক জার্মান ফ্যাসীবাদের যথার্থ চিত্রায়ন করেছে। যারা এই লড়াইতে সামিল হতে চান, তাদের অবশ্যই বইটা পড়া দরকার। কিন্তু, ভারতে, উদারবাদীরাও যদি, ফ্যাসীবাদের সম্ভব্য চেহারা এখনো বুঝতে না পারেন তবে, বারবার উল্লেখ করেছি , অন্ততঃ শ্রমিক নেতাদের, তৃতীয় রাইখের উত্থান এবং পতন বইটা পড়া উচিত হবে।
----- কমরেড বুদ্ধদেবের বই থেকে এটা স্পষ্ট হবে না, যারা এটা শুরু করেছে ভারতে, পরিস্থিতি অতীদ্রুত তাদের হাতের বাইরে চলে যাবে এবং এমন কী শ্রীমোদি নিজেই নিজেকে নিয়ন্ত্রন করতে পারবেন না, যেমন হিটলারের ক্ষেত্রে ঘটেছিলো। এটা ঘটবে একটা কারনেইঃউন্মত্ততার কোন মানবিক রাজনীতি হতে পারে না।
------ কমরেড বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য্যের পুস্তকে, প্রতিরোধের প্রশ্নে স্তালিন যে হিটলারের বিশ্বত্রাসের নীতির বিপরীতে,------- বিশ্বজোরা শ্রমিক একতার নীতি এবং তাকে ঘিরে যে বিশ্ব জাগরের লাইন নিয়েছিলেন, সেদিকটাও নিশ্চিতভাবে কম স্থান পেয়েছে।
------ ভারতে যেহেতু, শ্রমিক শ্রেনী ব্যতিরেখে অন্য কোন ভবিশ্যত নেই, সেজন্য আমি একের পর এক লেখায়,
সেদিকটিকেই সামনে আনার চেষ্টা করছি। স্মরনে রাখতে হবে,
------ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে, মেহনতিদের এতো বিপুল বিজয়ের বড় কারন,ছিলো এখানেই যে তখন বিশ্ব উদারবাদীদের বিপুল অংশ মেহনতিদের সাথে ছিলো। এখন উদারবাদীদের বিপুল অংশ , নানা কারণে, সরাসরি অথবা পরোক্ষে, শত্রু শিবিরে। (চলবে)
Post A Comment:
0 comments so far,add yours