দেবর্ষি মজুমদার, লেখক, শান্তিনিকেতন: প্রায়শ্চিত্ত, না সংশোধনী- বলবে সময়। তবে, সোজা সাপটা ভাবে বলা যায়, বিশ্ব ভারতী উদ্যোগ নিল তার অশ্রুত নায়ককে নতুন করে আবিষ্কার করতে। তিনি হলেন, বিশ্ব ভারতীর প্রথম উপাচার্য তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সন্তান রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
বিশ্ব ভারতীর ক্ষেত্রে রথীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদান কম ছিল না। শুধু মাত্র ব্রহ্ম চার্যশ্রমের পাঁচ বালকের একজন ছিলেন না। তিনি ছিলেন এক প্রকার হৃদস্পন্দন। রবীন্দ্র ভাবনা কেন্দ্রিক শিক্ষা ব্যবস্থার এক মূল্য বান প্রকাশ। মাধ্যমিক স্তরের পাঠের পর কৃষি বিজ্ঞান নিয়ে পড়ার জন্য ইলেনয় যান তিনি। পাঠ সমাপ্ত করে চার দশক শান্তি নিকেতনে কাটান তিনি।
তিনি পড়ুয়াদের জনু বিদ্যা পড়াতেন। তাঁর প্রচেষ্টা ছাড়া বিশ্বভারতী এই শিখরে উঠতে পারতো না। তাঁর প্রচেষ্টায় টেগোর মেমোরিয়াল গড়ে ওঠে। কিন্তু রথীন্দ্রনাথকে প্রচারের আলোতে কোন দিন আনা হয় নি। অশ্রুত থেকে গেছেন চিরদিন। ১৯৩৮ সালের ২৮ জানুয়ারি, এক স্বাক্ষরিত চিঠিতে রবীন্দ্রনাথ তাঁর সমস্ত কিছু দিয়ে গেছেন রথীন্দ্রনাথ ও তাঁর স্ত্রী প্রতিমা দেবীকে। তিনি লেখেন, আমি আমার সৃষ্টি যথা সঙ্গীত, নাটক সবকিছুর একচ্ছত্র অধিকার পুত্র রথীন্দ্রনাথ ও পুত্র বধু প্রতিমা দেবীকে দিয়ে গেলাম। তাঁদের ইচ্ছা অনুযায়ী আশ্রম ও তার বাইরে এগুলো কোন বিকৃতি ছাড়াই অনুষ্ঠিত হবে। এই আশঙ্কা থেকে এই দায়িত্ব তাদের উপর দিয়ে গেলাম , ভবিষ্যতে কেউ দায়িত্ব নিয়ে সমস্যা সৃষ্টি করবে না, তা বলা যায় না। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরে রাজনীতি রথীন্দ্রনাথকে আশ্রম ত্যাগ করতে বাধ্য করে। তিনি দেরাদুনে চলে যান। সেখানে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। এমনকি রবীন্দ্রনাথের শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে ১৯৬১ সালে তাঁকে শান্তি নিকেতনে ডাকা হয় নি। এটা ভুল সিদ্ধান্ত ছিল বলে আজ অনেক আশ্রমিক মনে করেন। দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে বিশ্বভারতী তাঁর লেখা, চিঠি, ডাইরি, ছবি চার সমগ্রের আকারে প্রকাশ করছে। বিশ্ব বিদ্যালয়ের রবীন্দ্রভবনের বিশেষ আধিকারিক নীলাঞ্জন বন্দোপাধ্যায় সেগুলো সম্পাদনার কাজ করছেন। প্রথম ভলিউম এই বছরের ২৭ নভেম্বর প্রকাশ পাবে, বলে জানা গেছে। কারণ ওই দিন রথীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম দিন। প্রথম ভলিউমের নাম রথীন্দ্র রচনা সংগ্রহ। তার মধ্যে রয়েছে তাঁর কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ ও অপ্রকাশিত
রচনা। বাংলা ভাষায় প্রকাশিত প্রথম ভলিউমের পর দ্বিতীয় ও তৃতীয় ভলিউম ইংরেজি ভাষায় প্রকাশ পাবে। চতুর্থ ভলিউম বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় প্রকাশ করার কথা। চারটি ভলিউম আগামী এক বছরের মধ্যে প্রকাশ পাবে, বলে সূত্রের খবর। উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী জানান, বিশ্বভারতীর উন্নয়নে রথীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভূমিকা অনস্বীকার্য। এই ভলিউম পাঠ করলে রথীন্দ্রনাথ সম্পর্কিত অনেক ধারণা পরিবর্তিত হবে। এই প্রচেষ্টায় আমি খুসি।
তিনি পড়ুয়াদের জনু বিদ্যা পড়াতেন। তাঁর প্রচেষ্টা ছাড়া বিশ্বভারতী এই শিখরে উঠতে পারতো না। তাঁর প্রচেষ্টায় টেগোর মেমোরিয়াল গড়ে ওঠে। কিন্তু রথীন্দ্রনাথকে প্রচারের আলোতে কোন দিন আনা হয় নি। অশ্রুত থেকে গেছেন চিরদিন। ১৯৩৮ সালের ২৮ জানুয়ারি, এক স্বাক্ষরিত চিঠিতে রবীন্দ্রনাথ তাঁর সমস্ত কিছু দিয়ে গেছেন রথীন্দ্রনাথ ও তাঁর স্ত্রী প্রতিমা দেবীকে। তিনি লেখেন, আমি আমার সৃষ্টি যথা সঙ্গীত, নাটক সবকিছুর একচ্ছত্র অধিকার পুত্র রথীন্দ্রনাথ ও পুত্র বধু প্রতিমা দেবীকে দিয়ে গেলাম। তাঁদের ইচ্ছা অনুযায়ী আশ্রম ও তার বাইরে এগুলো কোন বিকৃতি ছাড়াই অনুষ্ঠিত হবে। এই আশঙ্কা থেকে এই দায়িত্ব তাদের উপর দিয়ে গেলাম , ভবিষ্যতে কেউ দায়িত্ব নিয়ে সমস্যা সৃষ্টি করবে না, তা বলা যায় না। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরে রাজনীতি রথীন্দ্রনাথকে আশ্রম ত্যাগ করতে বাধ্য করে। তিনি দেরাদুনে চলে যান। সেখানে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। এমনকি রবীন্দ্রনাথের শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে ১৯৬১ সালে তাঁকে শান্তি নিকেতনে ডাকা হয় নি। এটা ভুল সিদ্ধান্ত ছিল বলে আজ অনেক আশ্রমিক মনে করেন। দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে বিশ্বভারতী তাঁর লেখা, চিঠি, ডাইরি, ছবি চার সমগ্রের আকারে প্রকাশ করছে। বিশ্ব বিদ্যালয়ের রবীন্দ্রভবনের বিশেষ আধিকারিক নীলাঞ্জন বন্দোপাধ্যায় সেগুলো সম্পাদনার কাজ করছেন। প্রথম ভলিউম এই বছরের ২৭ নভেম্বর প্রকাশ পাবে, বলে জানা গেছে। কারণ ওই দিন রথীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম দিন। প্রথম ভলিউমের নাম রথীন্দ্র রচনা সংগ্রহ। তার মধ্যে রয়েছে তাঁর কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ ও অপ্রকাশিত
রচনা। বাংলা ভাষায় প্রকাশিত প্রথম ভলিউমের পর দ্বিতীয় ও তৃতীয় ভলিউম ইংরেজি ভাষায় প্রকাশ পাবে। চতুর্থ ভলিউম বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় প্রকাশ করার কথা। চারটি ভলিউম আগামী এক বছরের মধ্যে প্রকাশ পাবে, বলে সূত্রের খবর। উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী জানান, বিশ্বভারতীর উন্নয়নে রথীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভূমিকা অনস্বীকার্য। এই ভলিউম পাঠ করলে রথীন্দ্রনাথ সম্পর্কিত অনেক ধারণা পরিবর্তিত হবে। এই প্রচেষ্টায় আমি খুসি।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours