Fiture
অনুপ চক্রবর্তী, নাট্যকার, কলকাতা: গল্পের খাতির ভাবা যাক পুরাকালে ভালবাসার অপরাধে নিগৃহীত ঐ দুই তরুণ তরুণীর একবিংশের প্রারম্ভে দ্বিতীয় বার জন্ম হল। ভাবাই যাক তারা এখনও পরস্পরের প্রেমাস্পদ। এক বসন্তের এক অপরাহ্নবেলায় তারা হাত ধরাধরি করে রাজপথ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল। এবারেও তারা আক্রান্ত হল ঐ ভালবাসারই অপরাধে। কিন্তু এবারের আক্রমণকারীরা পুরাকালের ঋষিরা নয়। তারা নাকি ঋষিদের বংশধর। তাদের দাবী অনুযায়ী। ওদের হাতে মার খেতে খেতে ঐ তরুণ তরুণী বলল ‘’ তোমরা মারছ কেন’’? “রাস্তায় দুজনে হাত ধরাধরি করে হাঁটছিস কেন’’? “কী হয়েছে তাতে? আমরা দুজন দুজনকে ভালবাসি।‘’ “চোপ। ওসব প্রেম ভালবাসাবাসি করা চলবে না। প্রকাশ্যে একদম চলবে না। এটা সনাতন ভারতবর্ষ।
মুনি ঋষিদের দেশ।‘’ ‘’ না। এটা আধুনিক গণতান্ত্রিক ভারতবর্ষ। এখানে সর্বত্র আমাদের প্রেম করার অধিকার আছে। আর তোমরাই বা কারা যে বলছ প্রেম ভালবাসাবাসি করা চলবে না? তোমরা ঠিক করে দেবে আমরা কোথায় প্রেম করব?’’ ‘’হ্যাঁ। আমরাই ঠিক করে দেব কে কী করবে, কে কী পরবে, কে কী খাবে।’’ ‘’ তাই নাকি? তোমরা কারা হে?’’ ‘’আমরা ঋষিদের বংশধর’’ ‘’ তোমরা ঋষিদের বংশধর? তোমাদের পুরাকালের শ্রদ্ধেয় ঋষিরা তো অসহায়া অপ্সরাদের উপভোগ করে পিতৃপরিচয়হীন সন্তানের জন্ম দিয়ে কেটে পড়ত। এমনই শ্রদ্ধেয় ছিল তারা। তোমরা ঋষিদের বংশধর কিনা জানিনা। কিন্তু এটা পরিষ্কার যে তোমরা হুলিগান।
এ যুগের ঘৃণ্য মাস্তান। অপরের ব্যক্তিস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করো। মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারকে স্বীকার করো না। তোমরা অসভ্য,বর্বর, অমানবিক।‘’ ( শেষ পর্ব)


Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours