Politics
জীবন রায়, প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ, রাজ্যসভাঃ মার্ক্স এবং ফ্যাসিবাদের তফাৎটাই এখানেঃ মার্ক্স বুঝেছিলেন, চিন্তার গাটগুলিকে ভেঙ্গে দিয়ে সমাজকে মুক্ত করে দেওয়া । অন্যপ্রান্তে পুঁজির হিংস্র অংশ, তার লক্ষকে গোপণ রেখেই, যে কাজ করে চলে, সমাজকে ভেংগে দিয়ে, রাজনীতির উপরে শতভাগ কব্জা করে নেয়। সে কারনে সে তিনটি অভিমুখ ধরে এগুতে চায়ঃ প্রথমতঃ রাজনীতি থেকে আধুনিক ভাবাদর্শকে বিচ্ছিন্ন করে দিয়ে, তাকে অতি অতীতের আদি-ভৌতিকবাদ বা অনুমান ধর্মীতাকে (metaphysics) কে রাজনীতির আধার করে দেয় ----- এটা ২০১৯ এর পুরো নির্বাচন, বিশেষ করে বাংলার প্রকৃয়াটির দিকে নজর রাখলেই দেখা যাবে। প্রথমে ফ্যাসিস্ট বা বানিজ্যিক এবং সাম্রাজ্যবাদী পুঁজি, প্রচার ব্যবস্থাকে একটি অভিন্ন ফ্যাসিস্ত মঞ্চকে, দুটি ভাগে ভাগ করে নিয়েছেন। ----- বাংলায় যদি বাহ্যিকভাবে যেখানে মনে হবে, যেন দুটি মঞ্চ পরস্পরে লড়ছে। ,
কার্য্যতঃ দুটি মঞ্চকে যখন একসাথে দেখা যায় উভয়ে মিলে একটা মারন কামড় দিয়েছে, বাংলার সাধারন সাংস্কৃতিক ধারাকে ছিন্ন ভিন্ন করে দিয়েছে। ... মজা এখানে যা বাম্যপন্থীরাও বুঝতে ভুলে গেছেন। রাজ্য-দেশকে যখন তার সুদীর্ঘ কালের সাংস্কৃতিক ধারা থেকে সরিয়ে আনা হয় তখন স্বাভাবিক কারনে সমাজটা যেভাবে ভাঙ্গতে শুরু করে একই কারনে বামপন্থীরা বিচ্ছিন্ন হতে থাকে। ----- বাংলার ফলাফলের দিকে যদি দেখা যায় , উল্লেখিত ভাগাভাগির দৌলতে, শ্রীমতি মমতার দলের রাজনৈতিক এবং ভাবাদর্শগত গত গনভিত্তি যে যায়গায় ছিল, সে তুলনায় বেশী লাভবান হয়েছেন। পুরো ভাগাভাগিটাই ঘটেছে ,মানুষের বিনিময়ে। দ্বিতীয়তঃ এই চেতনার অধিবিদ্যাকরনে, ফ্যাসিস্ত মঞ্চের বড় লাভ এখানেই যে চেতনার অবচেতণতার অতলযাত্রায়, সেই সংস্কৃতি এবং অর্থনীতি (উৎপাদন এবং বন্ঠনের সন্তুলণ) নির্ভর সংসদীয় রাজনীতিটাই জনমণ থেকে হাফিস হয়ে ব্যক্তি-উলংগতার ভাবপ্রবাহ যখন মস্তিস্ককে হজম করতে শুরু করে ------ এমনিতেই অখন্ড জ্ঞানের ধারাটির বিনাশ ঘটে। মানুষ যেমনভাবে সমাজ এবং সামাজিক প্রক্রিয়াকে বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ দেখিয়ে, নিজেকে 'সর্বজ্ঞানী' ব্যক্তি ভাবতে থাকেন এবং মুর্খতা এবং জ্ঞান-বিমুখ শিক্ষার জয়যাত্রা চলতে থাকে ------ বিদ্যাণ, জ্ঞানী এবং সংস্কৃতিবানেরো বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার ভয়ে, চরম মুর্খতা এবং বাহুবলিদের কাছে আত্মসমর্পণ করে। নিজের অভিজ্ঞতায় দেখেছি ------ একতার শ্রমিক আন্দোলনো তখন ব্যক্তিস্বার্থকে (যা মুলতঃশরীর সর্বস্য) যখন শ্রেনীরাজনীতির উপড়ে যায়গা করে দিতে থাকে, তখন শ্রেণীরাজনীতির সাথে যারা থাকতে চান, তাদের ছুটী করে দিতে পাগল হয়ে যান। তৃতীয় ত
এই প্রকৃ্তেই যেভাবে, আইনসভা, রাষ্ট্রপতি ভবণ এবং সর্বোচ্চ বিচারালয় যখন ফ্যাসিস্তদের হাতে চলে যায় তখন ----- এক ভোট, এক দেশ, এক নেতা এবং সব শেষে 'ইন্দিরা ইজ ইন্ডিয়ার' মতো অবস্থা যখন চলে আসে, তখন সমাজ এবং সামাজিক রাজনীতের অতি-অতীতের রক্তপুজের নিচে চাপা পড়তে শুরু করে। এই পরিস্থিতিতে, জণগনের ঘাড়ে চেপে, যা কিছু করার সব অধিকার বানিজ্যিক পুজি এবং ফ্যাসিস্তদের হাতে চলে যায় ------ ইতিমধ্যে যখন অর্থনীতি সংসদের হাতে থেকে কেড়ে নিয়ে বানিজ্যিক পুঁজির হাতে চলে গেছে, সংসদ রাবার স্ট্যাম্প হয়ে গেছে। সর্বোচ্চ বিচারলয়ের মান মর্য্যাদা কেড়ে নেওয়ার সব আয়োজন চলছে । সাম্প্রতিক কালে, এক প্রাক্তন আই পি এস অফিসারকে যেভাবে এবং যে কারনে যাবজ্জীবণ কারাদন্ড দেয়া হয়েছে, ----- তা থেকে স্পষ্ট কি হতে চলেছে। ---- আর বিনিয়োগহীন, পাহাড় প্রমান সরকারী রোজগারকে যখন হিমালয় উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া যখন হয়েছে, তা থেকে টাকার অপব্যবহার, সরকারী টাকার ব্যক্তিগত স্থানান্তরনের বিপুল সুযোগ করে নেওয়া হয়েছে। দুই। শেষ করার পূর্বে শ্রীমতি ইন্দিরার একব্যক্তি কেন্দ্রিক শাষনের অভিমুখের সাথে ফ্যাসিস্ত প্রকৃয়ার তফাৎ সম্পর্কে দুটি কথা বলে দেওয়া উচিত হবেঃ প্রথমতঃ ১৯৭৭ সালে শ্রীমতি ইন্দিরা শেষ পর্য্যন্ত ভোটটা যদি করিয়ে থাকেন, তখণো সংসদের ক্ষমতা বিপুল। ২০১৯ শে যদি নির্বাচনের নামে নির্বাচন বাতিল করা হয়ে থাকে এবং এটাই যদি দেশের শেষ নির্বাচন বলে মানা হয় --- সংসদ, মানুষ, অর্থনীতির স্বয়ংসম্পুর্নতা এবং সামাজিক শক্তি হিসেবে, ভয়ার্ত এখন রিক্ত। দ্বিতীয়তঃ ইমারজেন্সির সময়েও, উনি কয়লা, ব্যঙ্ক সমেত অনেক শিল্প জাতীয় করন করছেন। এখন রেল গাড়ী বিক্রী করে দেয়া হচ্ছে। তৃ্তীয়তঃ উনার পাশে তখন সমঅধিকারের ভিত্তিতে, সোভিয়েত ইউনিয়ন।...... আর এখন ভয়ার্ত তৃতীয় যুদ্ধে,ভারতীয় উপমহাদেশে অন্য এক শক্তির ঘুটি।


Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours