Politics
জীবন রায়, প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ, রাজ্যসভাঃ রাজনীতি জরুরীকালিন ঘোষনার জন্য ক্ষমা না করলেও, ইতিহাস একদিন শ্রীমতি ইন্দিরা প্রিয়দর্শিনী গান্ধীকে নিশ্চিত শহীদের মর্য্যাদা দেবে। আজ ভারতে সংসদীয় গনতন্ত্রের উপরে এক বিপদজনক আক্রমন নামিয়ে আনার ৪৫ তম বছরের তৃতীয় দিন এবং তারই সাথে অন্য প্রান্তে সংসদীয় গনতন্তে বিপুল বাড়বাড়ন্ত সত্বেও, অন্য এক শ্বাসরুদ্ধকর অবস্তথায়, সংসদকে স্বাক্ষীগোপাল রেখে যে দিন, 'জয়শ্রীরাম' এর উচ্চনিনাদে ----- অধি-বিদ্যা আধারিত ব্যবস্থার প্রথম বাজেট অনুমোদিত হোল, সেই এক সন্ধিক্ষনে, আজকে এই লেখাটা লিখছি। হটাৎ মনে, সাধারনের মনে রাজনীতিটা তো একটা ইম্প্রেশান। যদি সেই ইম্প্রেশনটি, রাজনীতির দীর্ঘকালিন হিসেবে কোন সুখকর চালচিত্রের সাথে মিলে যায় তবেই সোনা।না মিল্লে দুঃস্বপ্ন। সে রকম, যে ব্যক্তি, কার্য্যতঃ ১৯৬২ থেকে ১৯৭৭ পর্য্যন্ত লাগাতার - বাইরের এববং ভেতরের, উভয় কারনের জরুরী অবস্থার মধ্যেই এবং মাঝখানে এক ভয়ংকর আধা-ফ্যাসিস্ত সন্ত্রাসের ----- সাথে ঘর করাটাকেই যাকে, দম-বন্ধ হয়ে যাওয়া অননিশ্চয়তা এবং রাষ্ট্র থেকে নেমে আসা অত্যাচারের ব্যাভিচারিতাকে অভ্যাসে বদলে দেওয়ার। সুযোগ করেই টিকে থাকতে হয়েছিলো ------ মনে হোল, , এই দিন-সন্ধিক্ষনে নিজের ইম্প্রেশানটা দিয়ে রাকখলে,হয়তো বা, রাজনীতিতে না হোক, ইতিহাসের কাল- লিখনে একটি শিশিরবিন্দু রেখে যাওয়া উচিত হবে। বলা বাহুল্য, ২৫শে জুন, ১৯৭৫ সালে, দেশে, যখন সারা দেশে জয়প্রকাশের নেতৃ্ত্বে স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী আন্দোলনের মাঝখানে জরুরীকালিন অবস্তথা ঘোষনা করেন ------ তখন বাংলায় আধা-ফ্যাসীবাদী সন্ত্রাস তুংগে। কখনো বলার সাহাস পাই নাই, আধা-ফ্যাসীবাদী সন্ত্রাসের তীভ্রতার মধ্যে মনে হয়েছিলো, যেন বাংলার ত্রাস সারাবভারতের সাথে ভাগ হয়ে গিয়ে অনেকটাই বুঝি সন্তলিত হয়ে গেছে। মনে হয়েছে, ভারতের বাম-আন্দোলনকে আজ না হলেও একদিন, একপ্রান্তে বানংলায়, আধাফ্যাসীবাদী সন্ত্রাস এবনং অন্যদিকে জরুরীকালিন অবস্তথা জারীর কার্য্য-কারন সম্পর্কগুলি নতুন করে মুল্যায়নের দিকে যেতে হবে। যদি রাজনীতিকে এগিয়ে যেতে হয়, তবে কোন না কোন দিন, ইতিহাস এবং রাজনীতির মধ্যে একটা সন্তুলনে আসতেই হবে। শ্রীমতি গান্ধীর মৃত্যুর আগে না হলেও, মৃত্যুর দিন এবং পরবর্তী কালে মনে হয়েছে,নির্বাচনী পরিনামকে একমাত্র সহানুভূতি ভোটে খাটো করে নামিয়ে আনা যেতো না। মৃত্যুর পুর্বের সভাগুলিতে ভেংগে পরা জনশ্রোত যে আবেগ নির্মান করতো ------ তা থেকেই মনে হয়েছে ইতিহাস সেই নেত্রী জরুরী কালিন অবস্তথা ঘোষনার জন্য শুধু মাপই করে দিন নেই, নেহেরুর পরে, যে প্রধান মন্ত্রী সব থেকে বেশী মানুষ দ্বারা সমাদৃত হয়েছিলেন, মৃত্যুকে বাদ দিলেও জরুরী কালিন অবস্থা গঘোষনার সময় কালেই ইতিহাসের এক ট্র্যজিক নেত্রী হয়ে উঠেছিলেন।
আমার কেবলই মনে হয়েছে, বাংলাদেশ যুদ্দধর পর, কেবল নেহেরু-স্তালিন অর্থনৈতিক চুক্তির কারনেই নয়, প্রথমে ১৯৬২ এ চিন-ভারত সিমান্ত যুদ্দধে এবং পরে ১৯৭১ যুদ্দধে কোলকাতা এবং চট্টগ্রাম হয়ে চিন সিমান্ত পর্য্যন্ত আমেরিকার সপ্তম নৌবহরকে প্রথমে পিতা এবং পরে পুত্রী আটকে দিয়েছিলেন। আরো প্রনিদধানযোগ্য, শ্রীমোদী পরিস্তথতির সুযোগ নিয়ে শ্রীমতি ইন্দিরা গান্দধীর একেবারে উল্টৌ পথে ------ দেশের আর্থিক ব্যবস্তথাকেবানিজ্যিক এবনং বিদেশী পুজির হাতেই তুলে দিচ্চছেন, লন্ডভন্ড করচছেন- সাথে সাথে আমেরিকার যুদ্দধ পরিকল্পনায় যুক্ত করেছে। আমি নিশ্চিত হয়েছি, , এসব করতে গিয়ে তিনি যেভাবে সনাতন রীতি-নিতীর পুজ-রক্ত টেনে তুলে সারা দেশের চিত্ত প্রদুষনের আয়োজন করেছেন , যেভাবে যুদ্দধোউন্মাদনা তৈ্রী করেছেন, তা ১০০ টা জরুরী অবস্থা থেকেও ভয়ংকর ------- আজকের ভারত্তের জন্য, আগামী কালের ভারত এবনং আগামী ১১০০ বছরের ভবিষয়তের জন্য আগ্নেয়গিরীর জ্বালামুখির অগ্নি উদ্গিরন থেকেও ভয়নংর। নেহেরু এবনং শ্রীমতি ইন্দিরা গান্দধী কে দেখিয়ে এসব করছে, তাদের আর সুযোগ দেওয়া উচিত হবে না। ------- কোন কিছু গোপন না করেই, ইমারজেন্সীর বিপদগুলিকে তুলে ধরছি ------- তার সাথে জানিয়ে রাখি, সে সময়ে তিনি, ব্যঙ্ক, কয়লা, ইন্সিয়োরেন্স সহ বহূ শিল্প জাতীয়করন করেন । তিনি সানংবিধানিকভাবে, সমাজতন্ত্রকে বিধিবদ্ধ করেন। ------- আর উনি কি করলেন। এখন শুধু রেলগাড়ী নয়, সরকারী কারখানার প্রধানদের দায়ীত্ব দেওয়া হয়েচছে,কারকখানা বেচেদেওয়ার, রেল লাইন্ন বেচে দেওয়ারো নাকি টঠিক হয়েছে। একেবারে চলে যাওয়ার আগে তিনি ি লে যানঃ আর কোন দিন জরুরী অবস্তথাজারী হবে না, ------ সতর্ক দিয়ে বলেন, তবে জাতিকে সদা সতর্ক থাকতে হবে। এই সুত্র ধরে নিশ্চিত বলতে পারিঃ শ্রীমতি গান্ধী যদি নরসিমহা রাও এর যায়গায় থাকতেন, তবে বাবরী মসজিদকে বাচিয়ে দিতেন। পরের অনেক ঘটনা ঘটতো না। প্রথমে অনেক দোলাচল থাকলেও, তিনি জীবনের বাজী ধরেই, পানঞ্জাকে বাচিয়ে দিয়েছেন। অন্যথায় পাঞ্জাব এখন পৃথক দেশ অথবা পাকিস্তথানের হোত।

Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours