Fiture
জীবন রায়, প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ, রাজ্যসভা:  দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধ 'নির্মানের' কাল থেকেই, ------ কেন্দ্রিভুত পুজীর হিংস্রতা ' বনাম 'হিংস্র হয়ে উঠা ক্রম কেন্দ্রিভূত' পুঁজির' বনাম শ্রম সংঘাতকে ---- প্রথোমোক্তের পক্ষে 'শ্রম'কে বিবষ করে দেওয়াকেই প্রধান রনকৌশল হিসেবে গ্রহন করা হয়েছিল। ----- অক্টোবর বিপ্লবের পর, যেভাবে মনুষ্য সমাজে সংবেদনশীলতার বিস্তারে, ঘোষিত হয়েছিলো, 'সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে কেউ নাই' ------ এমনিতেই কারখানা গেট এবং খনিমুখ উত্তাল হয়ে উঠছিলো । অধিকারের দাবী, ক্রমে সম-মর্য্যাদার দাবীতে বদল হয়ে যাচ্ছিলো। পরিনাম একের পর এক দেশে যখন মুক্তি সংগ্রাম চলছিলো, শ্রমিকরাই সামনের সারিতে এসে দাড়াতে শুরু করেছিলো। পুজি যখন কেন্দ্রিভুত হয়ে গেছে, অনেকাংশে, যখন সে সাম্রাজ্যবাদী স্তরে উঠে গেছে এবং বিশ্ব-ভাগাভাগির কারনেই, জাতিভিত্তিক রাষ্ট্রভাবনাকে ভেংগে দিতেই হচ্ছে, তখন স্বাভাবিক কারনেই ------ মেনে নিতে হোত রেনেসাঁ এখন ছিন্নভিন্ন হয়ে যাবে। তখন এটা স্বতসিদ্ধ, একই কারনে রেনেসাঁর ক্ষয়ের সাথে সাথে, যেভাবে বুর্জোয়া উদারনীতিবাদ ক্ষয় হতে থাকবে, তেমনভাবে ----- কলে কারখানায় সংগঠিত হতে থাকা শ্রমিক-কর্মচারীরা একদিকে যেমন রাজনৈ্তিক শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হতে থাকবেন,তেমনভাবেই, কারখানা ও খনিমুখের সাথে সাথে, পুরো শ্রম যোগানের লাইনকে ----- অতীতের জ্ঞানগত অন্ধকারে ঠেলে দিতেই একপ্রান্তে জনশিক্ষাকে সংকুচিত করবে। এমনিতেই, উদারবাদের সংকোচন এবং শ্রমের বহু-মুখীনতার কারনে, জ্ঞানের প্রবাহ বহুদা বিভক্ত করার সুযোগ পেয়ে যায় ইম্পিরিয়াল শক্তি। ---- ইম্পিরিয়াল পাওয়ার হিসেবে, হিটলারের সময় থেকেকি , ব্যক্তিস্তরে পুর্ণজ্ঞানের সম্পৃক্ততা পরিস্থিতি ভেঙ্গে পড়ছিলো। এখন জ্ঞানকে জনস্তরেই যে আটকে দেওয়া শুরু হোল তাই নয়, প্রকৃ্তি বিজ্ঞানকে, ফ্রয়েডীয় শেকল ভেংগে 'মন' এবং ইতিহাসের স্তরে নিয়ে যাওয়াটাই আটকে দেওয়া হোল। ---- এতোদিন মার্ক্সসবাদ এবং লেনিনবাদকে, শ্রেফ রাজনৈ্তিক পর্য্যায়েই মোকাবিলা চলছিলো, জাতীসত্বাকে ভেংগে দেওয়া এবং প্রকৃ্তি বিজ্ঞানের অভিমুখ ইতিহাসের দিকে এগুতে দেওয়াটাই কেন্দ্রিভূত পুঁজির সংকট হয়ে দাড়াচ্ছিল। সাম্প্রতিক কালে বিজ্ঞানের শ্রোত থেকে ডারউইনকে ছেটে ফেলার আমেরিকান সিদ্ধান্তের পেছনে একই কারন। এই সুত্রেই ইংগিত দিয়ে রাখি, ভারতে ইতিহাসবোধে সংকটের অন্যতম কারন এখানেই ---- এদেশের কংগ্রেস দলের সংখ্যাগরিষ্ট অংশের আর এস এস পন্থীরা এবং আর এস এস, এম্পেয়ার এবং ইম্পিরিয়াল পাওয়ার এর ফারকটা না বুঝেই, মোঘল এম্পেয়ারকে ঘৃনা করতে এবং ব্রিটিশ, শেষ পর্য্যন্ত হিটলার ইম্পিরিয়ালিজমমে ভালোবাসতে শিখেছেন ও শিখিয়েছেন। এইভাবেই, উদারতার বিলয়ের পথে যাতে মানবিক সংবেদনশীলতার আত্মপ্রকাশ আটকানো যায়, সেজন্যেই যখন প্রকৃতি বিজ্ঞানের অগ্রগতি এবং জাতিভিত্তিক রাষ্ট্র বিকাশ আটকাতে হচ্ছে, সেই উদ্যেশ্য সাধনে এবং মানুষকে, বিশেষতঃ 'মেহনত'কে বিবষ করে দিতে ----- অতীতের সব সর্বনাষা পুঁজ-রক্তকে টেনে তুলতে এবং তাকে মেহনতি এবং তার যোগানের ধারায় মিশ্রন ঘটাতেই হোত। ------ That is why it is said that the importance for raising the level of intellectual struggle within working class began taking sky-high level, along the line of advancing October Revolution, specially after collapse of Hitler . প্রকৃত অর্থে শ্রমজীবী আন্দোলনকে বৌদ্ধিক স্তরে উঠিয়ে আনাটা, সাধারনভাবে অক্টোবর বিপ্লব, বিশেষভাবে হিটলার নিধনের পর থেকে অতি-গ্রুরুত্ব পেতে থাকে।
পোলান্ড আক্রান্ত হওয়ার পূর্বেই, রক্ত-জাত-বর্ণ এবং পুরুষ-স্ত্রী সম্পর্কে ইত্যাদি -----, রেনেসাঁ যতটুকু প্রগতি অভিমুখী করে দিয়েছিলো, , মেহনতের মর্য্যাদাকে যে কিঞ্চিত পরিমানে কারখানা ও খনিমুখের এ বদলে দেওয়া গিয়েছিলো - এসবের অনেক কিছু নষ্ট হয়ে গেলো ---- রেনেসাঁর জ্ঞান এবং সংস্কৃতিমুখীনতাকে বিবষ করে দেওয়ার কারনে। বিশ্বের সব দেশের সাথে সাথে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনেও, কংগ্রেসের ভেতরে এবং বাইরে তার প্রভাব পরলো। এদেশে আর এস এস এর জন্য এবং তাকে অংকুরে বিনাশ করায় কংগ্রেস অস্বিকৃ্তি ইত্যাদি সব কিছুই এই দোলাচলের পরিনাম। যাইহোক, সে সময় স্তালিন তার অসম সাহসিকতা, লেনিনবাদকে সৃজনমুখীন করার যোগ্যতায়, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে এবং যুদ্ধ চলাকালিন, ------ রক্তের বিবাদের বিপরীতে, 'দুনিয়ার শ্রমিক এক হও, এই শ্লোগানে বিশ্বকে সোজা করে দাঁড় করিয়ে দিলেন। সেকালে, যারা ভারতের সাম্যবাদী আন্দলনকে , কঠিন হিটলার বিরোধী লাইন নেওয়ার জন্য যৎপরোনাস্তি গালাগালি করেছিলেন, তাদের অধিকাংশের, দ্বিতীয় যুদ্ধে লাল-ফৌজের পরাজয় হওয়ার অর্থ বোধের অগম্য ছিলো। ----- যারা, কোন ত্যাগ স্বিকার না করে, 'ফুলুকে' স্বাধীনতার মাতাব্বরিকে কব্জা করতে চেয়েছিলেন, 'যুদ্ধের প্রকৃ্ত চেহারাটাই তাদের বুদ্ধির অগোচরে ছিলো। অন্যথায়, মহাত্মা নিজে, লন্ডন থেকে মুশোলিনির পথে হাটা দিতেন না। ------ রোমা রোলা তাকে বুঝিয়ে শুনিয়ে ফেরত পাঠান। রোমা রোলা উল্লেখ করেছেন, অকমিউনিষ্ট বুদ্ধিজীবিদের মধ্যে নেহেরুর বাইরে একমার আচার্য্য জগদীশ চন্দ্র বসু, ফ্যাসিস্তদের সাথে যোগাযোগ রাখতে অস্বিকার করেছিলেন। পসংগত উল্লেখ্য, বৃটিশ সরকার এই মহাবৈজ্ঞানিক ভারতীয়ের সম্মানে সম্প্রতি বিশেষ সম্মানের আয়োজন করেছেন। যাইহোক, রেনেসাঁর ধ্বস নামতে শুরু করার সাথে সাথে যখন প্রকৃতি বিজ্ঞান মন পর্য্যন্ত এবং সেখান থেকে ইতিহাস পর্য্যন্ত এগিয়ে দেওয়ার পূর্বে 'ফ্রয়েডেতেই' তার গলা টিপে ধরা হয়েছিলো, সাহিত্য - রবীন্দ্রনাথে পৌছুনোর পর, এগিয়ে যাওয়ার পথে থমকে দাড় করিয়ে দেওয়া হয়েছে, ----- তখন স্তালিন 'দুনিয়ার শ্রমিক এক হোক' এই অভিমুখকে সামনে রেখে সাহিত্যে রবীন্দ্রত্তোর কালের নতুন এক অভিমুখ নির্মান করে দিলেন। ভারতের দিকে তাকিয়ে যদি দেখা দেয়, শুধু আই পি টি এ নয়, মার্ক্সসবাদে বিশ্বাসি কিংবা অবিস্বাসি - তাদের যারা রবীন্দ্রত্তোর কালে সাহিত্যকে, মানবিক করার প্রয়াস পেয়েছিলেন, তাদের অনেকেই, হিটলার বিরোধী স্তালিনীয় মানবিক ভাবসত্তার অভিব্যক্তি হয়েছিলেন। এই সুত্রেই বলে রাখি, দর্শন হিসেবে মার্ক্স 'মন'কে প্রকৃতির সর্বোচ্চ বিকাশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে গিয়েছিলো, বলে যুদ্ধ এবং যুদ্ধোত্তোর কালে সভাতা টিকে গেলো, হিটলার সাহীদের হাত থেকে। ------- যুদ্ধোত্তর কালে সোভিয়েত ইউনিয়ন, যে ইতিহাস গবেষনা করে গেছে (মনের সংগঠিত কার্য্যকলাপ হিসেবে) তাই মনুষ্য জাতীকে এখন এক সংগঠিত মানবিক শক্তিতে দাঁড় করিয়ে রেখেছে। --------কাজেই যারা বোঝেন নাই, এই বিশ্বজোরা বৌদ্ধিক লড়াই এ স্তালিনের নেতৃ্ত্বাধীন বিশ্বশক্তির বিজয়টাই ছিলো, আসল ময়দানী যুদ্ধের প্রানভোমরা। সেই যুদ্ধে যদি লাল ফৌজ হেরে যেতো, তবে ধুলোর মতো শুধু রাসিয়া নয়, মানবিকতা সেদিনই উড়ে যেতো। এই সুত্র ধরেই, দুটি ইতিহাসের সুত্র ইংগিত হিসেবে এই অংশে লিপিবদ্ধ করে যাওয়া উচিত হবেঃ প্রথমতঃ কংগ্রেস সরকারের জমানায় - নেহেরু যদি দর্শন হিসেবে ভারতে অর্থনৈতিক আত্মনিয়ন্ত্রন এবং আন্তর্জাতীক আত্মমর্য্যাদার পথে এগিয়ে দিয়ে থাকেন শ্রীমতি ইন্দিরা, জরুরীকালিন অবস্থা সত্বেই আত্মনিয়ন্ত্রনের ধারাকে ভুমি স্তরে এগিয়েছেন। আন্তর্জাতীক স্তরেই তার সময়ে নেহেরুর পঞ্চশীল ভেংগে যাওয়ার পর, ভারতীয় আত্মমর্য্যাদাকে অন্ততঃ ধরে রেখেছিলেন। ------ কিন্তু কংগ্রেস শাসনের সব থেকে বড় সাফল্য, যে বিন্দুতে, সেই বিন্দুতেই ভারতের হিটলার পন্থীরা কংগ্রেসের উপরে খরগহস্ত। কংগ্রেস, মুলতঃ নেহেরুর কারণে, ভারতীয় ইতিহাসে, ভারতীয় সাম্যবাদীদের ভূমিকাকে খাটো করে দেখালেও, মূলতঃ বিশ্ব ইতিহাস যেভাবে ভারতীয় ইতিহাসকে আলোকিত করেছে, সেই সূর্য্যকিরনকে ছায়াবৃত হতে দেন নাই।সে
ইতিহাসের মানবিক উত্তোরনের দিকটি উন্মুক্ত ছিলো। দ্বিতীয়তঃ ইতিহাসের অভিমুখকে যখন আন্তর্জাতিক স্তরে, পুজির কেন্দ্রিভবন আটকে দিচ্ছিলো, সোভেয়েতের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ নির্মান হচ্ছিলো এবং এসবের পরিনামে ---- সোভিয়েত এবং সমাজতান্ত্রিক দেশগুলিতে অগ্রগতির পথকে অনেকটাই বিবষ করে দিচ্ছিলো ---- তখন সোভিয়েত এবং সেখান থেকে সারা বিশ্বের সাম্যে ভেতর থেকেই বিবষতার কারন হয়ে উঠেছিলো ক্রুশ্চভবাদের অভ্যুত্থানে। পেরোস্ত্রোয়ীকা ক্রুশ্চভবাদের পরিনতি বই কিছু নয়। (চলবে)


Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours