মহম্মদ এনামুল হক, ফিচার রাইটার, বর্ধমানঃ
 এক শ্রেণীর চতুর সাংবাদিক দীর্ঘ সময় ধরে বিদ্বেষী মনোভাব থেকেই প্ররোচনা করে চলেছে, "রাজ্যের মাদ্রাসা গুলো তে জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ শিবির চলে" । আমি ঐ সকল বিদ্বেষী সাংবাদিকদের কাছে জানতে চাই, এগুলো কোথায়, এবং কোথাকার মাদ্রাসার ছবি? এরা কারা? এগুলো কাদের জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবির? এগুলো এই রাজ্যে কারা চালায়?বা এই রাষ্ট্রে কারা চালায়? এমন ঘৃণ্য অস্ত্র প্রশিক্ষণ শিবির? হয় তো এখানে থাকা ছবি গুলো ভিন্ন রাজ্যের প্রশিক্ষণ শিবির থেকে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু, কুলতলি স্কুলে জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ কারা দিচ্ছিল?
এমন হাজারো প্রশ্ন সাধারণ মানুষের কাছে উঁকি দিয়ে যায়। সেখানেও কি কোনো মাদ্রাসার পড়ুয়াদের প্রশিক্ষণ, কোন জঙ্গি সংগঠন দিচ্ছিল? 'তুমি মহারাজ সাধু হলে আজ, আমি আজ চোর বটে'। তোমরা ছবিতে থাকা জঙ্গিদের, জঙ্গি সংগঠন গুলো কে আড়াল করো কোন উদ্দেশ্য নিয়ে, তা আর বুঝতে অসুবিধা হয় না আমাদের মতো সাধারণ মানুষের। এখানে একটা গল্প বলি। 'গৃহস্থের ঘরে, চোর গরু চুরি করতে গিয়ে, প্রথমে গরুর গলা থেকে ঘন্টা টি খুলে নিয়ে, একজন সাথী কে তা বাজাতে বাজাতে পাঠিয়ে দেয়। এবার চোর গোয়াল থেকে গরু খুলে বিপরীত দিকে রওনা দেয়। গৃহস্থ, গরুর ঘন্টার আওয়াজ শুনে তার পিছু নেয়, একটু দূরে গিয়ে দেখে গরু নেই ঘন্টা পরে আছে'।।। যাক আসল প্রসঙ্গে ফিরে আসি। রাজ্যের কোন কোন মাদ্রাসা থেকে কি কি অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে? মাদ্রাসা গুলোকে বারবার জঙ্গি প্রশিক্ষণের কেন্দ্র বলে মিথ্যাচার করে তোলা হয় কেন? অথচ কুলতলি বা অন্য কোথাও বাচ্চাদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে যে জঙ্গি প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে, সরকার তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা কি করেছে? আমি নিজে যদিও বর্তমানে মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোর বিপক্ষে। আমি চাই মাদ্রাসা গুলোতে আধুনিক জ্ঞান বিজ্ঞানের সাথে ধর্মীয় শিক্ষা হোক। সরকার সমস্ত মাদ্রাসা গুলোকে অধিগ্রহণ করে সরকারি ভাবে পরিচালিত করুক। মিথ্যাচার করে বিশেষ একটা সম্প্রদায়ের নামে বিদ্বেষী মনোভাব ও প্ররোচনা বন্ধ হোক। সমস্ত মৌলবাদী ও সন্ত্রাসবাদী শক্তি ধ্বংস হোক। সন্ত্রাসমুক্ত হোক, আমার দেশ আমার রাজ্য সেই সাথে অনুরোধ করবো, যেখানে যারা সন্ত্রাসী শিক্ষা দেয়, সেই সকল শিবির গুলো সরকার অবিলম্বে ভেঙে গুড়িয়ে দিতে কড়া পদক্ষেপ নিক। আর যারা সুকৌশলে ঘৃণ্যভাবে বিদ্বেষের প্রচার ছড়িয়ে মানুষে মানুষে বিভেদ সৃষ্টি করতে বদ্ধপরিকর,
তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হোক। রাজ্যের সকল শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ এবং বিশেষ করে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে অনুরোধ করছি। প্রশ্ন করুন, কোন মাদ্রাসায় জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ শিবির চলে? যদি প্রমাণিত হয়, , আমি আশাবাদী রাজ্যের সাধারণ মুসলমান মানুষ সেই মাদ্রাসা গুলোকে ভেঙে গুড়িয়ে তাকে নিশ্চিহ্ন করে দিবে। যদি কোনো কারণে সরকার তা তৎক্ষণাৎ ভেঙে ফেলতে গড়মসি বা দ্বিধা বোধ করে। আমার বাংলার সম্প্রীতি অটুট থাক। সকল অশুভ শক্তির বিণাশ হোক।


Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours