ভবানীপ্রসাদ ভট্টাচার্য টিচার রাইটার দুর্গাপুরঃ কিংবদন্তী. শ্যামরূপা দেবী ও মা কল্যানেশ্বরী একই দেবী! বর্তমানে বরাকর নদের তীরে বাংলা ও ঝাড়খন্ড সীমানায় মা কল্যানেশ্বরীর স্বর্ন নির্মিত বিগ্রহটি আছে সেটি এবং মা শ্যমরূপারও একটি স্বর্ন নির্মিত বিগ্রহ ছিল! ইছাই ঘোষের মৃত্যুর পর তাঁর কন্যা সেটি দীপসায়রে বিসর্জন করেন!
জনশ্রুতি, পাল সাম্রাজ্যের শেষ দিকে পাল রাজাদের অকর্মন্যার জন্য সাম্রাজ্যের পতন শুরু হয় এবং সামন্ত রাজারা বিদ্রোহ করেন!
সুদুর দাক্ষিনাত্যের কর্নাটক থেকে এসে পাল রাজাদের সামন্ত রাজা হ'ন হেমন্ত সেন, তাঁর পুত্র রাজা বিজয় সেন, তখন গৌড়ের রাজা দ্বিতীয় মহীপাল, তাঁর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে গৌড়ে সেন বংশের প্রতিষ্ঠা করলেন রাজা বিজয় সেন!
অনেকের অভিমত, রাজা বল্লাল সেনের কন্যার বিবাহ হয় মানভুমের রাজপুত্র রাজা কল্যান রায়ের সাথে এবং তখন তিনি কন্যাকে শ্যামরূপা দেবীর দুটি স্বর্ন বিগ্রহের একটি যৌতুকরূপে দেন, কিন্ত সেটি তিনি গৃহে প্রতিষ্ঠা করতে পারেন নি, স্বপ্নাদেশ পেয়ে বরাকর নদীর তীরে প্রতিষ্ঠা করেন! রাজা কল্যান রায় দেবীর প্রতিষ্ঠা করেন তাই এখানে দেবীর নাম হ'য় " কল্যানেশ্বরী" কিন্তু এই মতের স্বপক্ষে জোরালো কোন যুক্তি নেই !
অন্য মতটি অপেক্ষাকৃত গ্রহনযোগ্য, ইছাই ঘোষের মৃত্যুর পর ইছাই কন্যা একটি বিগ্রহ দীপসায়রে বিসর্জন করে অন্য বিগ্রহ টি নিয়ে শ্বশুরালয় যাচ্ছিলেন অসাবধানবশতঃ বিগ্রহটি বরাকর নদীতে পড়ে যায়, পরে নিকটবর্তী গ্রামের জনৈক কল্যান সিংহ দেবীর স্বপ্নাদেশ পেয়ে বিগ্রহটি বরাকর নদী থেকে উদ্ধারকরে নদীতীরে প্রতিষ্ঠা করেন, কল্যান সিংহ দেবীর প্রতিষ্ঠাতা তাই দেবী এখানে কল্যানেশ্বরী নামে খ্যাতা!
শ্যামরূপা দেবীর সাথে মা কল্যানেশ্বরীর একটা যোগসুত্র আছে, শ্যামরূপা দেবী পশ্চিম বাহিনী অর্থাৎ মন্দিরের অভিমুখ পশ্চিম দিকে, অন্যদিকে মা কল্যানেশ্বরী পূর্ববাহিনী! শ্যামরূপা মূল পুজা বেলা ১২ টার মধ্যে সমাপ্ত হয় বেলা ১২ টার পর মা কল্যানেশ্বরীর পুজা শুরু হয়!
............. ( চলবে)
Post A Comment:
0 comments so far,add yours