ভবানী প্রসাদ ভট্টাচার্য্য, ফিচার রাইটার দুরগাপুরঃ
পিতৃ অপমান ও ভাতৃ হত্যার প্রতিশোধ নিতে সুদুর ময়না গড় থেকে ঢেঁকুর গড়ে উপস্হিত হলেন কর্নসেন পুত্র লাউসেন, সাথে বিশ্বস্ত সেনাপতি কালু ও পাতাই ডোম! ঢেঁকুর গড়ের বিপরীতে কৃষ্না নদীর( অজয় নদের ) উত্তর তীরে অবস্হান করলেন সসৈন়্যে, ১৩ই বৈশাখ বুদ্ধ পূর্নিমায় আরাধ্য দেবতা ধর্মরাজের পুজা সম্পন্ন করে ইছাই ঘোষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করলেন ! আজও সেই স্হানটি লাউসেনতলা নামে পরিচিত!
ইছাই তাঁরা আরাধ্যা দেবী শ্যামরূপা মায়ের ভবিষ্যত বানী ভুলে গিয়ে দেবীর পূজা অসমাপ্ত রেখে শনিবারের বারবেলায় লাউসেনের সাথে যুদ্ধে অবতীর্ন হলেন, আজও রাখাল বালকেরা সুর করে গান গায়, "
শনিবারের বারবেলায় যুদ্ধে যাইও না ইছাই গোয়ালা!
তিনদিন তিন রাত্রি প্রবল যুদ্ধ হ'ল ,ক্লান্ত অবসন্ন, ইছাই চতুর্থ দিন ভোরে দেখলেন পূর্বদিকে নয় উত্তরে সূর্যের উদয় হয়েছে, তখনই মা শ্যাপরূপার ভবিষ্যত বানী মনে পড়লো ইছাই-এর দেবী ভবিষ্যত বানী করেছিলেন পুবের ভানু পশ্চিমে উদয় হলেই সেদিনই হবে ইছাই -এর শেষ দিন! ইছাই বুঝতে পারলেন, আর উপায় নেই যুদ্ধে তাঁর পরাজয় ও মৃত্যু নিশ্চিত , তবুও তিনি মেয মূহূর্ত পর্য্যন্ত বীরের মতো লড়াই করে লাউসেনের হাতে বীরগতি পেলেন!
বীরের মতোই মৃত্যু বরন করলেন এক আহীর গোয়ালা সন্তান,যিনি এক অখন্ড গোপ রাজ্যের স্বপ্ন দেখেছিলান, মৃত্যু হ'লো মা শ্যমরূপার মানসপুত্র ধর্মমঙ্গল কাব্যের অমর নায়ক ইছাই ঘোষের, শেষ হ'ল একটি সোনালী অধ্যায়ের.....( চলবে)
Post A Comment:
0 comments so far,add yours