জয়া বাসু, সিনিওর জার্নালিস্ট, কাতার: (ভুটান সফর প্রসঙ্গে লেখনি)
পুজোর আর তিন মাস বাকি। বাঙালীর বেড়াতে যাবার প্ল্যান শুরু হয়ে গেছে এখন থেকেই । পুজোর ১০ টা দিন কলকাতার ভিড় থেকে দুরে পরিবার বা বন্ধুদের সাথে চলে যেতে পারেন প্রতিবেশি দেশ ভুটানে।
১৯৭৪ সাল থেকেই ভুটানে পর্যটকের ভিড় দেখা গেছিল। তবে ১৯৯২ সাল থেকে ভুটানের পর্যটন বিপুল আকার ধারন করে। প্রাকৃতিক সম্ভারে শোভিত ভুটান যে কোনো ভ্রমণ পিপাসু মানুষ কে আকর্ষন করবে। সবুজ আর পাহাড়ের মেলবন্ধন চোখ টানবে পযর্টকদের।
থিম্পু ভুটানের রাজধানী হবার সাথে সাথে বেড়ানোর জায়গাও বটে।
হস্তশিল্পের অনেক সম্ভারে পরিপূর্ণ শহরটি। সব পাহাড়ি দেশের মতন ভুটান ও মাতৄতান্ত্রিক সমাজ। সকাল হতেই মহিলারা বেড়িয়ে পরেন রুজিরুটির সন্ধানে। মূলত পর্যটনই মূল জীবিকা।
ভুটানের সবথেকে বিখ্যাত বেড়ানোর জায়গা পারো। পারো ভ্যালিতে গেলে মনে হবে যে পৃথিবীর স্বর্গ বুঝি এখানেই। মন চাইবে এখানেই থেকে যাই। যে দিকে দুচোখ যায় শুধুই সবুজ। তবে এপ্রিল মাসেও আপনাকে শীতের আমেজ দেবে ভুটানের আবহাওয়া। আর অক্টোবরে সেই টেম্পারেচার ৪-৫ ডিগ্রিতে নেমে যায়।
এখানে একটি খুব পুরোনো বুদ্ধমন্দির আছে। স্থানীয়দের মতে এটি নাকি ১০০০ বছর পুরোনো। পরিস্কার পরিচ্ছন্ন শহরটিতে ছড়িয়ে আছে আরো অনেক বৌদ্ধ স্তুপ। ভুটানিরা বৌদ্ধধর্মাবলম্বী হওয়ায় এরা খুব শান্তিপ্রিয় হয়। সন্ধ্যা নামার সাথেই শেষ হয়ে যায় ভুটানের দিন।
প্রায় ৭৫ ভাগ জঙ্গল হওয়ায় বৃষ্টির পরিমানও বেশি । যারা বৃষ্টি ভালোবাসেন বর্ষাকাল উপযুক্ত সময় ভুটানে যাওয়ার জন্য । এ ছাড়াও পুনাখা, বুমথাং,লাখাং এই জায়গা গুলোকে প্রকৃতি তার মনোরম শোভা দিয়ে সাজিয়ে রেখেছে। চারিদিকে শুধু প্রকৃতির হাতছানি।
আরা নামের একটি ভুটানি পানীয় এরা নিজেরা তৈরী করে যা অন্তত একবার টেস্ট করতেই হবে। এমা ডাটসি হল ভুটানের জাতীয় খাবার। এছাড়া মোমো, চিকেন এবং শুয়োরের মাংস অঢেল পাওয়া যায় এখানে।
কোথাও বেড়াতে গেলে সেখানকার লোকাল খাবার অবশ্যই টেস্ট করা উচিৎ।
সব মিলিয়ে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মনোরম আবহাওয়া সুন্দর বেড়ানোর জায়গা আর স্থানীয় খাবার আর কি চাই! ভুটানে বেড়ানোর খরচ ষোলোআনা উশুল হয়ে যাবে ভ্রমণবিলাসি বাঙালীর।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours