Politics
জীবন রায়, প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ, রাজ্যসভা: গনশক্তি তার প্রথম স্থম্ভে ডান দিকের সেই বিখ্যাত উক্তির কথকের নাম তুলে নিতেই পারতেন, কিন্তু 'কথন'কে যখন তুলে নেওয়া হয়, তখন ঐতিহাসিক বস্তুবাদ সম্পর্কেই নয়, সেই উক্তির তত্বগত এবং ঐতিহাসিক তাৎর্য্যকে অস্বিকার করবার মানষিকতাই প্রকাস পায়। ------ আর যখন এমনটি ঘটে, তখন বুঝে নিতে হয়, দলের নেতারা আসলে স্তালিনকে অন্তরালে রাখতে গিয়ে, কর্মসূচীর পেছনকার ভাবাত্মক দিকটিকেই অশ্বিকার করার সুযোগ খুজছিলেন। দলের আভন্তরে, ভাবাদর্শগত দুর্বলতা এইভাবে, নেতাদেরকেও বিবষ হওয়ার যুক্তি পেতে সাহায্য করছে। যারা লেনিনবাদের গভীরে যাওয়ার সুযোগ করে নিতে, প্রয়োগের গভীরে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন এবং ---- বিশ্বাস করেছেন, শ্রমিক শ্রেনীই সমাজের দর্পন, তারা স্তালিনের সে কথাটাকেই, রেনেসাঁর গোধুলী লগ্নে, তলিয়ে যেতে থাকা 'মানবিক সংবেদনশীলতাকে' জাগ্রত করার একমাত্র অভিমুখ হিসেবে মেনে নিতেন। সেটা যখন মেনে চলা হোত তবে বিশ্বায়ন উত্তর কালে, অর্থনীতি এবং রাজনীতি আপোষ হয়ে যাওয়ার প্রবনতাকেও আটকে দেওয়া যেতো। ---- কে না জানে,দলে শ্রমিক শ্রেনীর আত্মমর্য্যাদা কিংবা কর্মসূচিকে,
সরকারীয়ানার পায়ের তলায় রাখতে, বাঙ্গালার বলিষ্ট অংশ, বিদেশীপূজীর সাথে সরাসরি যোগাযোগ করার অধিকারটিকে সুযোগ হিসেবে কাজে লাগাতে গিয়ে, অনেক সময় অকারনে 'কেন্দ্রীয় কমিটির বিপরীত মুখে চলার চেষ্টা করেছেন। জীবন রায় যেহেতু, সে কালে একাধারে ট্রেড ইউনিয়ন নেতা অন্যদিকে সংসদে দলের শিল্প এবং শ্রম নীতির সংরক্ষক হিসেবে কাজ করেছেন ----- সে কারনে এই দোলাচলকে শুধু চোখের সামনে দেখেছেন তা নয়, ইস্কোর মতো, সারা দেশে প্রতিকৃয়া রয়েছে, তেমন বিষয়ে প্রয়োজনীয় অবস্থান নিতে ভীষন ধরনের সংকটের মুখোমুখি হয়েছেন। এটা তো ঠিক সোভিয়েত সহ পূর্ব ইউরোপে একের পর এক সমাজতন্ত্র ভেংগে পড়ায় বিশ্বে দ্বিতীয় জনসংখ্যার দেশে যে বিশ্বপ্রতিবিপ্লব তার সর্বোতোমুখি 'সন্ত্রাস' নিয়ে ঝাপিয়ে পরবে, সেটা তো স্বাভাবিক। সেখানে চুড়ান্ত সাবধানতা যেমন প্রয়োজন সরকারকেও টিকিয়ে রাখাও একান্ত প্রয়োজন। কিন্তু ----- এই টিকিয়ে রাখায়, যখন 'সোনার বাংলা' দাড় করানোর প্রশ্ন চলে আসে, তখন শুধু বিশ্ব সংকটকে নিজের ঘাড়ে চাপিয়ে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি আসে তাই নয়, মার্ক্সসবাদের বুনিয়াদী সর্ত আপোষ হয়ে যেতে বাধ্য। তখনই, এটা মনে হয়, ইস্কো প্রাইভেটের ঘাড়ে চেপে করিয়ে নিলে, কিংবা কেন্দ্রিয় বিদ্যুৎ নীতিকে মেনে নিলেও, সরকারের কেড়ামতিতে দেশে সাম্যের কোন ক্ষতি হবে না, রাজ্যে বিদ্যুতের দাম সিমীত রাখা যাবে। কোন পরিপ্রেক্ষিতে গনশক্তিকে স্রেফ্ নাম হিসেবে 'স্তালীনকে' নয়, ইতিহাসের এগিয়ে যাওয়ার প্রশ্নের সাথে যুক্ত বিষয়কে চেপে, যেতে বলা হয়েছিলো, তা বুঝে নেওয়া যাক। স্তালিন যখন বোঝাচ্ছিলেন - --- বুর্জোয়াদের হাতেই বুর্জোয়া গনতন্ত্রের পতাকা ধূলায় লাঞ্ছিত। সেটা শ্রমিক শ্রেনীকে হাতে তুলে নিতে হবে, তার অর্থ যেমনভাবে, এই কলমের লেখক বুঝেছিলেন তা নিম্নরুপঃ (ক) অক্টোবর বিপ্লবের পর, যে গতিতে গনতন্ত্রের অভিমুক 'ভোটের' বা 'যুক্তিবাদী গনতন্ত্র", অংশ গ্রহন এবং সংবেদনশীলতার অভিমুখ ধরে মানবিকতার পথে এগুচ্ছিলো, সেখানে যুক্তিবাদি বা অখন্ড বিজ্ঞান ভিত্তিক গনতন্ত্র ----- এক কথায় যাকে বলা যাবে "রেনেঁশা', কিংবা জাতীয়তা ভিত্তিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা পুজির কেন্দ্রিভবনে বাধার কারন হচ্ছে। (খ) সেখানে সাহিত্য ও কলার হাত ধরে বিজ্ঞান যে গতিতে শিক্ষালয় থেকে গনশিক্ষায় বদলে যাচ্ছে, সেখানে 'রেনেশা ক্রমেই মানবিক সংবেদনশীলতার বিস্ফোরন ঘটাতে বাধ্য এবং সেখানই একটা প্রাচীর দাড় করিয়ে, অতি - কেন্দ্রীক পূঁজী - কালগত প্রগতিকে আটকাতে চাইছিলো। 
 (গ) সেখানেই স্তালিন বুঝলেন, রেনেঁশার মন্থরতা যদি নিজেকেই নিজের কবর খোড়ার দিকে ঠেলে দিয়ে থাকে, তবে সাম্যের অভিমুখে, নবাগত শ্রেনী হিসেবে শ্রমিক শ্রেনীকে যত সময় না পর্যন্ত শ্লৈগান ভিত্তিকতা থেকে 'তত্বাভিমুখে বৌদ্ধিক মুক্তির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যাবে, ততদিন পর্য্যন্ত সে 'শরীর সর্বস্বতার' পথে নিশ্চিত দাসত্বের দিকে এগিয়ে দেবে। ----- সেটাই হবে, কমরেড স্তালিনের মতে ইতিহাসের অপমৃত্যু। (চলবে)


Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours