Politics
জীবন রায়, প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ, রাজ্যসভাঃ জাতিকে এখানেই যদি একমত করার কাজ শুরু না হয় যে --- বিরোধ টা হোল, ইতিহাসের অভিমুখে আধুনিক আবেগ অথবা সনাতনি ধারার প্রত্যাবর্তন, রাহুগ্রাস থেকে, দেশ হাজার বছরেও বেরুতে পারবে না। ইতিমধ্যে নিশ্চিত ভারতের অস্তিত্বটাই শেষ হয়ে যাবে। --- সেখানে যে প্রবাহ দেশকে ভাষিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, তার দায়কে চিহ্নিত করতে হয়, তবে তার নিশ্চিতভাবে নেহেরু কিংবা কিয়দাংশে ইন্দিরা শাসনের পর, কংগ্রেস দলের মধ্যে রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ক্রমে তলানীতে নেমে যাওয়ার কারনেই যে ঘটেছে, সেটা নিশ্চিত করেই মানতে হবে। ফ্যাসিবাদি রাক্ষস কুলের আগ্রাসন অতিক্রম করে, পরিবারের বাইরে থেকেও কোন বিশ্বাসযোগ্য সাংগঠনিক নেতৃ্ত্বও গড়ে ওঠে নাই। ------ এসবের মধ্যেও যাদের ইতিহাস, আসু বা ইমিডিয়েট দায়বদ্ধতা বলে মেনেছে, সেটা যে সেই সরকারি দল যারা সনাতনতার বিপরীতে, এক আধুনিক সমাজ নির্মানের জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিলেন তাদের, সে কথাটা না মানলে অন্য একটি সমাজ বিজ্ঞানের অমোঘ তত্ব ইতিহাস ধারনার বাইরে চলে যাবে। ---- তত্বটি এরকম, ঔপনিবেশিক শাসন এবং সাম্যবাদি নির্মান প্রকল্পের মাঝখানে, কিছুদিনের জন্য কোন বুর্জোয়া সরকার সাময়িক কালের জন্য, গনতান্ত্রিক আধুনিক রুপগুলিকে সংগরক্ষন করবে। কিন্তু সেটা খুবই সাময়ীক কালের জন্য হতে বাধ্য। সেই অন্তবর্তীকালে, যে নেতারা শ্রমিক আন্দোলনকে তার সামাজিক স্তরে নিয়ে যেতে পারবেন না, তাদেরকে ইতিহাসে বিশ্বাসঘাত ক হিসেবেই চিহ্নিত হবেন। ---- যাইহোক, অন্তিম দায়বদ্ধতার প্রশ্নে, ইতিহাসগতভাবে দায় তো তাদের , যারা ইতিহাসের কাছে, সব রকম সনাতন চিন্তন বা অনুমান ধরর্মীতাকে মুছে দিয়ে, আধুনিকতার মুক্তি দেওয়ায় জন্য দায়বদ্ধঃ তারা যে একপ্রান্তে শ্রমিক আন্দোলনের শ্রেনী রুপ, অন্যপ্রান্তে শ্রমিকদের শ্রেনীরুপে উঠিয়ে আনায় দায়বদ্ধ,--একটা কমিউনিষ্ট পার্টীর সে কথা তো বারংবার বলা হয়েছে। শ্রমিক নেতারা যদি কথাটা মানতে অস্বিকার করেন, তার জন্য 'ইতিহাসের নিয়ম' উলটে যেতে পারে না। --- অন্যপ্রান্তে, বিশ্বের কোন সাম্যবাদী দল, নিজেদের দায়, বুর্জোয়া দলগুলি অপেক্ষাকৃ্ত সংবেদনশীল অংশের অকৃতকার্য্যতার উপরে চাপিয়ে দিয়ে, নিজেরা , কেবল ভাষন দিয়ে চলার দায়ীত্ব কাউকে দেন নাই। -------- ভাষন সর্বস্বতাকে যদি শ্লোগান সর্বস্বতার অপর দিক মানা হয়, তবে বলতে সে রকম ভাষন এবং শ্লোগান সব সময় 'সনাতনি অনুমান ধর্মীতায় ' ডুবে যায়। সেজন্যেই, মার্ক্সসবাদীদের ভারতীয় প্রয়োগ সংক্রান্ত তাত্বিক প্রতিষ্ঠাতা, কমরেড বি টি আর, একটা কথা দলিলবদ্ধ করে গেছেনঃ ভাষন এবং শ্লোগানকে,যদি প্রপাগান্ডার নিরন্তরতায় আনা না হয়, তার পরিনতি ভয়ংকর হতে বাধ্য। -----
যদি সমাজ বিজ্ঞানের সর্বাধুনিক ধারাটি মানতে হয়, তবে বলতে হবে, সেই জমানায় পঞ্চশিলের নেতারাই ছিলেন, স্বাধীন এবনং স্বয়ংভরতার পক্ষে শেষ বুরর্জয়োয়ানেতৃত্ব তৃ্তীয় বিশ্বে, নেহেরু ছিলেন তাদের নেতা। এরা আধুনিক বা ফ্যাসিস্ত সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে বিপুল বিরত্বের সাথে লড়েছেন । কিন্তু পুঁজির ফ্যাসিতান্ত্রিক যুগে, তা ছিলো ইতিহাসের ব্যতিক্রম, দীর্ঘদিন স্থায়ী হওয়ার কথা ছিলো না, তেমনটি হয়ও নাই। ফ্যাসিবাদী কেন্দ্রিকতা এই প্রতিরোধকে শেষ করেছে ক্রমে। ভারতে বুর্জোয়াদের আধুনিক অংশের নিধ্ন শুরু হয়েছিলো, কয়েক লক্ষ সাকরেদ সমেত দলাই লামাকে ভারতে স্থান করে দেওয়া। সেটাই ছিলো, আমারিকাকে চিনের সীমানায় এনে, ভারতকে আমেরিকার আশ্রিত বানিয়ে দেওয়া।


Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours