ভবানীপ্রসাদ ভট্টাচার্য্য, ফিচার রাইটার, দুর্গাপুরঃ
মন্দির গাত্রের এই লিপি প্রমান করে প্রাচীন গোপভুম তথা পশ্চিম বর্ধমানে হরিশ্চন্দ্র নামে একজন রাজা ছিলেন ! তবে মন্দির নির্মাতা ও ধর্মমঙ্গল কাব্যের রাজা হরিশ্চন্দ্র একব্যক্তি নন, কারন মঙ্গলকাব্যের রাজা হরিশ্চন্দ্রের পত্নীর নাম মদনা আর মন্দির নির্মানকারী রাজা হরিশ্চন্দ্রের স্ত্রীর নাম হরিপ্রিয়া!
গবেষকদের ধারনা,বরাকরে মন্দির নির্মানকারী হরিশ্চন্দ্র ছিলেন শিখরভূমের রাজা! তাঁর সময়কাল ইছাই ঘোষের পাঁচ'শ বছর পর ! তার প্রমান মেলে বরাকরের মন্দিরের লিপিতে, এখানে উল্লেখ করা হয়েছে মন্দিরগুলি রাজা হরিশ্চন্দ্র কর্তৃক ১৩৮৩ শকাব্দে অর্থাৎ ১৪৬১ খ্রীষ্টাব্দে নির্মিত!
এরথেকে এটা প্রমানিত হয় যে গোপভূমে হরিশ্চন্দ্র নামে এক রাজা ছিলেন!
ধর্মমঙ্গল থেকে জানা যায় তিনি বর্তমান আউসগ্রাম থানার অমরার গড়ের রাজা ছিলেন! অন্যদিকে বরাকর মন্দিরের লিপিতে যে রাজা হরিশ্চন্দ্রের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, তিনি শিখরভূমের রাজা ছিলেন! শিখরভূমের উল্লেখ পাওয়া যায় সন্ধ্যাকর নন্দীর ' রামচরিত 'কাব্যে !প্রাচীনকালে বারোটি ভূমের উল্লেখ পাওয়া যায় তার মধ্যে শিখর ভূম একটি! বর্তমান আসানসোলের রাণীগঞ্জ ও পঞ্চকোট জনপদকেই শিখরভূম বলা হতো, এটি গোপভূমের পশ্চিমাং !
রাঢ়ের গবেষক সাহিত্যরত্ন হরেকৃষ্ন মুখোপাধ্যায় বলেছেন, " বঙ্গের অজয় ও দামোদরের মধ্যবর্তী বনভূমিতে পূর্বে গোপ জাতির প্রাধান্য ছিল , রাঢ়দেশে এই শৌর্যবীর্যশালী যোদ্ধাজাতির বহু নিদর্শন আছে " মহামান্ডলিক ঈশ্বর ওরফে ইছাই ঘোষের কথা আগেই উল্লেখ করা হয়েছে!
গোপভূমে আরও কয়েকজন শৌর্যবীর্যশালী গোপরাজার উল্লেখ পাওয়া যায় ! এঁদের অন্যতম রাজা ভল্লুপাদ ( চলবে)
Post A Comment:
0 comments so far,add yours