জীবন রায়, প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ, রাজ্যসভা
মার্ক্সের জ্ঞান তত্বের মহিমা এখানেই। যা বিদ্যমান, তা সাধারনভাবে মানুষ দেখে না। যেটা সে দেখতে চায় এবং যেমনভাবে দেখতে চায় - সেভাবেই সে দেখে।
এখন প্রশ্ন, কোন জিনিষটি তার প্রয়োজন এবং কেন প্রয়োজন, সেটাও যদি মানুষ নিজে থেকে বুঝতে পারতো, তবে সে হয়তো বা সত্যের দিকে হাটাটা আয়ত্ব করতে পারতো নিজে থেকে।
--- এখানেই রাষ্ট্র মানুষের কাছে নেমে আসছে, তার প্রয়োজনীয়তাকে মানুষের প্রয়োজনীয়তাকে বদলে দিতে। কেউ প্রশ্ন তুলবেন, বিজ্ঞাপন কিংবা রাষ্ট্রীয় প্রচার তো 'কমোডিটি' বা পণ্য বাজারকে ঘিড়ে।
---- ঠিক। কিন্তু কমোডিটি বাজারকে যখন যৌনতার সাথে যুক্ত করলে ভালো ব্যবসা হয়, তখন সংস্কৃতির মধ্যেও 'বৌদ্ধিক সত্বা' কে কুজ্ঝটিকায় ঠেলে দিয়ে শরীর সর্বস্বতার 'ভাব' ঢুকাতেই হয়।
---- এর সাথে যুগল- বন্দি হিসেবে যদি 'শ্রমদাসত্ব' এবং 'বর্ণাশ্রম' যুক্ত হয়ে যায়, নারীরা সমাজের 'খাদ্যে' বদলে যাবেই। সেখানে বর্ণাশ্রম যদি থাকে, এই যৌন বুভুক্ষুতা মেটানোর শুরু হিসেবে, ক্যাটালেটিক এজেন্ট হিসেবে
---- 'দলিত নারীদের' ভোগ্য করার সামাজিক প্রশ্রয় সামনে চলে আসে। একটু আগে একটা সমীক্ষা পোস্ট করেছি, সেখানে বলা হয়েছে - 'এখন রোজ ছয় জন দলিত ধর্ষিতা হচ্ছেন।
----- কোথায়ো কি দেখছেন, 'নারী দেহকে' কমোডিটি প্রচারে ব্যবহার করাকে, কোন 'নারী আন্দোলন' শুরু হতে, যেখানে দাবী করা হয়েছে 'নারী দেহকে' কমোডিটি বাজারের বিজ্ঞাপন হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না। অবশ্য 'শ্রম-দাসত্ব' বিরোধী সংগ্রাম শুরু না হলে, সে সংগ্রামও বেশী দূর এগুতো না।
যাইহোক, বিষয়টা সেখানে নয়। উদাহারনটা বোঝাবার জন্য। আমরা কি দেখবো, কিভাবে দেখবো সব কিছুই এখন বিশ্বপুজির কেন্দ্রিকতাই ঠিক করে দেয়। সে অনুযায়ী জ্ঞান এবং সংস্কৃতিকেও কেটে ছেটে ঠিক করে নেয়।
এই তারাই যে ঠিক করে দেয়, সে কারনেই, আমরা সাধারনেরা রোম, মোঘল এবং বৃটিশ সাম্রাজ্যের অভিধানিক ধারনা একই ভাবে গেথে রেখেছি। ভারতের ক্ষেত্রে -- বর্তমানে ভারত যে 'ভাবগত' বিপর্য্যয়ে পরেছে, তার প্রধান কারন এখানেই। এই সব সাম্রাজ্যকে যখন একই চোখে দেখি, তখন
'মুসলিমদের' বহিরাগত দেখিয়ে অত্যাচার নামিয়ে আনার 'গনভিত্তি' নির্মানে শুভিধা হয়ে যায়।
----- সে কথাটা তখন ইতিহাসের বাইরে চলে যায়ঃ গুজরাটে গনহত্যার কারণে (তা যেভাবেই হোক) সংখ্যালঘুদের ব্যবসা এবং জিরাতে হাত বদল হয়ে গেছে। অনুরুপভাবে বাংলায় যা শুরু হয়েছে, সেটাও পেছনে চলে যায়। দ্বিদলীয় মেরুকরন সেখানে, কোথায়ো সংখ্যা লঘুদের জমি দখল আবার কোথাও জমি ফিরে পাওয়ার সংঘাতের প্রতিরুপ হয়ে দাড়াচ্ছে।
সব থেকে বড় কথা, পাঠান মোগলদের সবাই যে, আর্য্য এবং শাক হুন্দের মতো এদেশে এসে - ভালো মন্দের সব কিছু এদেশেই রেখে গেছে, সেটা তলিয়ে গিয়ে, বিলেতের প্রতিটি ইটের মধ্যে যে ভারতীয় রক্ত মাখা আছে (হিন্দু মুসলমাল, পার্শি সবাইকার) সে কথা আড়াল করে
----- যাদের সরকারী বেসরকারী চাকরী থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে এবং টিকে আছে কিছু জমি জিরেত - কমিউনিটি কাজ কারবারে
------ সেগুলিই যে দখন করার জন্য তাকে ইতিহাসের অন্তরালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং মানুষ বিশ্বাস করতে থাকে।
তাই আমাকে মার্ক্সের জ্ঞানত্ত্ব সম্পর্কে অন্য একটা সুত্রের আশ্রয় নিয়ে ইতিহাসের অভিমুখ সম্পর্কে অন্য একটি ধারনায় পৌছুনোর চেষ্টা করতে হোল।
সেই সুত্রটিকে, রান্না শিল্পের 'রেসেপী' এবং প্রকৃত রান্না তুল্য বিছারে বুঝলাম।
মার্ক্স এক যায়গায় বোঝাচ্ছেনঃ
---- Knowing the world is important. But one will know it to tis perfection only when he steps forward to change it. বই পড়া বা শুনা বিদ্যায় অথবা রেসিপীতে একজন সীমারেখাগুলি বুঝে উঠতে পারে, কিন্তু রান্নাটা যদি জানতে হয়, তাকে রান্না ঘরে নিশ্চিতভাবে প্রয়োগ করতে শিখতে হবে।
------ সেই সুত্র ধরেই, ইতিহাসের পেছনে হাটতে হাটতে, আজ থেকে ৫৫ বছর পূর্বে, আমি যাকে প্রধান গুরু বলে মেনে ছিলাম, সেটার প্রয়োগে, তিনটি সাম্রাজ্যের অর্থ এবং পারস্পরিকতা বুঝে নিয়ে, আর এস এস নীতির সর্বনাশা দিকটি নিজেতে উন্মোচন করলামঃ
তিনি বুঝিয়েছিলেন - (ক) রাম সম্রাট যখন একের পর এক অঞ্চল দখল করে সাম্রাজ্য বিস্তার করছিলেন, সেটার সাথে জমি দখল মূখ্য ছিলো না - যুদ্ধ করে যুদ্ধ বন্দিদের দাস বানানোটাই লক্ষ ছিলো। জমি তখন অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ন ছিলো না, দাসই তখন সব। গুরু শেখালেনঃ এইভাবে রোম বা অনুরুপ সাম্রাজ্যের চরিত্র ;MAN EXPLOIT THE NATURE WHILE HOLDING SLAVE INTO CUSTODY.
( খ) অনুরুপভাবে বোঝালেন, মোঘলরা যখন ভারতে এলেন , তখন খুব কম জায়গাতেই কেউ জমির গুরুত্ব দিতেন, যেমন বিশ্বে। তখন সবে, ইউরোপে জাতিভিত্তিক রাষ্ট্র। ভারতে ওসব সবে আসতে শুর করেছে। গুরু বোঝালেন, এটা রোমের বিচারে নতুন ধরনের সাম্রাজ্য এবং সেটা জমীকে ঘিড়ে।
সাম্রাজ্যের ভালো মন্দ সব জমিকে ঘিরে। সেখানেই জন্ম সেখানেই মৃত্যু;THUS IT IS AN EMPIRE BASED ON A PERSON CONTROLLING THE PEOPLE ON THE BASIS OF CAPTURING THE LAND TO HOLD.
( গ) বি জে পি দলের সম্ররথন ভিত্তির বিদ্বান বলে যারা পরিচিত, তারাও 'পয়সার লেনদেন' ছাড়া অন্যকিছু কম বোঝেন, অন্যদের বিপুল অংশ এখনো সেই দলে
------ যারা মনে মনে মেনে চলেন 'পৃথীবী নয়, সূর্য্য, পৃথিবীর চারদিকে ঘোরে, গাঁজার টানে ক্যান্সার ছেড়ে যায়, তাদের বৃটিশ দের সাদা রুপে ভোলানো সম্ভ্যব হয়েছে। তারা তাই, সিপাহীপূর্ব কালের সাহিত্য বেশী পছন্দ, রবীন্দ্রনাথের জ্ঞান সত্বা আধারিত আধুনিকতায় চরম আপত্তি। আমার প্রথম গুরু, কাছ থেকে সেদিনের শিক্ষা থেকে বুঝলাম
----- কেন মোঘল এবং বৃটিশ উভয়কে সাম্রাজ্য বিবেচনা করলেও দুটো সম্পুর্ন পৃ্থক। আকবর, অশোক, আলেকজান্ডারেরা সম্রাট বলে সম্বদিত করা হলেও, ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীকে কেউ সম্রাট বলতো না। সে ছিলো ইম্পিরিয়াল পাওয়ার, বা সাম্রাজ্যবাদী। বহুদেশ তার কব্জায়ঃ সে কারণে বলা হোত, বৃটিশ সম্রাজ্যে সূর্য্যাস্ত হয় না।
গুরু বোঝালেন - বৃটিশরা শ্রেফ পুজিতন্তের (it is not single man, but capital and through using capital control people) প্রতিভূ নয়, সে সেই পুজিবাদের নেতা যে ফরাসী বিপ্লবের রোয়েদান ভেংগে জাতিভিত্তিক রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে ভেংগ দিতে চাইছে। ব্যবস্থার দিক থেকে বর্তমানের সাথে অতীতের তফাৎ একটাই।
তখন বেলেতি পূজী বিশ্ব পুজির নিয়ন্ত্রন করতো, এখন আমেরিকা। এই হাত বদলের জন্যেই, এক একটা বিশ্ব যুদ্ধ। NOW IT IS CENTRALISED CAPITAL UNDER AMERICAN MILITARISM & DROLLER CONTROLS THE WORLD.
Post A Comment:
0 comments so far,add yours