Politics
জীবন রায়, প্রাক্তন সিপিএম সাংসদঃ  ভারতে এক'শ বছরের সাম্যবাদী আন্দোলনের সাফল্য এখানেই যে ব্রাহ্মন্যবাদ যেখানে --- ভারতীয় সমাজের অতীত সৌন্দর্য্যের প্রতিমূর্তীকে প্রস্তরিভূত করে দিয়েছিলো, সেখানে সেখানে ফাটল ধরিয়ে কিছু ঝর্ণা এবং প্রশ্রবণের ধারা উন্মুক্ত করে দিয়েছে। বিগত এক'শ বছরের সংগ্রাম কিংবা নিপীরনের ইতিহাস লিখে আর শেষ করা যাবে না। সে কথা কে অশ্বীকার করবে যে সিপাহী মিউটিনির আগে ঘেকে যে কৃ্ষক বিদ্রোহ সারা দেশে ঝাপিয়ে পড়েছিলো তার বিভিন্ন রুপে এবং চেহারায়, সাম্যবাদী আন্দোলনই এদেশের সে সবের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছিলো। অন্যদিকে যদি মেনে চলা হয় দ্বিতীয় যুদ্ধে লালফৌজের বিজয়, তৃ্তীয় বিশ্বে মুক্তির পরিপ্রেক্ষিত নির্মান করেছিলো, তবে, নন-বিদ্রোহে সাম্যবাদী নেতৃত্ব নিশ্চিতভাবে ভারতে স্বাধীনতার পরিপ্রেক্ষিতটিওকে বাস্তব ভিত্তির উপরে প্রতিষ্টিত করেছিলো...অন্যদিকে মানতেই হবে, যখন একপ্রান্তে, রেনেশাঁ উত্তরকালে, রবীন্দ্রনাথের পর আই পি টি এ এর আবির্ভাবই রেনেশকে সত্যজিৎ রায় পর্য্যন্ত পৌছে দিতে পেরেছিলো, অন্যপ্রান্তে কাকদ্বীপ এবং তেলেংগানা শসস্ত্র কৃষক বিদ্রোহ, পরবর্তীকাল এই আন্দোলনকে বর্ণাশ্রম বিরোধী দলিত জাগরন এবং সামাজিক ন্যায়ের আন্দোলনে শক্তি যুগিয়েছে। নিশ্চিতভাবে মানতে হবে, ১৯২০ এর পর ধারাবাহিক শ্রমিক আন্দোলন এবং ষাটের দশকের পর থেকে আধুনিক শ্রমিকদের বিদ্রোহ, এক দলীয় এক ব্যক্তির স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে এবং এক কেন্দ্রিক শাষন অবসানের ভিত্তিটি দাড় করিয়ে দিয়েছিলো। এসব ঘাত প্রতিঘাত এবং নেহেরু, আর পরবর্তীকালে ইন্দিরা শাসণ পর্য্যন্ত দেশের জ্ঞান, বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির বিকাশের বিষয়গুলি, দেশের সেক্যুলারিজম, আন্তর্জাতীক সম্পর্কে একটা বিশ্বজনীন রুপ পেয়েছিলো। এই সময়ে ইতিহাসের ক্ষেত্রেও, ইউরোপীয় রেনেশার সাথে সংগতি রেখে ভারতীয় ইতিহাসও একটি স্বাধীন আধুনিক সত্বার অনেকটাই আবিস্কার করতে সক্ষম হয়েছিলো। এসবের মধ্যেও বলতে হবে, একটা প্রচন্ড ভাবাদর্শগত বাধা-- যে স্বরযন্ত্রকে মূলতঃ বলা যাবে, অতি-অতীতের ধর্মান্ধতা এবং ব্রাহ্মন্যবাদের চরম ব্যধিগুলিকে, প্রাচীর হিসেবে দাড় করিয়ে - সাম্যকে আটকানোর চেষ্টা করেছে। ,এর মধ্য দিয়েই সাম্য এগিয়েছে। এখানে সেই অলংঘনীয় ত্রুটীটাই, শেষ পর্য্যন্ত, সাম্যেকে জনশ্রোতে একাত্মহওয়ার পথে বাধার কারন হয়েছে। সেটা হোল, ব্রাহ্মন্যবাদের পতনের কালে, এদেশে গণতান্ত্রিক শ্রোত বেয়ে যে সব আধুনিক গণতান্ত্রিক ধারা উন্মুক্ত হয়েছিলো, সেগুলি থেকে প্রয়োজনীয় উপাদাণগুলি সংত্রহ করে ---- জনগণতান্ত্রিক মঞ্চ গঠনের উদ্যোগকে তরান্বিত করা হয় নাই । সেখান লেখক মেনেছেন, পন্ডিত জওহরলাল নেহেরুর যুক্তিনিষ্ট মু্ল্যায়নের পর, তাকে গণতান্ত্রিক অভিমুখে নিয়ে আসার কথা ভাবতে হবে। এমণ কি, জরুরী অবস্থা সত্বেও, শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীর কিছু কিছু দিককে ইতিহাসকে আত্মস্ত করতে হবে।


Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours